AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

World Immunization Day: সময়মতো টিকা না দিলে শিশুর কী ক্ষতি পারে জানেন?

একটি নবজাতক শিশু মাতৃত্বের অ্যান্টিবডিগুলির মাধ্যমে সুরক্ষা পায়। কয়েক মাস পরে তা ক্ষয় হতে শুরু করে, তাই এই মারাত্মক রোগগুলি প্রতিরোধ করার জন্য টিকা দেওয়ার প্রয়োজন।

World Immunization Day: সময়মতো টিকা না দিলে শিশুর কী ক্ষতি পারে জানেন?
ছবিটি প্রতীকী
| Updated on: Nov 11, 2021 | 8:39 AM
Share

টিকা দেওয়া প্রতিটি শিশুর জন্মগত অধিকার। মারাত্মক রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে ও নির্মূল করতে শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর টিকার প্রভাব অনেকটাই। ভারত একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং সবচেয়ে জনবহুল দেশগুলির মধ্যে একটি। তাই মারাত্মক সংক্রামক রোগগুলি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া কোনও অস্বাভাবিক কিছু নয়। শিশুরাই দেশের ভবিষ্যত। সহজভাবে সময়মত টিকা দিয়ে রোগগুলি যাতে প্রতিরোধ করা যায়, তার জন্য ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি টিকাদান অভিযান চালায়। সেইসময় গুটিবসন্তের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হত। টিকাদানের পর তা ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। যদি শিশু ভবিষ্যতে সেই রোগের সংস্পর্শে আসে, টিকাদানের কারণে শরীরকে দীর্ঘস্থায়ী অ্যান্টিবডি তৈরির মাধ্যমে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করে।

টিকা দেওয়ার অভাবে হামের মতো রোগের কারণে বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া যক্ষ্মা, পোলিওমাইলাইটিস, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়া তো রয়েছেই। প্রসঙ্গত, একটি নবজাতক শিশু মাতৃত্বের অ্যান্টিবডিগুলির মাধ্যমে সুরক্ষা পায়। কয়েক মাস পরে তা ক্ষয় হতে শুরু করে, তাই এই মারাত্মক রোগগুলি প্রতিরোধ করার জন্য টিকা দেওয়ার প্রয়োজন। টিকাদান এই রোগগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদান করে, যার অভাব দুর্বল প্রতিরোধ ক্ষমতার দিকে পরিচালিত করে, বারবার সংক্রমণ শিশুর স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে, নেতিবাচকভাবে বৃদ্ধি এবং বিকাশকে প্রভাবিত করে।

গত ৫০ বছরে টিকাদান শৈশব সংক্রমণ থেকে অসুস্থতা এবং মৃত্যুহার কমাতে দারুণ সফল হয়েছে ভারত। অনেক ভ্যাকসিনের প্রতিরোধযোগ্য রোগের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু এমন অনেক বাধা রয়েছে যা ভারতে ইমিউনাইজেশন কভারেজ হারকে বিরূপভাবে প্রভাবিত করে। টিকাদানের কিছু চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে কর্মীদের সীমিত ক্ষমতা, এবং চাহিদার পূর্বাভাস, লজিস্টিকস এবং কোল্ড চেইন ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ঘাটতি, যার ফলে অপচয়ের হার বেশি।

ভারতে এখনও ভিপিডি ট্র্যাক করার জন্য একটি শক্তিশালী সিস্টেমের অভাব রয়েছে। ভৌগলিক, আঞ্চলিক, গ্রামীণ-শহুরে, দরিদ্র-ধনী এবং লিঙ্গ-সম্পর্কিত নানা কারণে টিকাগ্রহণের পার্থক্য এখনও রয়েছে। তবে সম্ভাবনাময় ও সুস্থ জাতি গড়ে তুলতে (টিকাকরণের সময়সূচী, ডেলিভারি, এবং মনিটরিং এবং VPD/AEFI নজরদারি বাড়াতে হবে। ভৌগোলিক, রাজনৈতিক-সামাজিক এবং প্রযুক্তিগত সব বাধা কাটিয়ে উঠে টিকাদানের পূর্ণতা অর্জনের জন্য প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: Stress: চুইংগাম চিবোলে মানসিক চাপ দ্রুত কমে! বাড়িতেই স্ট্রেস দূর করতে এই ৬টি জরুরি নিয়ম মেনে চলুন