Wearing Right Bra: রাতে ব্রা পরে ঘুমোলে হতে পারে স্তন ক্যানসার, কী ধরনের ব্রা পরা যেতে পারে, জেনে নিন…
রাতে শোয়ার সময় পুশ আপ ব্রা কিংবা টাইট ব্রা পরে না শোয়াই ভাল। তার চেয়ে সুতির হালকা ব্রা পরে শোওয়া অভ্যেস করুন। বেশি আরামের হবে। রাতে ব্রা পরার পর হাত তুলে দেখে নেবেন কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা।
অনেকেই আছেন যারা মনে করেন অন্তর্বাস স্তনের গঠন ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই ব্যাপারটা আংশিক ঠিক হলেও, আমাদের এটা সব সময় মাথায় রাখতে হবে, ত্বক রন্ধ্রের মাধ্যমে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে থাকে। তাই, ত্বককে যত বেশি চাপমুক্ত রাখা যাবে, তা সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্যকর হবে। রাতে ঘুমনোর সময় বিশেষ করে আমাদের পোশাক অত্যন্ত আরামদায়ক হওয়া উচিত। কারণ, ব্যস্ত জীবনে রাতের ঘুম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
শোনা যায় প্রখ্যাত হলিউড অভিনেত্রী মারলিন মনরো বিশ্বাস করতেন রাতে অন্তর্বাস পরে ঘুমোলে স্তনের সৌন্দর্য অক্ষুন্ন থাকে। তাই তিনি প্রত্যেকদিন রাতেই নাকি ব্রা পরে ঘুমোতেন। কিন্তু অনেকে আবার মনে করেন ব্রা পরে ঘুমোনোর একাধিক ক্ষতিকর দিক রয়েছে। ঘুমে ব্যাঘ্যাত ঘটতে পারে, দীর্ঘক্ষণ ব্রা পরে থাকার ফলে শরীরে দাগ হয়ে যায়, চুলকানির সমস্যা হতে পারে। এমনকী ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা যায়। যদিও এই দাবিগুলোর মধ্যে কোনওটারই বিজ্ঞানভিত্তিক কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না।
রাতে অন্তর্বাস পরে ঘুমোলে কি স্তনের গঠন সুন্দর থাকে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় নি। বয়সের সঙ্গে স্তন নীচের দিকে ঝুলে পড়তে থাকে। এটা সম্পূর্ণভাবেই প্রাকৃতিক নিয়ম। প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে কিছু করা সম্ভব না। তবে, পুষ্টিকর খাবার ও নিয়মিত শরীরচর্চা কিংবা যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ আর স্তনকে বেশ কিছুটা সময় পর্যন্ত সতেজ রাখা যেতে পারে।
তাহলে কি রাতে ব্রা পরে ঘুমোনো একেবারেই উচিত নয়?
মোদ্দা কথায় এই বিষয়টি একেবারেই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। অনেকেই সারাক্ষণ ব্রা পরে থাকতে ভালবাসেন, অনেকে আবার বাড়িতে পৌঁছে ব্রা খুলে ফেলতে পারলেই বাঁচেন। যাঁর যেমন পছন্দ। তবে যাঁদের স্তন বড় তাঁরা রাতে ব্রা পরে শোয়ার অভ্যেস করলে উপকার পাবেন। এতে ঘুমের মধ্যে যেমন পাশ ফিরতে সমস্যা হবে না, তেমনই ভুল ভাবে শোয়ার কারণে স্তনে অযথা ব্যথাও হবে না। তবে, রাতে শোয়ার সময় পুশ আপ ব্রা কিংবা টাইট ব্রা পরে না শোয়াই ভাল। তার চেয়ে সুতির হালকা ব্রা পরে শোওয়া অভ্যেস করুন। বেশি আরামের হবে। রাতে ব্রা পরার পর হাত তুলে দেখে নেবেন কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা। আরামদায়ক মনে হলে তবেই তা পরবেন। না হলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হতে পারে।