Anti-Aging Tips: কুড়িতেই বুড়ি? সময় থাকতে ত্বকের খেয়াল রাখুন এই ভাবে, পরামর্শ বিশেষজ্ঞের
Skin Care Tips: কখনও কখনও আমরা ত্বকের ছোট ছোট বিষয় উপেক্ষা করে যাই। যার কারণে বলিরেখা, ত্বক কুঁচকে যাওয়া এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা দেখা যায়।
How to reduce Wrinkles: আপনি স্বাস্থ্যের প্রতি যতটা যত্নবান, একই ভাবে কি ত্বকেরও খেয়াল রাখেন? বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকে প্রকাশ পায় সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ। শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধলে তার কষ্ট মুখ প্রকাশ পায়। তার ওপর হারাতে থাকে জেল্লা। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে ত্বকের খেয়াল না রাখলে ক্ষতি হতে থাকে ত্বকের স্বাস্থ্য। এই বিষয়ে এখনই সংযত না হলে ভবিষ্যতে বাড়বে আরও বিপদ। ত্বককে ভাল রাখতে গেলে আপনাকে একটি সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলতেই হবে। যার মধ্যে রয়েছে ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং- সব কিছু। কিন্তু কখনও কখনও আমরা ত্বকের ছোট ছোট বিষয় উপেক্ষা করে যাই। যার কারণে বলিরেখা, ত্বক কুঁচকে যাওয়া এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা দেখা যায়। ত্বকের বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করতে আপনি কী করবেন এই বিষয়ে টিপস শেয়ার করেছে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অনিকা গোয়েল। সেগুলো কী-কী চলুন দেখে নেওয়া যাক…
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০ বছর বয়স থেকেই অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার রুটিন শুরু করা উচিত। যদিও মানুষের ধারণা ৪০-এ পা দিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত। এটা একদম ভুল। অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ারের অর্থ হল ত্বকের বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করা। এটা স্পষ্ট যে আপনি যত তাড়াতাড়ি এটি শুরু করবেন, তত বেশি আপনি ত্বককে ফাইন লাইন, বলিরেখা বা অন্যান্য বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারবেন।
শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ত্বককে ভাল থাকার জন্যও ব্যালেন্স ডায়েট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ডায়েটে বেশি করে ভিটামিন এবং মিনারেল রাখার চেষ্টা করুন। এর জন্য ফল, শাকসবজি, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি জাতীয় জিনিস বেশি করে খান। আপনি যদি সুস্থ থাকেন তাহলে ত্বক নিজে থেকেই উজ্জ্বল হতে শুরু করবে।
অকাল বার্ধক্য, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, সূর্যের ক্ষতির মতো জিনিসগুলি এড়াতে সানস্ক্রিন প্রয়োগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সানস্ক্রিন হল ত্বকের হাতিয়ার। এছাড়াও আপনার ত্বকের যত্নের রুটিনে রেটিনল অন্তর্ভুক্ত করুন। আজকাল অনেক বিউটি প্রোডাক্ট বাজারে উপলব্ধ রয়েছে যাতে রেটিনল থাকে। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
কোষের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি টপিক্যালি এবং খাবার উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা উচিত। এর জন্য আপনার ত্বকের যত্নের রুটিনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন। আজকাল অনেক সিরাম এবং ক্রিম পাওয়া যায়, যেগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। সেগুলো স্কিন কেয়ার রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক চাপ ত্বক ও চুলের সবচেয়ে বড় শত্রু। এটা নিয়ে শুধু ত্বকে নয় শরীরেও নানা সমস্যা তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, মানসিক চাপ দ্রুত বার্ধক্যের চাপ ফেলে মুখে। তাই যতটা পারেন এর থেকে দূরে থাকুন।
View this post on Instagram
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।