Duare Sarkar: সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও ফিরতে হল খালি হাতে, ‘দুয়ারে’ ছিলেন না কেউ, আধিকারিকরা এলেন বেলা দু’টোয়!
Duare Sarkar: দুপুর ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আধিকারিকদের দেখা মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরও কাজ না হওয়ায় মুখ ভার করে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
আরামবাগ: বুথ স্তরে ‘দুয়ারে সরকার’ হওয়ার জন্য মাইকে প্রচার করা হয়েছিল। আর ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্পে গিয়ে কাজ না হওয়ায় বিরক্ত হয়ে ফিরে গেলেন মানুষজন। সকাল ১০ টা থেকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প গোঘাটের ভাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হওয়ার কথা ছিল। সকাল সকালই স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বিদ্যালয়ে চলে যান। অভিযোগ, দুপুর ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আধিকারিকদের দেখা মেলেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরও কাজ না হওয়ায় মুখ ভার করে ফিরে যেতে বাধ্য হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একজন আশা কর্মী বিদ্যালয়ের রুম খুলে বসে ছিলেন। তাঁকে দিয়ে আর নথিপত্রের কাজ হত না। বাধ্য হয়েই গ্রামের মানুষজন তিতি বিরক্ত হয়ে ফিরে যান। গোটা বিষয়টিতে ক্ষুব্ধ ওই আশাকর্মীও। তাঁর বক্তব্য, “মানুষকে তিনি কৈফিয়ত দিতে আর পাচ্ছেন না। সবাই আমাকে এসেই প্রশ্ন করছেন। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। সব প্রশ্নের জবাব কি আর আমার কাছে আছে?”
TV9 বাংলায় এই খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পরই তড়িঘড়ি কয়েকজনকে নিয়ে গোঘাটের বলরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় উপস্থিত হন গোঘাট ১ নম্বর বিডিও। তবে তিনি ক্যমেরার স্বীকার করেছেন একটু দেরি হয়েছে। কিন্তু সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, কেন পৌনে ২ টো পর্যন্ত কোনও আধিকারিককেই দেখা গেল না? তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
প্রশ্ন উঠেছে ঘোষিত কর্মসূচি থাকলেও কেন বুথ স্তরে পৌঁছাতে দেরি হল সরকারি আধিকারিকদের? বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস বক্তব্য, “কাউকে ঘুরে যেতে হয়নি। প্রথমে সমস্যা হয়েছিল, পরে ব্যাপারটা ঠিক করেছি। আরেকটা ক্যাম্প ডাকা হয়েছে। প্রথমে অভিযোগ থাকলে, পরে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।”