Easy Weight Loss Tips: রোজ সকালে ওয়ার্কআউটের সঙ্গে এই নিয়ম মানলে ভুঁড়ি কমবে মাত্র ৫ দিনেই!

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

May 05, 2022 | 9:21 AM

Weight loss hacks: রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা করা, বেশি পরিমাণ জল খাওয়ার পাশাপাশি রোজকার খাবারও মেপে খান। ছোট প্লেটে খাবার খান, এতে কম খাওয়া হবে

Easy Weight Loss Tips: রোজ সকালে ওয়ার্কআউটের সঙ্গে এই নিয়ম মানলে ভুঁড়ি কমবে মাত্র ৫ দিনেই!
ভুঁড়ি কমানোর সহজ উপায়

Follow Us

ইন্টারনেটে যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি সার্চ হয় তা হল- ওয়েট লস। সবচেয়ে দ্রুত কী ভাবে ওজন কমানো যায় সেই লক্ষ্যেই সকলে ছুটছেন। বাড়তি ওজন যে রাতারাতি ছেঁটে ফেলা যায় না- এই সহজ বিষয়টি অনেকেই বুঝতে চান না। একদিন ভুরিভোজ খেলেই মেদ জমে না। টানা ৭ দিন যদি পোলাও, বিরিয়ানি, এগরোল, পিৎসা, বার্গার, আইসক্রিম গোগ্রাসে গিলতে থাকেন তবেই  বাড়বে ওজন। সেই সঙ্গে চড়চড়িয়ে বাড়বে ট্রাইগ্লিসারাইড আর কোলেস্টেরলও। শরীরের বাড়তি ফ্যাট কিন্তু সবচেয়ে বেশি জমা হয় পেটে। যে কারণে ওজন বাড়লে আগে ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করে। মধ্যপ্রদেশ একবার স্ফীত হতে শুরু করলে তা কমানো যেমন কঠিন তেমনই সেখান থেকে আসে নানা শারীরিক অসুবিধেও। হার্ট অ্যার্টাক, ডায়াবেটিসের মত প্রাণঘাতী রোগের ইঙ্গিত দেয় ক্রমবর্ধমান ভুঁড়ি। আর তাই এই বাড়তি ফ্যাট আগে ঝরিয়ে ফেলতে হবেই।

পেটের মেদ কমানোর সহজ উপায় 

প্রথমেই খাদ্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত ক্যালোরি ছেঁটে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া রপ্ত করতে হবে। প্রোটিন, ফাইবার এসব বেশি করে খেতে হবে। ডিম, বিভিন্ন বাদাম, পিনাট বাটার এবং চর্বিহীন মাংস রাখুন আপনার ডায়েটে। এছাড়াও ওটস, ফল, সবুজ শাকসবজি এসবও নিয়মমাফিক খেতে হবে। শস্যদানা খান কিন্তু অতিরিক্ত চিনি রয়েছে এরকম শস্যদানাও এড়িয়ে চলতে হবে। প্যানকেক, পেস্ট্রি, মিষ্টি এসব খাবার রক্তে সর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই প্রথম থেকেই বাদ রাখুন।

নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা কিন্তু করতেই হবে। তবেই মস্তিষ্কও ঠিকমতো কাজ করে। সেই সঙ্গে মানসিক চাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে। সাঁতার কাটা, জুম্বা, অ্যারোবিক্স বা যে কোনও ডান্স এক্সসারসাইজ আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভাল। এতে কোমরের চারপাশের চর্বি দ্রুত গলে। এছাড়াও ওয়েট লিফটিংও করুন নিয়মিত ভাবে। সপ্তাহে অন্তত ৪-৫ দিন ব্যায়াম খুব জরুরি। তার থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হল ব্যায়ামের পরস ঘাম।

সারাদিনের খাবারকে কয়েকটি ছোট ভাগে ভাগ করে নিন। একবারেই সব খাবার খেয়ে ফেলবেন না। এতে বেশি কার্বোহাইড্রেট খাওয়া হয়ে যায়। ছোট প্লেট নিন এবং প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান। এই ৩-৪ ঘন্টার গ্যাপ দিয়ে খাবার খেলে কিন্তু ওজন কমবেই।

সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। যত বেশি জল খাবেন ততই শরীরের ভাল ডিটক্সিফিকেশন হবে। সেই সঙ্গে খিদেও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। আর পরিমাণে জল খেলে তা কিন্তু আমাদের চর্বি গলাতেও সাহায্য করবে। দিনের মধ্যে ৭-৮ গ্লাস জল খান। চিনিযুক্ত জল বা কার্বোনেটেড পানীয় একেবারেই নয়। এতে শরীরে রক্তশর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

ওজন বৃদ্ধির আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল মানসিক চাপ। আর এই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা আমাদের কর্তব্য। প্রয়োজনে কাছের মানুষদের সমস্যার কথা বলুন। বন্ধুদের সঙ্গেও আলোচনা করুন। এতে কমবে মানসিক চাপ। সেই সঙ্গে বাড়বে পজিটিভিটিও।