‘বিশ্বরঞ্জন আমার রাজনৈতিক গুরু,’ গত ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্য চোখে জল সৌরভের

প্রয়াত কংগ্রেস নেতার মূর্তিতে মালা দিয়ে প্রচার শুরু করলেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী, ভোট কুড়োতে নাটক করছেন সৌরভ, কটাক্ষ কংগ্রেসের

'বিশ্বরঞ্জন আমার রাজনৈতিক গুরু,' গত ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্য চোখে জল সৌরভের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 15, 2021 | 5:55 PM

আলিপুরদুয়ার: ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের বিশ্বরঞ্জন সরকার ওরফে ‘বিশুদা’কে পরাজিত করে বিধায়ক হয়েছিলেন তৃণমূলের সৌরভ চক্রবর্তী। একুশের ভোটের আগে তাঁরই আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিয়ে প্রচার শুরু করলেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল প্রার্থী। শুধু তাই নয়, মালা দেওয়ার সময় অশ্রুসিক্ত সৌরভের মন্তব্য, “আমার রাজনৈতিক গুরু ছিলেন বিশ্বরঞ্জন সরকার। আজ আমার চোখ দিয়ে জল চলে আসছে। ওনার মূর্তিতে মালা দিয়ে আশীর্বাদ চেয়েছি।”

সোমবার জেলা কংগ্রেসের কার্যালয় অফিসে ২০১৯ সালে প্রয়াত বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বিশ্বরঞ্জন সরকারের মূর্তিতে মালা দিয়ে প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী। গতবারের বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্য সৌরভের চোখে জল দেখা যায়। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেসও। তাঁদের অভিযোগ, ভোট কুড়োতে এখন নাটক করছেন তৃণমূল প্রার্থী।

২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সৌরভের মুখে প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বরঞ্জন সরকার সম্পর্কে নানা আক্রমণাত্মক শব্দ শোনা গিয়েছে। ২০২১ সালের ভোটের মুখে সেই তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বরঞ্জনবাবুকে বলছেন তাঁর ‘রাজনৈতিক গুরু’। যা নিয়ে এবারের জোটের কংগ্রেস প্রার্থী দেবপ্রসাদ রায়ের মন্তব্য, “পাঁচ বছর আগে ভোটের সময় সৌরভ চক্রবর্তী কি এই সৌজন্যতার শিকিভাগও দেখিয়েছিলেন?” আলিপুরদুয়ার টাউন আইএনটিইউসি-র যুব সভাপতি শুভঙ্কর রায় বলেন “নির্বাচনে কংগ্রেস কর্মীদের সহানুভূতি দেখিয়ে ভোট নেওয়ার জন্য তৃণমূল প্রার্থীকে নাটক করতে হচ্ছে। উনি প্রয়াত বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বিশ্বরঞ্জন সরকারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।”

আরও পড়ুন: ‘সাংসদদের এখন বিধানসভার ভোটে লড়াচ্ছে’, পুরুলিয়া থেকে বিজেপিকে তোপ মমতার

প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গে জুড়ে যখন কংগ্রেসে ভাঙন ধরেছিল, একে একে কংগ্রেস নেতারা দলবদল করছেন তখন বিশ্বরঞ্জনবাবু দল বদলাননি। সেই কারণে তাঁর কথা আলাদা করে উল্লেখ করে থাকেন কংগ্রেস নেতারা। ১৯৯১ সালে ভোটে লড়ার পর দীর্ঘ দু’দশক বাদে আলিপুরদুয়ার থেকে ভোটে লড়েছিলেন বিশ্বরঞ্জনবাবু। তবে তাঁকে হারতে হয় তৃণমূলের সৌরভ চক্রবর্তীর কাছে।