AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ত্বকের যত্নে ফেসপ্যাকে মধু তো ব্যবহার করেন, কিন্তু এর উপকারিতা কী, তা জানেন?

এই প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপাদানে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের গুণ, যা আপনার ত্বকরে টোনড করতে সাহায্য করে।

ত্বকের যত্নে ফেসপ্যাকে মধু তো ব্যবহার করেন, কিন্তু এর উপকারিতা কী, তা জানেন?
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2021 | 9:05 AM
Share

বহু প্রাচীনকাল থেকেই স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য মধুর ব্যবহার চলে আসছে। মিষ্ট স্বাদের পাশাপাশি মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভেষজ উপদানা। শিশু থেকে বুড়ো- সব বয়সিদের জন্যই মধু একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। মা-ঠাকুমাদের কথা অনুযায়ী, সর্দি-কাশিতে যেমন উপকারী তেমনি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে মধুর ব্যবহার অপরিহার্য। মুখের ত্বকের জন্য কেন মধু এত ভাল, তা জানতে ইচ্ছে করেনি কখনও? ঘরোয়া উপায় ত্বকের পরিচর্চার জন্য প্যাক ব্যবহারের সময় মধু ব্যবহার করা হয়, কিন্তু এর উপকারিকা সম্পর্কে অনেকেরই অজানা।

মধু ত্বককে হাইড্রেট ও এক্সফোলিয়েট করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এই প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপাদানে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের গুণ, যা আপনার ত্বকরে টোনড করতে সাহায্য করে। ত্বককে প্রাণবন্ত ও তারুণ্যে ভরিয়ে তুলতে মধুর ব্যবহার অপরিহার্য। তববও ত্বকের যত্নের জন্য মধুর উপকারিতা সম্বন্ধে কয়েকটি তথ্য জেনে নেওয়া ভাল।

হাইড্রেট করতে সাহায্য করে- নিস্তেজ ও শুষ্ক ত্বকের সমস্যাকে দ্রুত মেটাতে মধুর গুণ যথেষ্ট। মুখের ত্বকের মধু ব্যবহার করলে প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য এটি ময়েশ্চারাজিংয়েরও কাজ করে এই ভেষজ উপাদান। মসৃণ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বকের জন্য মধু সবসম. ব্যবহার করা হয়।

রোদে পুড়ে যাওয়া থেকে রোধ করে- সানবার্ন বা সূর্যের প্রখর তাপে ত্বকে ট্যান পড়ে যায়। রোদে-গরমে ত্বক পুড়ে জ্বালাভাব অনুভব করলে মধু ওষুধের মতো কাজ করে। মধু হল এমন একটি ঘরোয়া প্রতিকার, যা যে কোনও সমস্যাতেই কাজে লাগে। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে কাঁচা মধুর প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করলে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের উপশম হয়।

অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে- নানাকারণে কম বয়সে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ সুস্পষ্ট, বলিরেখা ও রিঙ্কেলস ও চামড়া ঝুলে যাওয়ার মতো সমস্য়া তৈরি হলে এর মোক্ষম দাওয়াই হল মধু। এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ফ্রি র্যাডিক্য়াল ড্যামেজকেও প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়। এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উপাদান থাকায় মুখের মধ্যে বলিরেখা ও রিঙ্কেলস রোধে যথেষ্ট রোধ করতে সাহায্য করে। ত্বকে লাবণ্য ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে মধুর কদর বহু যুগ ধরে।

দুরন্ত ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করা হয়- মধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা ত্বকের উপরিভাগের ছিদ্রগুলির মুখ থেকে ময়লা সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করতে সাহায্য করে। পরিস্কার ত্বকে আর্দ্রতা ফেরাতে ও টানটান করে ধরে রাখতে সাহায্য করে। একচামচ নারকেল তেলের সঙ্গে এক চামচ কাঁচা মধু মিশিয়ে উপকারি প্যাক বানিয়ে তা ব্যবহার করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে চোখে না লেগে যায়। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাক সপ্তাহে ২-৩বার ব্যবহার করলে মধুর ম্যাজিকের কামাল লক্ষ্য করতে পারবেন আপনি নিজেই।

আরও পড়ুন: Skin Care Tips: ত্বকের সমস্যা মেটাতে পুদিনা পাতায় রয়েছে অশেষ গুণ! অজানা কিছু তথ্য জানুন…