AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Flirting: অফিসের পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে স্ত্রীর, কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্বামী

Healthy Flirting: যে কোনও সম্পর্কের ভিত্তি হল বিশ্বাস। আর একবার সেই বিশ্বাসে চিড় ধরলে মুশকিল...

Flirting: অফিসের পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে স্ত্রীর, কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্বামী
স্ত্রীয়ের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2022 | 10:07 PM
Share

প্রশ্ন:  বেশ কিছুদিন ধরেই আমার স্ত্রীয়ের অফিস থেকে ফিরতে বেশ রাত হচ্ছিল। অফিসের কাজের চাপ বেড়েছে একথা অবশ্য জানিয়েছিল। গত সপ্তাহের একটা ফোনকলেই আমার সেই ধারণা সম্পূর্ণ বদলে যায়। এরপর ওর ফোনে সহকর্মীর বেশ কয়েকটি মেসেজ দেখতে পাই। তখনই আমার ভুল ভাঙে। এমন কিছু লেখা ছিল ওই সব মেসেজে যা পড়ে আমার সাধারণ সম্পর্ক বলে মনে হয়নি। স্ত্রীকে এই বিষয়ে আমি সরাসরি প্রশ্ন না করে ঘুরিয়ে জিগ্গেস করেছিলাম। তাতে ও আমায় জানিয়েছিল, অফিসে পুরুষদের সঙ্গেই ওর সখ্যতা বেশি। শুধুমাত্র কাজের সুবিধের জন্যই। এছাড়াও প্রত্যেকেই তার খুব ভাল বন্ধু। তখন মনে হয়েছিল হয়তো আমি ভুল। তবে কয়েকদিন পর আবার একই ঘটনা। অফিসের ওই সহকর্মীর সঙ্গেই ঘুরতে গিয়েছিল আমার স্ত্রী। কিন্তু আমায় বলেছিল অন্য বন্ধুদের সঙ্গে যাচ্ছে। অযথা স্ত্রীকে সন্দেহ করা আমার স্বভাব নয়। ওর কাজকেও আমি যথেষ্ঠ শ্রদ্ধা করি। সম্পর্কে কোনও দিনই অবিশ্বাস ছিল না। তবে বর্তমান পরিস্থিতি আমায় ভাবাচ্ছে। মন খুলে স্ত্রীয়ের সঙ্গে কথাও বলতে পারছি না।  নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। দয়া করে কিছু পরামর্শ দিন। ( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:  যে কোনও সম্পর্কের ভিত্তি হল বিশ্বাস। আর একবার সেই বিশ্বাসে চিড় ধরলে মুশকিল। খুব সহজেই তখন অবিশ্বাস তৈরি হবে সঙ্গীর উপর। তার থেকেও বেশি সমস্যা হল কোনও কিছু অর্ধসত্য জানা। মিথ্যের থেকেও যা ভয়ংকর। এতে জটিলতা বাড়ে,  তিক্ততা আসে। প্রত্যেক মনানুষেরই ব্যক্তিগত একটা জীবন থাকে। সম্পর্কের দিক থেকে স্বামী-স্ত্রী হলেও কোথাও গিয়ে প্রয়োজন হয় প্রাইভেসির। প্রথমেই যা করতে হবে, মন খুলে স্ত্রীয়ের সঙ্গে কথা বলুন। ঠিক কোন কেন বিষয়ে আপনার সমস্যা রয়েছে, কোথায় বুঝতে ভুল হচ্ছে তা আগে জানা দরকার। এক্ষেত্রে গোয়েন্দাগিরির প্রয়োজন নেই।  স্ত্রীয়ের অফিসের কারোর সঙ্গে কথা বলে নিজের সন্দেহের কথা জানাবেন এরকম ভুল কিন্তু করবেন না। সম্পর্কটা আপনাদের দুজনের। আর তাই এক্ষেত্রে সম্পর্কের স্বচ্ছতা বজায় রাখার দায় আপনাদেরই। একে অপরের সঙ্গে সময় কাটান। কথা বলুন। প্রয়োজনে ঘুরতে যান। চেষ্টা করুন ছুটির দিনে একসঙ্গে সময় কাটাতে। এতে মনের যাবতীয় ভুলও কিন্তু ভেঙে যেতে বাধ্য।

আপনার ভাবনা তো ভুলও হতে পারে! হতেই পারে অফিসের পুরুষ সহকর্মীরা আপনার স্ত্রীয়ের খুব ভাল বন্ধু। তাঁদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলে তবেই তিনি তাঁর কাজ ঠিকভাবে করতে পারেন। সব মানুষের জীবনেই বন্ধু প্রয়োজন। নিজের কথা, নিজের সমস্যা, নিজের ভাবনা কারোর সঙ্গে শেয়ার করতে পারলে আপনিও মনের দিক থেকে হালকা হবেন। মনের মধ্যে এত বেশি সংকীর্ণতা না থাকলে ভাল থাকবেন আপনিও।  অফিস শুধুমাত্র কাজের জায়গা নয়, দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে ওখানেই। ফলে সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা একান্ত কাম্য।

গ্রাফিক্স- অভীক দেবনাথ