Ucche recipe: উচ্ছে একবার এইভাবে বানালে পাশে মাছ-মাংস থাকলে খেতেও চাইবেন না
Bitter gourd: সাধারণত ছুটির দিনে উচ্ছের পদ বেশি রান্না হয়। কারণ ওই দিনেই বাড়ির সকলে একসঙ্গে বসে খান। এছাড়াও যাদের সুগার রয়েছে তাদের বলা হয় রোজ একটা করে উচ্ছে সেদ্ধ করে খেতে। এতে শরীর ভাল থাকবে

উচ্ছের নাম শুনলেই অধিকাংশের মুখ ঠিক বাংলার পাঁচের মত হয়ে যায়। বলা হয় তেতো দিয়ে খাওয়া শুরু করতে। রোজকার পাতে কোনও একটা তেতো অবশ্যই রাখুন। এতে স্বাদকোরক খোলে। শুধু তাই নয়। শরীরে রক্তের শুদ্ধিকরণ থেকে শর্করা নিয়ন্ত্রণ সবটাই করে থাকে উচ্ছে। কেউ খান উচ্ছে সেদ্ধ কেউ ভাজা। এছাড়াও শুক্তো চচ্চড়িতে উচ্ছে পড়লেও খেতে লাগে দারুণ। এখনার প্রজন্মের অধিকাংশ ছেলে মেয়েই উচ্ছে খেতে চায় না। মাছ-মাংস -ডিম ছাড়া অন্য কিছু যেন চেনেই না। আর তাই রইল উচ্ছের দারুণ একটি রেসিপির খোঁজ। একবার এভাবে বানিয়ে দিলে অন্য কোনও কিছু ছুঁতেও চাইবে না। দেখে নিন সহজ এই রেসিপি। বানিয়ে এই রবিবারেই তাক লাগিয়ে দিন বাড়িতে।
সাধারণত ছুটির দিনে উচ্ছের পদ বেশি রান্না হয়। কারণ ওই দিনেই বাড়ির সকলে একসঙ্গে বসে খান। এছাড়াও যাদের সুগার রয়েছে তাদের বলা হয় রোজ একটা করে উচ্ছে সেদ্ধ করে খেতে। এতে শরীর ভাল থাকবে। রক্ত সঞ্চালনে কোনও রকম অসুবিধে হবে না। চিকিৎসকদের মতে, উচ্ছে, করলা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া ডায়াবেটিস দূর করতেও সাহায্য করে এই তেতো সবজি। নিয়মিত করলা খেলে ওজন যেমন কমতে পারে, তেমনই হার্টও ভাল থাকে।
৬-৮ টা ছোট উচ্ছে নিন। গোল পাতলা করে স্লাইস করে নিতে হবে। নুন হলুদ দিয়ে উচ্ছে মাখিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। দুটো মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ কুচি করে নিতে হবে। দুটো কাঁচালঙ্কা চিরে নিতে হবে। এবার উচ্ছে ধুয়ে নিয়ে জল ঝারিয়ে একটা প্লেটে রাখুন। এর উপর পেঁয়াজ, নুন, হলুদ ছড়িয়ে একটু শুকনু লঙ্কার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। জিরে-ধনে গুঁড়ো, ২ চামচ বেসন দিয়ে হাতে ভাল করে মাখিয়ে নিতে হবে। কড়াইতে ২ চামচ সরষের তেল গরম করতে দিয়ে ওর মধ্যে একটু পাঁচফোড়ন দিন। ফোড়ন ভাজা হলে একে একে সব উচ্ছে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিতে হবে। মাঝারি আঁচে নেড়ে চেড়ে ভেজে নিন। এই সময় কাঁচালঙ্কাও দিয়ে দেবেন। কম আঁচে ভেজে নিন। বেশ ভজা হয়ে আসলে সামান্য আমচুর পাউডার দিন। মুচমুচে লাল করে ভেজে নিন। এবার গরম ভাতে এই উচ্ছে খান। ডালের সঙ্গেও এমন উচ্ছে ভাজা খেতে কিন্তু বেশ লাগে।
