Viral Video: চিজ ভরা ফুচকা! নাগপুরের ফুচকাওলার গবেষণায় অগ্নিশর্মা নেট নাগরিকরা!
তবু গবেষণা চলছে, চলবে। আচ্ছা, আপনি কি কখনও চিজভর্তি ফুচকা খেয়ে দেখেছেন? চিজভর্তি ফুচকা! এমন বকচ্ছপ ব্যাপার শুনেই শরীর অদ্ভুত অনুভূতিতে ভরে গেল?
স্ট্রিট ফুড (Street Food)বা রাস্তার ধারের খাবারের মধ্যে ১ নম্বরে কে? এই প্রশ্ন করলে সকলেই একযোগে বলবেন— ফুচকা, ফুচকা, ফুচকা (Pani Puri)! আহা গালে জল জমিয়ে দেওয়া এই খাবারের কতশত নাম— গোলগাপ্পা, পানিপুরি, ফুচকা, বাতাশে কিংবা গুপ চুপ! শতনাম সত্ত্বেও তেঁতুল জল আর মশলা মেশানো আলুর পুরে পূর্ণ ফুচকা কখনও তার সনাতন স্বাদের ( Traditional Recipe) চরিত্রবদল করেনি। এতজন এল গেল! কতজন ফুচকায় চিল চাটনি কিংবা দই! স্বাদেও তারা ভিন্ন। তবু, এত ধরনের গবেষণার (Experiment) পরেও সারাদেশেই কিন্তু সেই টকজল আর ঝাল ঝাল আলু দেওয়া ফুচকার চাহিদা কমেনি কখনও।আহা, খরখরে ফুচকার কড়মড়ে ভেঙে যাওয়া আর জিভের স্বাদকোরকে টকঝালের সামান্য স্পর্শমাত্র ব্রহ্মতালুতে ঝন্ঝনানির অভিজ্ঞতা আর কোন খাদ্যবস্তুতে আসে?
তবু গবেষণা চলছে, চলবে। আচ্ছা, আপনি কি কখনও চিজভর্তি ফুচকা খেয়ে দেখেছেন? চিজভর্তি ফুচকা! এমন বকচ্ছপ ব্যাপার শুনেই শরীর অদ্ভুত অনুভূতিতে ভরে গেল? অথচ, জানলে অবাক হবেন, একজন ফুচকাওলা ঠিক এমন কাজই করেছেন। তার এহেন কান্ডকারখানায় অনেকেই আন্তর্জালে জাহির করেছেন তাঁদের উষ্মা।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ফুড ব্লগার অ্যাট দি রেট ফুডওলগু_নাগপুর (food vlogger @food_o_logu_nagpur) অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিও পোস্ট-এ দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত কান্ড! এক ফুচকা বিক্রেতা সাধের ফুচকার মেশানোর জন্য রাখা পুরের ওপর নির্বিকার মিশিয়ে যাচ্ছেন চিজ? ভিডিওর শুরুতে দেখা যাচ্ছে একজন স্ট্রিট ভেন্ডার র্যা পার খুলে চিজের একটি বড় টুকরো বের করছেন। এরপর একটি গ্রেটারের সাহায্যে চিজের খণ্ডটিকে করছেন টুকরো টুকরো! শ্রেডেড চিজ পড়ছে কোথায়? একেবারে গোলপানা ফুচকার পেটে পোরার পুরে! ফুড ব্লগার সরাসরি সেই ফুচকাওলাকে প্রশ্নও করেন, ‘আপনি ফুচকার পুরে কী যোগ করছেন?’ ফুচকা বিক্রেতা জানান, ‘চিজ দিচ্ছি। কাউকে বলবেন না যেন।’
View this post on Instagram
ভিডিওটি আপলোড করার পর থেকে প্রায় ৬ লাখেরও বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখে ফেলেছেন। ভিডিওটি পেয়েছে ৪০ হাজার মানুষের লাইক। কমেন্ট সেকশনে যোগ হয়েছে কয়েক হাজার মন্তব্য। একজন লিখেছেন, ‘আজকাল স্ট্রিট ভেন্ডাররা প্রায় সব খাবারেই চিজ যোগ করছেন। অথচ চিজ সম্পর্কে কোনও জ্ঞান নেই এমনকী স্বাদ যে কেমন হতে পারে তার সম্পর্কেও কোনও ধারণা নেই। ফুচকাকে বেইজ্জত করে ছাড়ল।’
আরও একজন লিখেছেন, ‘এই ভিডিও দেখে নাগপুর ত্যাগ করে চলে যেতে ইচ্ছে করছে।’
অনেকেই আবার বলেছেন, শুধু চমক দেওয়ার বাসনা থেকেই রাস্তার খাবারের দোকানিরা খাদ্যবস্তুতে চিজ-মাখন ভরে ভরে দিচ্ছেন। কেউ আবার মত প্রকাশ করেছেন, এভাবে খাবার নিয়ে বোকা বোকা গবেষণাটা এবার বন্ধ হোক।
আপনার কী মত এই নতুন ধরনের ফুচকা নিয়ে? আপনিও কি একবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন নাকি চিজ-ফুচকা? জানাতে ভুলবেন না। মজার ব্যাপার হল, ফুচকা নিজেই তো মজার চিজ তাই না? তাহলে খামোকা আবার চিজ দেওয়া কেন বাপু?
তথ্যসূত্র-এনডিটিভি
আরও পড়ুন: Viral Video: চোখ বাধা অবস্থায় মাত্র ৫ মিনিটেই এক প্লেট চাউমিন বানালেন এই শেফ! মুগ্ধ নেটপাড়া