AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kidney Stones: এই ৪ জুসেই কিডনি স্টোন হবে ভ্যানিশ! লাগবে না ওষুধও…

কিডনিতে স্টোন হলে তা যদি প্রথমেই ধরা পড়ে যায় তাহলে তেমন সমস্যা থাকে না। তবে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। সেই সঙ্গে রোজ তুলসি পাতা চিবিয়ে খান

Kidney Stones: এই ৪ জুসেই কিডনি স্টোন হবে ভ্যানিশ! লাগবে না ওষুধও...
কিডনির সমস্যায় প্রচুর পরিমাণে জল খান
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2022 | 11:02 PM
Share

কিডনিতে পাথরের সমস্যা নিয়ে অনেকেই ভোগেন। কিন্তু কিডনিতে পাথর বড়ই যন্ত্রণাদায়ক। ডাক্তারি পরিভাষায় একে Nephrolithiasis বলা হয়। নানা কারণে কিন্তু কিডনিতে পাথর জমতে পারে। সব সময় জল কম খেলেই যে এই সমস্যা হবে এমন কিন্তু নয়। ডায়াবিটিসের সমস্যা থেকেও আসতে পারে কিডনির সমস্যা। কিডনির পাথর হল খনিজ ও লবণ দিয়ে তৈরি শক্ত একপ্রকার পদার্থ। দীর্ঘদিন ধরে দূষিত রেচন জমতে জমতে এই পাথরের আকার নেয়। খারাপ খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়া, দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ খেয়ে যাওয়া এবং অন্যান্য গুপ্ত রোগের সমস্যা থেকেও কিন্তু কিডনিতে পাথর হতে পারে। কিডনিতে পাথর হলে মূত্রনালীর যে কোনও অংশ কিন্তু প্রভাবিত হতে পারে। এতে প্রস্রাবে সমস্যা হয়। অনেক সময় প্রস্রাব ঘন হয়েও কিন্তু এই পাথরের সমস্যা হতে পারে। সময়মতো কিডনিতে পাথর ধরা পড়লে কিন্তু শরীরের তেমন কতোনও ক্ষতি হয় না। ওষুধ, প্রচুর পরিমাণ জল খেলেই কিন্তু তা আপনা আপনি বেরিয়ে আসে। আর মূত্রনালীতে পাথর জমা হলে সেখান থেকে মূত্রনালীতে সংক্রমণ হতে পারে। সেখান থেকে কিন্তু জটিলতা তৈরি হতে পারে। আর তখন প্রয়োজন হয় অস্ত্রোপচারের।

এছাড়াও কিডনিতে পাথর হলে পিঠে ব্যথা, পাঁজরে ব্যথা, তলপেটে ব্যথা, কুঁচকিতে ব্যথা এসব নানা সমস্যা কিন্তু লেগেই থাকে। আর কিডনিতে পাথর হলে প্রস্রাবের সময়ও কিন্তু ব্যথা হয়। এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের রং বদলে যায়। দুর্গন্ধ যুক্ত প্রস্রাব হয়। ঘন ঘন প্রস্রাব, স্বাভাবিকের থেকে বেশি প্রস্রাব, কম পরিমাণে হওয়া, বমি বমি ভাব, সংক্রমণ, জ্বর, ঠান্ডা লাগা এসব সমস্যা থেকে যায়। এরকম সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ তো অবশ্যই খাবেন সেই সঙ্গে মেনে চলতে পারেন এই কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকারও।

তুলসির জুস- এক গ্লাস জলে ১০ টা তুলসি পাতা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এতে ব্যথাও কমে। সেই সঙ্গে তুলসির পাতায় থাকে অনেক রকম ভিটামিনও। থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা কিডনিকে ভাল রাখে। ছাঁকনি প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে।

লেবুর রস- বেশ কিছু সমীক্ষা বলছে, লেবুর রসও কিন্তু কিডনির জন্য খুবই ভাল। লেবুর মধ্যে যে ক্যালশিয়াম থাকে তা কিন্তু স্টোন গলাতে সাহায্য করে। লেবুর জল নিয়মিত খেলে অনেক সময় ছোট স্টোন থাকলে তা বেরিয়ে যায়। এছাড়াও লেবুতে থাকে ভিটামিন সি। যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতেও সাহায্য করে।

আপেল সিডার ভিনিগার- অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের মধ্যে থাকে অ্যাসিটিক অ্যাসিড। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারও কিডনির স্টোন গলাতে এবং পেটের ব্যথা রুখতেও সাহায্য করে। তবে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার কিন্তু বেশি না খাওয়াই ভাল। এক গ্লাস জলে দু চামচ মিশিয়ে খান। সকালে খালি পেটে ইষদুষ্ণ জলে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নেবেন।

বেদানার জুস- বেদানার জুস কিডনির জন্য খুবই ভাল। তাই রোজ এক গ্লাস করে বেদানার জুস খান। বেদানার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে থাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন আর খনিজ। বেদানা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেই ভাল কাজ করে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।