Traditional Summer Beverages: সস্তায় পুষ্টিকর, এই পানীয়তেই করুন গরমকে জব্দ! দেখে নিন রেসিপি…
Drink Recipes: আগেকার দিনে বাড়িতে কোনও অতিথি আসলে কিন্তু এই সব পানীয়ই দেওয়া হত। সেই সঙ্গে গরমের দিনে কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতেও অনেক বেশি জনপ্রিয় ছিল বেলের পানা, লেবুর শরবত...
গরমের ছুটির সঙ্গে মিশে থাকে কত-শত নস্ট্যালজিয়া। গরমের লম্বা দুপুরে বসে প্রিয় গল্পের বইয়ের পাতায় ডুব দেওয়া কিংবা কোনও ক্রমে পড়া সেরে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যাওয়া কিংবা গরমের ভ্রমণ- সব কিছুই এখন অতীত। দীর্ঘ দু’বছরের কোভিড সংক্রমণের ফলে আমাদের রোজকার জীবনযাত্রায় এসেছে একাধিক পরিবর্তন। দীর্ঘদিন পর ফের খুলেছে স্কুল-কলেজ। নিয়মিত ভাবে সকলকেই যেতে হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে। বৈশাখের শুরুতেই চাঁদি ফাটা গরমে টেকা দায়। নিত্যসঙ্গী রোদ-ঘামে জেরবার জীবন। আর তখন ঠান্ডা জল ছাড়া অন্য কোনও কিছু ভাবাই যায় না। সেই সঙ্গে সর্বত্র যে ভাবে ঠান্ডা পানীয়তে নানাছাড় চলতে থাকে সেখান থেকে নিজেকে আটকে রাখা খুব মুশকিলের। কিন্তু প্যাকেটজাত এই সব খাবার আমাদের সরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। কারণ এই সব ড্রিংকের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ হিডেন সুগার। যা আমাদের শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়।
বরং তার চেয়ে বাড়িতেই বানিয়ে রাখুন এই কয়েকটি পানীয়। গরমের দিনে যেমন খেতে ভাল লাগবে তেমনই কিন্তু ওজনও ঝরবে চটজলদি। আগেকার দিনে বাড়িতে কোনও অতিথি আসলে কিন্তু এই সব পানীয়ই দেওয়া হত। সেই সঙ্গে গরমের দিনে কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতেও অনেক বেশি জনপ্রিয় ছিল বেলের পানা, লেবুর শরবত। হাল আমলে সংযোজন লস্যি, কোল্ড ড্রিংক। তাই রইল কয়েকটি ট্র্যাডিশন্যাল পানীয়ের রেসিপি। গরমের দিনে খেয়ে আরাম পাবেন।
বাটারমিল্ক- পেটের জন্য কিন্তু খুব ভাল এই বাটারমিল্ক। সেই সঙ্গে যে কোনও রকম সংক্রমণ প্রতিরোধেও কিন্তু সাহায্য করে। গরমকালে খুব সহজেই পেটে ইনফেকশন হয়ে যায়। সেই সঙ্গে গ্যাস, অ্যাসিডের সমস্যা লেগেই থাকে। একগ্লাস বাটার মিল্কে ক্যালোরিব থাকে ৩০। সেই সঙ্গে মেশানো হয় হিং, ধনেপাতা কুচি, পুদিনা পাতা কুচি, আদা কুচি ইত্যাদি। দক্ষিণ ভারতে এই বাটার মিল্ক কিন্তু খুবই জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী। বাটার মিল্ক মাটির পাত্রে খাওয়া সব সময় ভাল।
ডাবের জল- ডাবের জল খেতে পারলে শরীরের যেমন আরাম হয় তেমনই কিন্তু শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। নারকেলের জলে মিষ্টি বা ক্যালোরি কোনওটাই কিন্তু থাকে না। যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাঁদের জন্য কিন্তু ডাবের জল খুবই উপকারী। সেই সঙ্গে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের পরিমাণও ঠিক থাকে। কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা অনেক কমে।
জলজিরা- স্থানীয় দোকানে এই পানীয় খুবই জনপ্রিয়। গরমের দিনে এই পানীয়ের জনপ্রিয়তা কিন্তু আরও বাড়ে। জিরে, আদা, গোলমরিচের গুঁড়ো, পুদিনা পাতা, আর শুকনো আমচুর পাউডার মিশিয়ে বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে এই মশলা। জল জিরা কিন্তু ঔষধি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। প্রাচীনকালে মুনি-ঋষিরা এই পানীয় খুবই পছন্দ করতেন। খাবার পর হজমের সমস্যা হলে, পেট ফেঁপে যাওয়া, বমির সমস্যা এসবের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী এই পানীয়।
বেলের শরবত- গরমের দিনে বেলের শরবতের জুড়ি মেলা ভার। বেলের সঙ্গে টকদই আর গুড় মিশিয়ে বানানো হয় এই শরবত। গরমের দিনে এই শরবত শরীরকে ঠান্ডী রাখার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পুষ্টিও কিন্তু সরবরাহ করে। সেই সঙ্গে বেলের মধ্যে থাকে ভিটামিন সি। সেই সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই বেলের শরবতের। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরলের পরিমাণ যেমন নিয়ন্ত্রণে রাখে তেমনিই কমায় ক্যানসারের ঝুঁকি।
আরও পড়ুন: Fruits For Diabetics: গরমে ডায়াবিটিস বেড়েছে নাকি? রোজ নিয়ম করে খান এই ফল…