Gray Hair Problem: কলপের প্রয়োজন হবে না, এই ৩ টিপস মানলেই পাকা চুল আবার হবে কুচকুচে কালো
Hair Care: ৫০-এর দোরগোড়ায় পৌঁছনোর আগে যদি চুলে পাক ধরে, তা অনেকেই লুকিয়ে রাখতে চান। অনেকে এমন সময় চুলে কলপ করান। বাজারচলতি যে কোনও রংই চুলে মাখা ভাল নয়। তাতে চুলের ক্ষতিই হয়।

কথায় বলে চুলে পাক ধরলে নাকি অভিজ্ঞতা বাড়ে। কিন্তু আজকাল অনেকের অল্প বয়সেই মাথায় উঁকি দিচ্ছে পাকা চুল। ৫০-এর দোরগোড়ায় পৌঁছনোর আগে যদি চুলে পাক ধরে, তা অনেকেই লুকিয়ে রাখতে চান। অনেকে এমন সময় চুলে কলপ করান। বাজারচলতি যে কোনও রংই চুলে মাখা ভাল নয়। তাতে চুলের ক্ষতিই হয়। এ বার কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে পাকা হওয়া চুল কুচকুচে কালো বানিয়ে নিতে পারেন।
চুলে মেলানিনের পরিমাণ কমতে শুরু হলেই ধূসর ভাব দেখা যায়। আর এই সময় হেয়ার কালার হাতে না তুলে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগাতে পারেন। হেয়ার মাস্ক, হেয়ার অয়েল ও হেয়ার টনিক এগুলো দিয়ে যে কেউ পাকা চুলের সমস্যা বাড়ি বসেই দূর করতে পারেন। নিম্নে তা নিয়ে আলোচনা করা হল।
হেয়ার অয়েল: চুলের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী কারি পাতা, নারকেল তেল এবং মেথি দানা। অল্প নারকেল তেলে কারি পাতা এবং মেথি দানা ফুটিয়ে নিতে হবে। এই তেল রোজ স্ক্যাল্প ও চুলে মালিশ করতে হবে। শ্যাম্পু করার মিনিট ৩০ আগে এই তেল মেখে নিতে পারেন।
হেয়ার মাস্ক: ৩ চামচ আমলকির গুঁড়ো নিতে হবে। তার সঙ্গে ৩ চামচ হেনা পাউডার এবং ১ চামচ কফি গুঁড়ো একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে দিন। তাতে জল দিয়ে মিশ্রণ ঘন করে নিন। ওই মিশ্রণটি এ বার চুলে ভাল করে মেখে নিন। তা মাথায় ২ ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
হেয়ার টনিক: এক গ্লাস জল গরম করতে হবে। তাতে এক মুঠো কারি পাতা, ১ চামচ মেথি, ১ চামচ কালোজিরে, ১ চামচ চা পাতা ও ১ চামচ কফি পাউডার ভাল করে মেশান। এ বার সেই মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর ছেঁকে নিন। এই হেয়ার টনিক চুলে ভাল করে স্প্রে করতে হবে। হেয়ার টনিক ব্যবহার করার পর চুল বেঁধে রাখতে হবে ২ ঘণ্টা। এরপর শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে দু’দিন এই হেয়ার টনিক ব্যবহার করতে পারেন।
