Bengali Muri Ghonto: বাঙালির ক্লাসিক ঝরঝরে মুড়িঘন্টর রেসিপি, এই পদ্ধতি মানলে হেঁশেলে আপনিই হিট
Bengali Recipe: ভাল করে ধুয়ে মাছের মাথায় নুন-হলুদ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে মাছের মাথা ভাল করে ভেজে নিতে হবে। ওই তেলে কেটে রাখা আলু ভেজে নিতে হবে। একই তেলে কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে নিতে হবে

শুক্তো, মুড়িঘন্ট, মোচার ঘন্ট, চাপড় ঘনন্ট এসব রান্না বাঙালির একেবারে নিজস্ব। মূলত এই বঙ্গেই মুড়িঘন্টের প্রচলন সবচাইতে বেশি। গরম ভাতে মুড়িঘন্ট খেতে দারুণ লাগে। তবে মুড়িঘন্ট শুধু মুখে খেতেও খুব ভাল লাগে। অনেকে আবার একে মাছের পোলাও বলে থাকে। ঝরঝরে মুড়িঘন্ট সকলে চট করে বানাতে পারে না। তবে এই টিপস মানলে হেঁশেলে আপনিই রাজা।
অনেক বছর আগে মুড়িঘন্ট আসলে ছিল গরীব নাবিকদের খাবার। বাংলার মাছ রসিক নাবিকরা আগেকার দিনে যখন চন্দ্রভাগা অথবা তাম্রলিপ্ত বন্দর থেকে জাহাজ নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে করার জন্য দূর-দুরান্তে যাত্রা করত তখন সেই সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের খাদ্য হিসাবে জুটতো নানা ধরনের মাছ। মাছের ঝোল বা ভাজা খাওয়ার পর বাকি অংশ ফেলে না দিয়ে তার সঙ্গে চাল মিশিয়ে খানিকটা পোলাওয়ের আকারে বানিয়ে ফেলা হল মুড়িঘন্ট। পরবর্তীতে এই পদটি এতই জনপ্রিয় হয় যে এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে মালয়েশিয়া পর্যন্ত। সমুদ্র উপকূলে এই পদ এখন খুবই জনপ্রিয়। গোবিন্দ ভোগ চাল দিয়েই অধিকাংশ বাড়িতে বানানো হয় মুড়িঘন্ট। চিঁড়ে দিয়েও বানানো যেতে পারে এই মুড়িঘন্ট।
দেখে নিন কীভাবে বানাবেন মুড়িঘন্ট-
ছোট দানার গোবিন্দভোগ চাল ৩০০ গ্রাম লাগবে। এরপর পরিষ্কার জলে তা ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। মিডিয়াম সাইজের একটা পেঁয়াজ কুচি করে রাখুন। টমেটো, কাঁচালঙ্কা কুচিয়ে রাখতে হবে। শুকনো প্যানে চারটে শুকনো লঙ্কা, একটু দারচিনি, এক চামচ ধনে, হাফ চামচ গোটা জিরে, তিনটে এলাচ, পাঁচটে লবঙ্গ নেড়ে নিয়ে একটা পাউডার বানিয়ে নিতে হবে। তরকারির মাপে ছোট টুকরো করে আলু কেটে রাখুন। দুটো মাঝারি সাইজের কাতলার মাথা নেবেন কানকো ছাড়া।
ভাল করে ধুয়ে মাছের মাথায় নুন-হলুদ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে মাছের মাথা ভাল করে ভেজে নিতে হবে। ওই তেলে কেটে রাখা আলু ভেজে নিতে হবে। একই তেলে কুচিয়ে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে নিতে হবে। এবার আদা-রসুন বাটা, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, টমেটো, কাঁচালঙ্কা দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। এবার গোবিন্দ ভোগ চাল জল ঝারিয়ে মিশিয়ে দিন। খুব ভাল করে চাল মশলার সঙ্গে ভেজে নিয়ে আলু মেশান। সবার শেষে মাছের মাথা ভেঙে মিশিয়ে দিন, এতে খুব ভালভাবে তা মিশিয়ে যাবে।
স্বাদমতো নুন, দু কাপ জল দিয়ে নাড়িয়ে চাড়িয়ে গ্যাসের ফ্লেম কমিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন ৬ মিনিট। হাফ চামচ চিনি আর ভেজে রাখা একচামচ মশলা এবার মিশিয়ে নিতে হবে। জল শুকিয়ে আসলে গরম মশলা, ভাজা মশলা আর এক চামচ ঘি মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন ২ মিনিট। এতে খেতে বেশ ঝরঝরে হবে।
