পুজো মানেই লম্বা ছুটি। বাড়ির দুশ্চিন্তা, অফিসের টেনশন সব কিছু থেকে ক’দিনের মুক্তি। আর সেই ছুটিতেই দে ছুট! পুজোর ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে হোক বা একলা সফরে, ঘুরে আসতে ভালবাসেন অনেক বাঙালিই। বিশেষ করে পুজোর ছুটিতে নিজের বাইক নিয়ে নিরুদ্দেশের পথে পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন অনেকেই। কিন্তু বাইক নিয়ে ঘুরতে যাব বললেই তো আর হল না। লম্বা সফরে যাওয়ার আগে অনেক কিছুই মাথায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে সেই সফর যদি হয় কেবল আপনার বাইক আর আপনার নিজের, তাহলে তো সেই সতর্কতার মাত্রা আরও বেশি হওয়া উচিত। না হলে একলা সফরে যেমন রোমাঞ্চ আছে তেমনই হয়তো দেখা গেল এমন এক বিপদের মধ্যে পড়লেন যেখানে সাহায্য চাওয়ার লোক নেই। তাই সাবধান! কী কী মাথায় রাখবেন? দেখে নিন এই প্রতিবেদনে।
১। লম্বা সফরে যাওয়ার আগে অবশ্যই কোনও বাইক মিস্ত্রি বা বাইকের দোকানে গিয়ে আপনার বাহনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন। বাইকের চেন, মোবিল, ব্রেক, ব্রেক প্যাড ও বাকি সব ঠিক আছে কিনা ভাল করে দেখে নিন।
২। বিপদের জন্য প্রস্তুত থাকুন আগে থেকেই। এখন অনেক সংস্থা লম্বা সফরের ক্ষেত্রে মূল্যের পরিবর্তে সহযোগিতা বা রোড অ্যাসিস্টের সুবিধা দিয়ে থাকে। সফরে বের হওয়ার আগেই আপানার বাইকের জন্য এই রোড অ্যাসিস্ট করিয়ে নিতে পারেন। তাতে রাস্তায় বা হাইওয়েতে যদি হঠাৎ আপনার গাড়ি খারাপ হয়েও যায়, তা হলে এদের টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাইতে পারবেন।
৩। অনেক সময় পাহাড়ি অঞ্চলে বাইক সারানোর মিস্ত্রি পাওয়া গেলেও বাইকের সরঞ্জাম পাওয়া যায় না। এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে সঙ্গে সাধারণ কিছু সরঞ্জাম যেমন – ব্রেক প্যাড, ৪৬ ইন ১ রেঞ্জের সেট, অ্যালেন চাবির সেট, স্ক্রু ড্রাইভার, ক্লাচ কেবিল, অ্যাক্সেলেটর তার, ব্যাটারির ইত্যাদি। সঙ্গে রাখতে পারেন টায়ারের টিউব, চাকার ফুটো সারাইয়ের সরঞ্জাম, চাকায় হাওয়া দেওয়ার যন্ত্র বা এয়ার ইনফ্লুয়েটর।
৫। পাহাড়ি জায়গায় অভিযানে গেলে অন্ধকার বা কুয়াশার জন্য প্রস্তুত থাকুন আগে থেকেই। গাড়িতে লাগিয়ে নিন আলাদা করে সাদা এবং হলুদ দুই ধরনের আলো। ব্যবস্থা রাখুন মোবাইল হোল্ডার এবং চার্জারের। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে সঙ্গে রাখুন বর্ষাতি।
৬। ব্যাগ ও অনান্য দরকারি জিনিসপত্র বহনের জন্য আগে থেকেই বাইকে লাগিয়ে নিন ক্যারিয়ার, শ্যাডেল স্ট্রে, শ্যাডেল ব্যাগ, ক্যারি ব্যাগ, ইত্যাদি।