Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata Street Food: লন্ডনের রাস্তায় দেদার বিকোচ্ছে রোল-মোমো-ফুচকা! সৌজন্যে ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত কলকাতার এই বাঙালি কন্যা

Raastawala: লন্ডনে ভারতীয় খাবারের জন্য রেস্তোরাঁ থাকলেও স্ট্রিট ফুড তেমন পাওয়া যায় না। সেখান থেকে উদ্যোগ নিয়েই তাঁরা রাস্তাওয়ালা খুললেন

Kolkata Street Food: লন্ডনের রাস্তায় দেদার বিকোচ্ছে রোল-মোমো-ফুচকা! সৌজন্যে ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত কলকাতার এই বাঙালি কন্যা
লন্ডনের রাস্তায় কলকাতার ধাবার স্বাদ পৌঁছে দিচ্ছে রাস্তাওয়ালা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2022 | 7:07 PM

লন্ডনের এক ছোট্ট বাজারে একবার চিকেন রোল, চিকেন চপ, চিকেন কাটলেট, স্যালাড-সস আর নারকেল নাড়ুর প্যাকেট নিয়ে বসেছিলেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বাঙালি কন্যা রিংকু দত্ত। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা আর স্বামী। রোল-কাটলেট আর নারকেল নাড়ুর এই বক্সটির দাম তিনি রেখেছিলেন মাত্র ১০ পাউন্ড. সেদিনের ওই হাটে অভূতপূর্ব সাড়া পান রিংকু। এরপর তাঁর মনে হয় কলকাতার স্ট্রিট ফুডের একটা আউটলেট খুললে কেমন হয়। এরপর ২০১২ সালে পথ চলা শুরু হয় রাস্তাওয়ালার ( Raastawala)। সেই সময় লন্ডনে কলকাতার স্ট্রিট ফুড তেমন সহজলভ্য ছিল না। ২০০৯- ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্যাবসায়িক সূত্রে রিংকুও থাকতেন কলকাতায়। তখনই তিনি প্রেমে পড়েন কলকাতার রাস্তার খাবারের। এরপর স্বামী নীলনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে প্রচুর বন্ধু-বান্ধব এসেছিল। তাদেরও সকলের মনে ধরে কলকাতার স্ট্রিট ফুড। এবং লন্ডনে যে ফুচকা-রোল তারা খুব মিস করে একথা বার বার বলছিল। রিংকু আর নালন তখন ভেবে দেখলেন, লন্ডনে ভারতীয় খাবারের জন্য রেস্তোরাঁ থাকলেও স্ট্রিট ফুড তেমন পাওয়া যায় না। সেখান থেকে উদ্যোগ নিয়েই তাঁরা রাস্তাওয়ালা খুললেন।

কলকাতার বাঙালি আবেগকে তুলে ধরাও ছিল তাঁদের অন্যতম প্রচেষ্টা। তাই হলুদ ট্যাক্সি, নানা রং ব্যবহার করে তাঁরা লন্ডনের রাস্তায় তুলে আনবেন একটুকরো কলকাতাকে। ধাবার স্টাইলেই প্রথম আউটলেট খুললেন। সেখানে এখন হট কাটি রোল থেকে, ফুচকা, কষা মাংস সবই পাওয়া যায় সহজেই। ২০১৭ সালে তাঁরা প্রথম ব্যবসা শুরু করেন কেন্টে। মূলত উইকএন্ডেই ব্যবসা করতেন। তবে পরবর্তীতে চাহিদা এত বাড়ে যে সেখান থেকে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেন। আউটলেটের পাশাপাশি লন্ডনের বিভিন্ন পাবেও পাওয়া যায় তাঁদের খাবার। এছাড়াও সুপার ক্লাব রয়েছে রাস্তাওয়ালার। সকলেই এসে প্রথমে ফুচকা খেতে চান। আর এই ফুচকার মধ্যে পুরোপুরি কলকাতার স্বাদ আছে বলে- জোর গলায় দাবি করেন রিঙ্কু। রাস্তাওয়ালার এভাবে আত্মপ্রকাশের জন্য তিনি সব সময় ধন্যবাদ দেন স্বামী নীলনকেই। কারণ লন্ডনে থাকা কলকাতার বাঙালির যাবতীয় আবেগ বুঝে পুরো বিষয়টি তুলে ধরার দায়িত্ব নিয়েছিলেন নীলন।

কলকাতায় এখন ছ’টা ফুচকার দাম পড়ে ২০ টাকা। লন্ডনের রাস্তাওয়ালাতে ৬ টা ফুচকার দাম ৬ পাউন্ড। কলকাতার হট কাটি রোলেরও এখানে চাহিদা তুঙ্গে। তবে যেহেতু এখানে রোল সম্পূর্ণ মিল হিসাবে খাওয়া হয় তাই চিকেন রোলের মধ্যে  ডিম, স্যালাডও ঠাসা থাকে। এছাড়াও লাঞ্চ বা ডিনারের মেনু হিসেবে রুটি, ডিমের কষা, চিকেন তন্দুরি এসবও বানানো হয়। তবে এখানেই শেষ নয় পরোটার সঙ্গে গোলবাড়ির স্টাইলে কষা মাংস, ঘি-ভাত, চিংড়ির মালাইকারি, বিরিয়ানি, ধনেপাতার চাটনি, মোমো, ডাম্পলিং সবই রয়েছে তালিকায়। এখন যে কোনও পার্টি, অনুষ্ঠানেও খাবারের অর্ডার নেয় রাস্তাওয়ালা।

View this post on Instagram

A post shared by Raastawala (@raastawala)

কলকাতার বিভিন্ন রেসিপি এবং খাবার নিয়ে একটি বই লিখছেন রিংকু (Kolkata: Recipes from the Heart of Bengal)। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হবে সেই বই। প্রায় ৭০ টি রেসিপি রয়েছে সেই বইতে। ডেকার্স লেনের চিকেন স্ট্যু থেকে শুরু করে ট্যাংরার চিলি চিকেন, মোক্যাম্বোর চেলো কাবাব, গোলবাড়ির কষা মাংস সবই স্থান পেয়েছে সেখানে। এছাড়াও মিষ্টি দই, মালপোয়া, বাঙালি মিষ্টিরও উল্লেখ রয়েছে সেই বইতে। খুব সাধারণ বাঙালি খাবার সাদা আলুর চচ্চড়ি তিনি তুলে ধরেছেন বইতে। রিঙ্কুর উদ্দেশ্য, লন্ডনে আরও সহজলভ্য হোক বাঙালি খাবারের কাঁচামাল। সেই সঙ্গে আরও বেশি করে মানুষ কলকাতার স্ট্রিট ফুড রান্না করতে শিখুক।