Acne Problem: শীতেও ব্রণের সমস্যায় নাজেহাল? ঘরোয়া উপায়ে প্রতিকার পেতে রসুন-দুধের ফেসমাস্ক কতটা উপযুক্ত?
ব্রণের সমস্যা সমাধানের জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় খোঁজাই আদর্শ। শীতকালে শুষ্ক ত্বককে পরিচর্চা না করলে সেখানে ব্রণের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শরত, এই সময়েই কি বেশি ব্রণর প্রবণতা দেখা যায়? একেবারেই না, ব্রণ ঋতুর বিশেষে হলেও তেমন কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। শীতকালেও ত্বকের উপর বিরক্তিকর ব্রণের দেখা যেতে পারে। এই সমস্যা সকলকেই ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। ব্রণের সমস্যা সমাধানের জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় খোঁজাই আদর্শ। শীতকালে শুষ্ক ত্বককে পরিচর্চা না করলে সেখানে ব্রণের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই মরসুমে ব্রণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবেন কীভাবে, তার দুটি ফেসমাস্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল…
শীতকালে খুব সহজ উপায়ে ব্রণকে উত্খাত করতে এই বিশেষ মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে, কোন কোন উপকরণ দিয়ে উপকারী ফেসমাস্ক তৈরি করলেন, তা একনজরে দেখে নিন..
হলুদ এবং মধুর ফেসমাস্ক
আধ চা চামচ হলুদ ও এক টেবিলস্পুন মধু দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকের মাধ্যমে ব্রণ নিরাময়ে সাহায্য হতে পারে। হলুদ হল একটি প্রাকৃতিক প্রদাহবিরোধী। ফলে এটি ব্রণর জ্বালা কমাতে ও ত্বককে প্রশমিত করতে সাহায্য করে। মধু হব প্রাচীন একটি উপাদান। এর গুণে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। প্রাকৃতিকভাবে এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এর ফলে ভবিষ্যতে ব্রণের ব্রেকআউটের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। এই ফেসমাস্কটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য মুখে ব্যবহার করতে হবে। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর ত্বককে রক্ষা করতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন।
রসুন ও দুধ দিয়ে তৈরি ফেসমাস্ক
রসুনে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির উপাদান। তবে এটি যেন ত্বকে সরাসরি প্রয়োগ করবেন না, তাতে ত্বকের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে তাই রসুনের একটি কোয়া থেঁতো করে অ্যালোভেরা বা জোজোবা তেলে ডুবিয়ে রাখতে পারেন। এরপর ২ টেবিলচামট দুধে রসুন মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। দুধ হল প্রাকৃতিক উপাদান। ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। এই মাস্কটি মুখের ত্বকে ২-১০ মিনিট রেখে অপেক্ষা করুন। একপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্রণর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এর চেয়ে ভাল ফেসমাস্ক কিছু হতে পারে না।