Weight Loss Tips: এক সপ্তাহের ফুড চ্যালেঞ্জ হোক এইসব খাবারের সঙ্গে! ফ্যাট গলবে চোখের নিমেষে
Food For Health: ঠিকমতো ভাবে খাবার না খেলে কিন্তু মোটেই ওজন কমে না। উল্টে ওজন বেড়ে যাএয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর তাই প্লেটের দিকে যেমন নজর রাখবেন তেমনই কিন্তু ক্যালোরি মেপে খাবার খাবেন
অনেক সময় ঠিকমতো ডায়েট (Diet) করলেও কিন্তু ওজন কমে না। আবার কোনও ডায়েট ফুড ভাল লাগলে অনেকেই পরিমাণ বুঝতে না পেরে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। আর এখান থেকে কিন্তু আসে একাধিক শারীরিক সমস্যা। তখন তো ওজন কমেই না (Weight loss tips)। উল্টে বেড়ে যায়। খাবার খাওয়া বন্ধ করলেই ওজন কমে যায় না। তেমনই প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম খাবার খেলে তখনও কিন্তু ওজন কমে না। উল্টে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বরং খাবার খাওয়ারও কিন্তু কিছু রীতি রয়েছে। ভুঁড়ি কমাতে হলে প্রথমে স্বাস্থ্যকর খাবার গুলি আমাদের একটা প্লেটে সাজিয়ে নিতে হবে। এবার তা ঠিকমতো খেলে তবেই কিন্তু চর্বি গলবে। সেই সঙ্গে বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে হবে। বিপাক ক্রিয়া ঠিকমতো হলে কিন্তু চর্বি গলতে মোটেই বেশি সময় লাগে না। আর তাই চটজলদি ওজন কমাতে (Diet Tips) কিছু খাবারের তালিকা রইল আপনার হাতে। এই খাবারগুলির সঙ্গে জোট বাঁধতে পারলে ওজন কমবে তাড়াতাড়ি। সেই সঙ্গে কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যেই গলতে শুরু করবে পেটের নাছোড়বান্দা চর্বি।
*কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন একসঙ্গে খান- পেশি গঠনের জন্য এবং ওয়ার্ক আউটের পর অবশ্যই প্রোটিন ও কার্বস একসঙ্গে খান। কারণ এতে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। সেই সঙ্গে কিন্তু ওজনও দ্রুত কমে। এছাড়াও এতে হজম ভাল হয়, রক্তে শর্করার পরিমাণ থাকে নিয়ন্ত্রণে। যে কারণে কলা আর পিনাট বাটার একসঙ্গে খেতে বলা হয়। স্মুদির সঙ্গেও মিশিয়ে খেতে পারেন। বা মুজলির সঙ্গে কলা, সবেদা, পিনাট বাটার দিয়েও খেতে পারেন।
*পালং শাক আর লেবু- অনেকেই সকালে পালং শাকের স্মুদি খান। এই স্মুদির সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস কিন্তু যোগ করে নিতে পারেন। কারণ লেবু ভিটামিন সি এর ভাল উৎস। আর পালং শাকের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। এর ফলে শরীরের ভিটামিন সি শোষণ করার ক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে শরীরে বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হয়।
*ক্যাপসিকাম এবং ডিম একসঙ্গে যদি খান তাহলে কিন্তু কোমরের ফ্যাট ঝরবে ভীষণ তাড়াতাড়ি। ক্যাপসিকামের মধ্যে থাকে অ্যান্চিঅক্সিডেন্ট ও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা আমাদের বিপাকে সাহায্য করে। এছাড়াও ডিমে থাকে কোলিন, যা আমাদের বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে তোলে। ক্যাপসিকাম গোল চাকা চাকা করে কেটে নিন। প্যানে এক চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে প্রথমে ক্যাপসিকাম দিন। এরপর ওর মধ্যে দুটো ডিম ভেঙে দিন। ব্রেকফাস্টে এই কম্বিনেশন খেতে পারলে কিন্তু ভাল ফল পাবেন।
*যাঁরা নিয়মিত ওটস খান তাঁরা যদি ওটসের সঙ্গে দই আর স্ট্রবেরির স্লাইস যোগ করতে পারেন তাহলে কিন্তু ভাল ফল পাবেন। ওজন কমানোর জন্য খুবই উপকারী হল ওটস। ক্যালোরি একেবারেই নেই। এছাড়াও খিদে কমাতে সাহায্য করে ওটস। স্ট্রবেরির মধ্যে থাকে পলিফেনল নামের একরকম যৌগ। যা আমাদের ওজন কমায় দ্রুত।
*খিদে পেলে অন্য কিছু না খেয়ে পেস্তা আর আমন্ড খান। এতেও কিন্তু তাড়াতাড়ি ওজন কমে। এর মধ্যে যে অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে তা ওয়ার্ক আউট পরবর্তী সময়ে চর্বি গলাতে সাহায্য করে। আর তাই ওয়ার্কআউটের পর অবশ্যই খান আমন্ড।