TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক
Aug 24, 2022 | 5:11 PM
কার্ড রাইস বা দই-ভাত দক্ষিণ ভারতের খুব জনপ্রিয় একটি খাবার। শুধু তাই নয়, উত্তর ভারতেও অনেকে খান। বিশেষত যদি পেটের সমস্যা হয় তখন ঘরোয়া টোটকা হিসেবে তাকে দই ভাত খাওয়ানো হয়। গরমের দিনে এই কার্ড রাইস ভীষণ উপাদেয়। খেতেও বেশ ভাল হয়। আর খুব সহজেই বানানো যায় এই কার্ড রাইস
কার্ড রাইস বা দই ভাতের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। এই রাইস বানানো হয় টকদই দিয়েই। টকদই হজম করা সহজ। এছাড়াও টকদই প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ। যা অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটের ব্যথাও দূর করে
দই ভাত আমাদের পেট ঠাণ্ডা রাখতেও সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বজায় রাখে। জ্বর হলেও খেতে পারেন এই কার্ড রাইস। এছাড়াও এই খাবারের মধ্যে থাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খনিজ, পুষ্টি। যা আমাদের মানসিক চাপ কমায়
দইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রোবায়োটিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভাল চর্বি। যা আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেট ভরিয়ে রাখে দীর্ঘক্ষণ। যে কারণে ওজনও কিন্তু তাড়াতাড়ি কমে। দই ভাতে চাল কম পরিমাণে থাকে। ফলে ক্যালোরিও কম যায় শরীরে
তবে অনেকেরই মনে হতে পারে দই ভাত আর টকদই ভাতের পর খাওয়ার মধ্যে ফারাক কোথায়? ওজন কমাতে চিকিৎসকেরা, বিশেষজ্ঞরা সব সময় টকদই খাওয়ার কথা বলেন। কেউ ভাতের পর খান একবাটি টকদই। কেউ আবার খান রুটির সঙ্গে। তবে টকদইয়ের মধ্যে চিনি মিশিয়ে দিলে কিন্তু কোনও উপকার হয় না। আর যে পরিমাণ দই টার্ড রাইসে ব্যবহার করা হয় অনেকেই সেই পরিমাণ দই শুধু খেতে পারেন না
ওজন কমানোর জন্য অন্তত ২০০ গ্রাম টকদই রোজ খেতে হয়। অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর তাই ওজন কমাতে চাইলে বানিয়ে নিন কার্ড রাইল। খেতেও ভাল লাগবে সেই সঙ্গে অন্য পদের প্রয়োজন পড়বে না। শরীরে পরিমাণে কম তেল যাবে। অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকবে
তবে সুস্থ থাকতে রোজ সকলের একবাটি করে টকদই খাওয়া উচিত। কার্ড রাইস বানানোও খুব সোজা। একদিন বানিয়ে খেলে রোজ খেতে ইচ্ছে করবে