Hair Care: চুলের যত্নে যোগ করুন তুলসী পাতা! খুশকির সমস্যা দূর করতে এই পাতা কীভাবে ব্যবহার করবেন?

তুলসী পাতার একাধিক উপকারিতা রয়েছে, যা শারীরিক সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের জন্যও খুবই উপকারী। খাওয়া ছাড়াও, অনেকে তাঁদের চুলে তুলসী পাতার পেস্টও লাগান। তুলসীতে পাওয়া ঔষধিগুণ নানাভাবে চুলের উপকার করে।

Hair Care: চুলের যত্নে যোগ করুন তুলসী পাতা! খুশকির সমস্যা দূর করতে এই পাতা কীভাবে ব্যবহার করবেন?
চুলের যত্নে যোগ করুন তুলসীর পাতা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 25, 2022 | 7:37 AM

তুলসী পাতার (Tulsi) একাধিক উপকারিতা রয়েছে, যা শারীরিক সমস্যা দূর করার পাশাপাশি ত্বক (Skin) ও চুলের (Hair) জন্যও খুবই উপকারী। খাওয়া ছাড়াও, অনেকে তাঁদের চুলে তুলসী পাতার পেস্টও লাগান। তুলসীতে পাওয়া ঔষধিগুণ নানাভাবে চুলের উপকার করে। সেই সঙ্গে চুল পড়া (Hair Fall), খুশকি (Dandruff) ও শুষ্ক চুল থেকে মুক্তি পেতে নানাভাবে ব্যবহার করা যায়। আপনি যদি আপনার চুল সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হন তবে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।

অন্যদিকে তুলসীর সঙ্গে অনেক ধর্মীয় বিশ্বাস জড়িত, তাই এটি বেশিরভাগ বাড়িতে সহজেই পাওয়া যায়। নবভারত টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী আপনি তুলসী পাতাকে শুকিয়ে পাউডার তৈরি করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তুলসী পাতা চুলের ফলিকলগুলিকে পুনরায় সক্রিয় করতে সহায়ক, যা চুল পড়ার সমস্যাও নিরাময় করতে পারে। এছাড়াও এটি মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখে এবং রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনি তুলসী পাতাকে কী কী উপায়ে চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারবেন।

তুলসী পাতার তেল- চুল পাতলা হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকে। পরে তা কমতে থাকে, এর জন্য অনেকে ওষুধ ও বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার আশ্রয় নেয়। আজকাল নারী-পুরুষ উভয়েই এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এই সমস্যা মোকাবেলায় তুলসী পাতা মিশিয়ে ভেষজ তেল তৈরি করতে পারেন। এর জন্য যে কোনও হেয়ার অলের সঙ্গে কিছু তুলসী পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। মেশানোর পর ১ ঘণ্টা রেখে দিন। এই সময় তেল রোদে রাখার চেষ্টা করুন। এরপর এটি মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

হেয়ার মাস্ক- খুশকি তৈলাক্ত এবং শুষ্ক উভয়ই হয়। যদিও শুষ্ক খুশকির মোকাবিলা করার জন্য অনেক ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে, কিন্তু আপনি যদি তৈলাক্ত খুশকির সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে কারি পাতা এবং তুলসী মিশিয়ে একটি হেয়ার প্যাক তৈরি করতে পারেন। এর জন্য ১০টি কারি পাতা এবং তুলসী পাতা একসঙ্গে মেশান। এর সঙ্গে ১ বা ২ ফোঁটা পেপারমিন্ট এসেন্সিয়াল অয়েল মেশান। এবার এটি আপনার মাথার ত্বকে লাগান। যদি এটি পাউডার আকারে হয় তবে আপনি দই মিশিয়ে প্রয়োগ করতে পারেন। চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী কারি ও তুলসী পাতা নেবেন। হেয়ার মাস্কটি অন্তত ৩৫ মিনিট রাখার পর চুল ধুয়ে ফেলুন।

হেয়ার স্প্রে- তুলসী পাতার জলও চুলের জন্য ভালো। কিছু মানুষের জন্য এটা জাদুর মত কাজ করে। হেয়ার প্যাক লাগানোর সময় না থাকলে তুলসীর জলও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য ৩ গ্লাস জল গরম করুন। এবার এতে ২০-২৫টি তুলসী পাতা মেশান। ভালো করে ফুটিয়ে নিন, যাতে এর রস জলে দ্রবীভূত হয়। এরপর এটি ঠান্ডা করে নিন। এবার শ্যাম্পু করার পর এই জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই সময় আপনার আঙুল দিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করতে থাকুন। এই দেশীয় পদ্ধতি খুবই উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।

আরও পড়ুন: ২০২২-এর নতুন বিউটি ট্রেন্ড ক্লিনজিং বাম! কীভাবে ব্যবহার করবেন, জেনে নিন