Beat The Heat: কালবৈশাখীর দাপটে রাতের ঘুম স্বস্তির হলেও সকাল থেকে সেই এক চিত্র। বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাইরের তাপমাত্রা। রোদে-ঘামে গলদঘর্ম হয়ে অফিস যাওয়াই নিত্য রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর ঠান্ডা-গরমের জন্য শরীরও খারাপ হচ্ছে। গলা ব্যথা, গলা জ্বালা, সর্দি-কাশির পাশাপাশি পেটের সমস্যাও লেগে রয়েছে। আর তাই এই সময়ে শরীর সুস্থ রাখা নিতান্ত প্রয়োজন। সারাদিন ক্লান্তির পর বাড়ি ফিরে রান্না করতেও ইচ্ছে করে না। তেমনই গরমের দিনে বাইরের খাবার না খাওয়াও ভাল। আর খালিপেটে থেকে খিদে চেপে লাগলে সেখান থেকেও কিন্তু পেট ফেঁপে যাওয়া, খাবার হজম না হওয়া-সহ একাধিক সমস্যা আসে। যে কারণে শরীর সুস্থ রাখতে এই সময় হালকা খাওয়া-দাওয়া প্রয়োজন। আর তাই তাতাপোড়া গরমের হাত থেকে বাঁচতে হলে এই সময় একেবারে ঘরোয়া খাবারেই জোর দেওয়ার পরামর্শ সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর।
সম্প্রতি রুজুতা তাঁর ইন্সটাগ্রামে সকলকে সচেতন করতে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানেই তিনি এই তিন বিশেষ খাবারের কথা বলেন। যে ভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে সুস্থ থাকতে ঘরোয়া খাবারের প্রতি ভরসা রাখার কথা তিনি বলছেন। বরাবরই দেশি খাওয়ারের প্রতি সওয়াল করেন রুজুতা।যে খাবার আমাদের হাতের নাগালে পাওয়া যায়, যে খাবার সহজলভ্য, যে খাবার আপনার অঞ্চলেই চাষ হয় সেই সব স্থানীয় খাবারের প্রতিই ভরসা রাখার কথা বলছেন রুজুতা। গরম মানেই বাজার ভরে যায় স্থানীয় কিছু ফলে। সেই তালিকায় আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল থেকে শুরু করে জামরুল, তালশাঁস এসব নানা ফল থাকে। গরমের দিনে তালশাঁস খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম। তালশাঁসের মধ্যে কোনও ক্যালোরি নেই। তেমনই শরীরে জলের চাহিদা মেটাতেও সক্ষম। রুজুতা বলছেন দিন শুরু করুন এই স্থানীয় ফলেই। সারা বছর আপেল, কলা, সবেদা, খেজুর এসব দিয়ে মুজলি, ওটস এসব খান। গরমের দিনে ব্রেকফাস্ট সেরে মিড মর্নিং স্ন্যাকস হিসেবে খান তালশাঁস। গরমের এমন এক ফল যেটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই ঠান্ডা। এটি গরমে খেলে খুবই আরাম পাওয়া যায়।
এরপর দুপুরে স্রেফ দই-ভাত খেতে বলছেন রুজুতা। বাড়িতে পাতা টক দই দিয়ে ভাত খেতে পারেন। এছাড়াও বানিয়ে নিতে পারেন দক্ষিণী স্টাইলের কার্ড রাইস। এছাড়াও ভাত, টকদইয়ের সঙ্গে আচার, পাঁপড় সেঁকেও খেতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গুলকান্ড জলে গুলে শরবত বানিয়ে খেতে বলছেন রুজুতা। এতে শরীর থাকবে ঠান্ডা। সেই সঙ্গে মাথা ধরা, অ্যাসিডিটি, পেট ফেঁপে যাওয়া, ক্লান্তি, বদহজমের সমস্যাও দূর হবে। এই ভাবে চলতে পারলে গরমে থাকবেন সুস্থ। রেহাই পেতে আপনিও চলুন রুজুতার পরামর্শ মতো।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Curd With Honey: মধুপর্ক নয়, দইয়ের সঙ্গে স্রেফ মধু মিশিয়ে খান! একডজন রোগ হাওয়া হবে এক সপ্তাহেই