Trinamool Congress: সালিশি সভার নামে যুবককে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর, নাম জড়াল তৃণমূলের

Trinamool Congress: এদিন সালিশি সভায় মীমাংসা করে দেওয়ার নাম করে কামারপুকুরের ওই যুবককে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডাকা হয়। সেখানেই বেধড়ক মারধর করা হয় যুবককে।

Trinamool Congress: সালিশি সভার নামে যুবককে পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর, নাম জড়াল তৃণমূলের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 17, 2022 | 4:18 PM

আরামবাগ: তৃণমূলের পার্টি (Trinamool Partry Office) অফিসে ঢুকিয়ে যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির (Hooghly) গোঘাটের কামারপুকুরে। কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এদিকে ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, কিন্তু, মীমাংসা তো দূর, সেখানেই বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। মারা হয় বাঁশ দিয়েও। পিঠে মারাত্মকভাবে আঘাত লেগেছে ওই যুবকের। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কামারপুকুর (Kamarpukur) গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

এদিকে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা নিয়েই ওই যুবকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। খবর যায় পার্টি অফিসে। তারপরেই বিবাদ মেটানোর নাম করে ওই সৌরভ ঘোষ নামে ওই যুবককে ডেকে পাঠানো হয় পার্টি অফিসে। প্রসঙ্গত, বছর তিনেক আগে সৌরভের সঙ্গে বিয়ে হয় শ্রীপুরের বাসিন্দা সুষমা ঘোষ প্রামানিকের। কিন্তু, বিয়ের পর থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। প্রায়শই দুজনের মধ্যে ঝগড়া বাধে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। আত্মহত্যার হুমকিও দিত স্ত্রী।

তবে দুজনের মধ্যে এর আগে অনেকবার ঝামেলা মেটানোর চেষ্টা করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আখেড়ে কোনও লাভ হয়নি। দিনেদিনে অশান্তির মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এরপরেই সুষমার বাপের বাড়ির সদস্যরা এরপর একটি স্থানীয় ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা বলে জানা যায়। সূত্রের খবর, ওই ক্লাবের সদস্যারা বেশিরভাগই তৃণমূলের দলীয় কর্মী-সমর্থক। তাঁরাই এদিন সৌরভকে সালিশি সভার নাম করে পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে এসে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। যদিও থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পরেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না কেন সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

ঘটনা প্রসঙ্গে নির্যাতিত যুবক বলেন, “ক্লাবে শ্বশুর-শাশুড়ির সামনেই মারধর করা হয়। রয়েল ক্লাবের বুম্বা সহ ওর দলের অনেকেই গায়ে হাত দেয়। ওরা সবাই টিএমসি পার্টির ছেলে। বাঁশ দিয়েও মারে আমাকে।” অন্যদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে গোঘাট দু নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তপন মন্ডল বলেন, “ঘটনা শুনেছি। নিঃসন্দেহে এটা নিন্দনীয় ঘটনা। আমাদের দলের কেউ জড়িত থাকলে আমরা দলগতভাবে ব্যবস্থা। তৃণমূল এই কালচারে বিশ্বাসী নয়। আমি ইতিমধ্যেই অঞ্চল সভাপতিকে রিপোর্ট দিতে বলেছি। একইসঙ্গে পুলিশকেও অনুরোধ করছি আইনতভাবে পদক্ষেপ করতে।”