Winter Fruits: শীতের ফলের ঝুড়িতে থাকে হরেক ফল, তার মধ্যে শাঁকালু আর সবেদা কেন খাবেন?
Chikoo For Health: অন্যান্য ফলের চাইতে সবেদা আর শাঁকালুর দাম কম। রোজ খেলে একাধিক উপকার পাবেন
শীতে বাজার করতে সবচেয়ে বেশি মজা লাগে। বাহারি শাক-সবজি আর ফলে ভরে থাকে ঝুড়ি। যেদিকেই তাকানো যায় সেদিকেই রঙিন। গাজর, বিট, বিনস, ব্রকোলি, টমেটো, ক্যাপসিকাম, শিম এসব যেমন একদিকে থাকে তেমনই অন্যদিকে থাকে কমলালেবু, আপেল, পেয়ারা, ফুটি, আঙুর, ডালিম-সহ একাধিক ফল। শীত মানেই ফল আর ফুলের মেলা। কমলালেবু ছাড়াও শীতকালে আরও যে সব ফল বাজার মাতিয়ে রাখে তা হল শাঁকালু, সবেদা। দেশী এই ফল খেতে যেমন ভাল তেমনই পুষ্টিগুণও অনেক। শীতের দিনে যে কোনও পুজোতেও ব্যবহার করা হয় এই সব ফল।
আগে সরস্বতী পুজোর প্রসাদে বাঁধাধরা থাকত এই শাঁকালু। এছাড়াও পৌষের শেষে নবান্নতে প্রসাদের টুকরো হিসেবে থাকবেই শাঁকালু। মাটির নীচে হওয়া সাদা এই ফলটি খেতে ভালবাসেন অনেকেই। অনেকের আবার মনে ভয় থাকে বেশি খেলে সুগার বাড়বে না তো! এমনিতেই আলু নিয়ে নানা চোরা সন্দেহ রয়েছে মনে। তায় যখন শাঁকালু তখন সন্দেহ যে আরও বেশি জটিল হবে এ বিষয়ে কোনও দ্বিধা নেই। সব মরশুমি ফলই খাওয়া উচিত। শীতের দিনে শাঁকালু কেন খাবেন?
শাঁকালুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অদ্রবণীয় ফাইবার। যা হজমে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গ্যাস, অম্বলও হয় না। যাঁদের আইবিএস বা পেটের অন্যান্য কোনও সমস্যা রয়েছে তার জন্যেও খুব উপকারী হল শাঁকালু। শাঁকালুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে সেই সঙ্গে হজম করতেও সাহায্য করে। যে কারণে শীতের দিনে যদি শুধুমাত্র ফল ডায়েট করেন তাহলে শাঁখালু অবশ্যই খাবেন নিয়ম করে। এতে তাড়াতাড়ি ফ্যাট কমবে। অল্পেই পেট ভরে যাবে।
সবেদার মধ্যেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। সারা বছর পাওয়া গেলেও শীতে এই ফল পাওয়া যায় সবচাইতে বেশি। প্রাকৃতিক ভাবেই সবেদার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফ্রুকটোজ। এছাড়াও এই ফলের মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ই, সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। যা চুল আর ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষাতেও খুব ভাল কাজ করে। এসব বাদ দিলেও সবেদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খুব ভাল উৎস। এছাড়াও সবেদা সহজপাচ্য। পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আর ফসফরাসের খুব ভাল উৎস হল এই সবেদা। যে কারণে অন্য যে কোনও ফল খাওয়া হোক বা নাই হোক সবেদা, শাঁকালু অবশ্যই খাবেন।