Bhoot Choturdoshi: ভূত তাড়াতে নয়, রোগ সারাতেই চর্তুদশীতে পাতে পড়ুক চোদ্দো শাক
Choddo Shak: ভূতচতুর্দশীতে চোখে পড়ার মতো হলেও, আশ্বিন সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তি এবং পয়লা বৈশাখেও চোদ্দো শাক খাওয়ার চল রয়েছে। ‘চৌদ্দ’ সংখ্যাটি এ দিক থেকে প্রতীকী

কালীপুজোর আগের রাতে অর্থাৎ চর্তুদশীতে বাঙালিদের চোদ্দো শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে। কথায় বলে এদিন চোদ্দো শাক খেলে আর চোদ্দো প্রদীপ জ্বালালে ভূত প্রেত ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারে না। এখনকার ছেলেমেয়েরা শাক-পাতা খেতেই চায় না। ফলে নিয়ম মেনে বাড়িতে চোদ্দো শাক রান্নাতেও এখন ভাঁটা পড়েছে। যদিও বাজারে সব রকম শাক মিশিয়েই বিক্রি করা হয়। অধিকাংশই পলি প্যাকে মুড়ে বিক্রি করেন। আবার কোথাও আঁটি বেঁধেও বিক্রি হতে দেখা যায়। আজ থেকে ২৫ বছর আগে যে কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতে বা বাড়ির রোজের খাবারে প্রথম পাতে যে কোনও একটা শাক ভাজা খাওয়ার রীতি ছিল।
কালীপুজোর এই ভূত তাড়ানোর সঙ্গে চোদ্দোশাকের কোনও সম্পর্ক নেই। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় একাধিক রোগ সমস্যা জাঁকিয়ে বসে শরীরে, যে কারণে শাক পাতা খাওয়ার কথা বলা হয় আয়ুর্বেদে। সব শাকই যে কলমি, নোটের মত সুস্বাদু এমনটা একেবারেই নয়। কিছু শাক স্বাদে বেশ তিতকুটে। বেতো শাক, সরষে শাক, হিংচে, পটল পাতা, শুষনি শাক, গুলঞ্চ, কালকাসুন্দে এসবও থাকে। এখন সচরাচর এসব শাক খাওয়া হয় না। তবে সর্দি, কাশি, অর্শ, অনিদ্রা রোগে, কৃমির সমস্যায় এই শাকপাতা ওষুধের থেকে ভাল কাজ করে।
ভূতচতুর্দশীতে চোখে পড়ার মতো হলেও, আশ্বিন সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তি এবং পয়লা বৈশাখেও চোদ্দো শাক খাওয়ার চল রয়েছে। ‘চৌদ্দ’ সংখ্যাটি এ দিক থেকে প্রতীকী। সারা বছর চাষ আবাদের পর এই শাক পাতার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বছরে একদিন এই সব আগাছাদের খোঁজ নিতেই খাওয়া হয় ১৪ রকম শাক।
