Snacking Tips: দুপুরে ভরপেট খাবার খেয়েও বিকেল ৫ টা বাজলেই খিদে পায়? কী খাবেন অফিসে! রইল আইডিয়া

Hunger Cravings: যে খাবার খান না কেন তা মন দিয়ে খান। তৃপ্তি করে খান। খেতে খেতে ফোন ঘাঁচবেন না বা অন্য কারোর সঙ্গে কথা বলবেন না...

Snacking Tips: দুপুরে ভরপেট খাবার খেয়েও বিকেল ৫ টা বাজলেই খিদে পায়? কী খাবেন অফিসে! রইল আইডিয়া
খুচখাচ খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2022 | 7:21 PM

দীর্ঘ আড়াই বছরের লকডাউন কাটিয়ে ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে সবকিছু । যদিও কভিড এখনও পিছু ছাড়েনি। আবারও বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। তবে সিকুল, কলেজ, অফিস এখন অনেকটাই ছন্দে ফিরেছে। দীর্ঘদিন গৃহবন্দি থাকার ফলে আমাদের অনেক রকম অভ্যাসেও এসেছে বদল। বিশেষত খাওয়া আর ঘুমের সময়ে। সারাদিন বসে কাজ করার ফলে খাদ্যাভ্যাসেও এসেছে বদল। একই সঙ্গে তরতরিয়ে বাড়ছে ওজনও। অফিস যাওয়ার পরও এই অভ্যাসে খুব একটা বদল আসেনি। সময়ে দুপুরের খাবার খেলেও ঠিক বিকেল পাঁচটা বাজতে না বাজতেই মন উড়ু উড়ু। তখন এখন ভাজাভুজি, ঝালমুড়ি, রোল-চাউমিন এসব খেতেই বেশি ইচ্ছে করে। এভাবে খাবার খেলে শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয়। তাই বিকেলের ভুল ভাল খাওয়ার লোভ এড়াতে যে সব অভ্যাস মেনে চলবেন-

হাইড্রেট রাখুন নিজেকে- সারাদিনে অফিসে বসে প্রচুর পরিমাণ জল খান। এতে শরীর থাকবে হাইড্রেটেড। সেই সঙ্গে অন্য কিছু খাবার খাওয়ার ইচ্ছে চলে যায়। এছাড়াও ডায়েটে তরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। ডাবের জল, বাটারমিল্ক, লেবুর জল এসব অবশ্যই রাখুন ডায়েটে। সেই সঙ্গে ডিটক্স ওয়াটারও অবশ্যই রাখুন। তবে চিনি বা যে কোনও কার্বোনেটেড ড্রিংক অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন।

হেলদি খাবার খান- রোজকার খাবারে তেল-মশলা কম রাখুন। চেষ্টা করুন বাড়ির বানানো খাবার বেশি পরিমাণে খেতে। এছাড়াও একটা রুটিন তৈরি করে নিন। কোন সময়ে কোন খাবার খাবেন তা আগে থেকেই ঠেক করে রাখুন। সঙ্গে সব সময় ড্রাই ফ্রুটস রাখুন। খিদে পেলে অন্য কোনও কিছু না খেয়ে ড্রাই ফ্রুটস খান।

স্ন্যাকস হিসেবে যা খাবেন- স্ন্যাকস টাইমে সবচেয়ে ভাল যদি ফল রাখতে পারেন। কোনও রকম জাঙ্ক ফুড, ভাজা খাবার এসব রাখবেন না। পরিবর্তে ডিম সিদ্ধ, কর্ন এসব খান। স্যালাড, বিভিন্ন বীজ, স্প্রাউট, বেকড খাবার, রোস্টেড মাখনা, এসব খান। এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। স্মুদি খেতে পারেন। প্রোটিন আর ফাইবার বেশি আছে এরকম খাবারই খান বিকেলে। এছাড়াও কুইনোয়া খেতে পারেন। কুইনোয়া দিয়ে পোলাও বানিয়ে খেলেও বেশ ভাল লাগে। অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে।

মন দিয়ে খান- যে খাবার খান না কেন তা মন দিয়ে খান। তৃপ্তি করে খান। খেতে খেতে ফোন ঘাঁচবেন না বা অন্য কারোর সঙ্গে কথা বলবেন না। এতে শরীর সঠিক পরিমাণে পুষ্টি পায় না। খাবার ঠিক মত না খেলেই মেজাজ বিগড়ে যায়। তখন আরও বেশি ডিপ্রেশন আসে এবং উল্টো-পাল্টা খাবার খাওয়ার ইচ্ছে বেড়ে যায়। যে রকম ভাবে আপনি খাবার খেতে স্বচ্ছন্দ সে ভাবেই খান। কাউকে দেখিয়ে খাবার কোনও প্রয়োজন নেই। এতে হজম ভাল হবে আর পেটও ভরবে।

খাবার আগে থেকেই ভাগ করে রাখুন- কোন সময়ে কোন খাবার খাবেন তা আগে থেকেই ভাগ করে নিন। টিফিন বক্সে আলাদা করে ভরে রাখুন। সময়ের খাবার সময়ে খেলে উল্টো-পাল্টা কিছু খাবার ইচ্ছে থাকে না। চোখের খিদে নিজেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। উল্টো-পাল্টা খাবার খাওয়া নিজেকেই বন্ধ করতে হবে। নিজে সংযত থাকলেই ওজন কমবে। তাই বলে উল্টো পাল্টা খাবার কিন্তু একেবারেই নয়।