Ayurvedic Tips: বর্ষার মুখেই সর্দিকাশি, নাকবন্ধ? আয়ুর্বেদ এই পানীয়তেই হবে মুশকিল আসান
Ayurveda: বর্ষায় কোথাও বেড়াতে গেলেও সঙ্গে রাখতে পারেন এই পানীয়ের মিশ্রণ। ঠাণ্ডা লাগা থেকে রেহাই মিলবে চটজলদি
দোরগোড়ায় বর্ষা। উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যে প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও পর্যন্ত তার দেখা পাওয়া যায়নি। মেঘলা আকাশ। রোদের দেখা না মিললেও রয়েছে আর্দ্কতাজনিত অস্বস্তি। আর তাই বাইরে বেরোলেই কুলকুল করে ঘাম হচ্ছে। ফ্যান কিংবা এসি ছাড়া টেকা দায়। এই ঘাম-গরম সঙ্গে নিয়ে এসি ঘরের মধ্যে ঢুকলেই ঠান্ডা বসে যাচ্ছে। দিনের পর দিন এভাবে চলতে থাকার জন্যই বেশি শরীর খারাপ হচ্ছে। তাপমাত্রার তারতম্যই কিন্তু এর প্রধান কারণ। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, গলা বসে যাওয়া, কথা বলতে গেলে গলা ধরে যাওয়া- এই সব সমস্যাই কিন্তু বেশি দেখা দিচ্ছে। কিছুজনের ক্ষেত্রে শরীরে হালকা জ্বরও থাকছে। আবার অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় হালকা ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজলেও সেখান থেকে শরীর খারাপ করছে। এই সব মিলিয়েই জেরবার মানুষ।
তবে সামান্য জ্বর, সর্দি, গলাব্যথার সমস্যায় প্রথমেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক নয়। প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যান্টিবায়োটিক খেতে থাকলে একসময়ে শরীরে তার আর কোনও প্রভাব থাকে না। যখন সত্যিকারের প্রয়োজন পড়বে তখন আর ওই সব ওষুধ কাজ করবে না। খুবসমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে যান, তিনি সংক্রমণের ধরন অনুযায়ী ওষুধ দেবেন। এছাড়া মানতে পারেন আর্য়ুবেদের এই বিশেষ টোটকা। ঘরোয়া আর ভেষজ উপাদানে তৈরি এই পানীয়ের কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। একই সঙ্গে আর্য়ুবেদ নিয়মিত মেনে চলতে পারলে শরীরে রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। অনেক রকম মরশুমি সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
View this post on Instagram
সম্প্রতি আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার তাঁর ইন্সটাগ্রামে বিশেষ এই পানীয়ের কথা তুলে ধরেছেন। দীক্ষার পরামর্শ, ২ গ্লাস জলে ১০ ট পুদিনা পাতা, ১ চামচ জওয়ান, হাফ চামচ মেথি, হাফ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মাঝারি আঁচে ফুটিয়ে নিন। এই বার তা ছেঁকে নিয়ে খান দিনের মধ্যে দুবার। সকালে উঠে খালি পেটে খেতে পারলে ভাল। নইলে দুপুরের খাবারের একগন্টা পরও খেতে পারেন। এই মিশ্রণটি দিয়ে গার্গল করলেও কিন্তু আরাম পাবেন। আবার এই মিশ্রণে যদি ভেপার নেন তাহলেও কাজ হবে। মাথা ছাড়বে। ভেপার নিলে শ্লেষ্মাও সহজে বেরিয়ে আসবে। আর এই মিশ্রণে অন্তত তিনবার গার্গল করতেই হবে। যদি নিয়ম করে ১০ দিন অই টোটকা মেনে চলতে পারেন তাহলে ভেতর থেকে দূর হবে সর্দি-কাশির সমস্যা। কারোর যদি তীব্র কাশি, ঠাণ্ডা লাগা আর শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকে তাহলে তাঁকেও নির্ভয়ে দিতে পারেন এই পানীয়। আরাম হবেই।