Bijanbari: এবার পুজোয় প্রকৃতি যাপন হোক একদম নিরিবিলি! রইল বিজনবাড়ির খুঁটিনাটি
Darjeeling: একদিকে ঘন সবুজ অরণ্য। অন্যদিক দিয়ে বয়ে চলেছে খরস্রোতা রঙ্গিত। এসব দৃশ্য বিজনবাড়ির হোমস্টেতে বসেই উপভোগ করতে পারবেন
আর ঠিক এক মাসের মাথায় পুজো শুরু। পুজোর শপিং শুরু হয়ে গেলেও পুজোয় কোথায় বেড়াতে যাবেন এখনও ঠিক করেননি? আপনার জন্য রইল উত্তরবঙ্গের এক সবুজে মোড়া গ্রামের হদিশ। নাম বিজনবাড়ি। বিগত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গের যে সব পাহাড়ি গ্রামগুলোতে শান্তির খোঁজে পর্যটকরা ভিড় করেন, বিজনবাড়ি হল তাদের মধ্যেই অন্যতম। রঙ্গিতের তীরে এমন অনেক পাহাড়ি গ্রাম রয়েছে যা ‘অফবিট’-এর তালিকায় নাম লিখিয়েছে। সেই সব গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অপরূপ। তবু সবার চেয়ে আলাদা বিজনবাড়ি।
একদিকে ঘন সবুজ অরণ্য। অন্যদিক দিয়ে বয়ে চলেছে খরস্রোতা রঙ্গিত। এসব দৃশ্য বিজনবাড়ির হোমস্টেতে বসেই উপভোগ করতে পারবেন। শহুরে কোলাহল থেকে দূরে গিয়ে যদি নিরিবিল কোনও জায়গায় পুজোর ছুটি উপভোগ করতে চান, তাহলে এই বিজনবাড়িই হল সেরা ঠিকানা। প্রকৃতির কোলে এমনও সুন্দর জায়গা লুকিয়ে রয়েছে তা বিজনবাড়ি না গেলে বুঝতে পারবেন না।
ভোর হওয়া মাত্রই শুরু হয়ে যায় পাখিদের কলতান। হোমস্টের বারান্দাতে বসে গরম কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে দেখতে পাবেন খরস্রোতা রঙ্গিতের বয়ে চলা। আর সন্ধ্যে নামা মাত্র গ্রাম জুড়ে শুধুই ঝিঁ ঝিঁর ডাক। উচ্চতা ২,৫০০ ফিট হলেও এখানের আবহাওয়া বেশ মনোরম। পাহাড়ি উপত্যকার অপরুপ সৌন্দয আর পাহাড়ি পথে হারিয়ে যেতে চাইলে বিজনবাড়ি হল সেরা ঠিকানা। দার্জিলিং, ঘুম, কার্শিয়াং সব জায়গা দিয়েই আপনি বিজনবাড়ি পৌঁছে যেতে পারেন।
দার্জিলিংয়ের পূর্বে অবস্থিত এই বিজনবাড়িতে মূলত নেপালী ভাষার মানুষের বাস। ঘুম থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটারের পথ এই পাহাড়ি গ্রাম। ঘুম থেকে বিজনবাড়ি যাওয়ার রাস্তাটাও বেশ সুন্দর। ঘুম পার করেই দেখা মিলবে সবুজে মোড়া চা বাগানের। ইচ্ছা হলে মেরিবং, রিশিহাট, চংটং-এর মতো চা বাগানেও কিছু সময় কাটাতে পারেন। যদিও বিজনবাড়ির আঁকা-বাঁকা পথে হাঁটতে হাঁটতেও দেখা মিলবে চা বাগানের। টাইগার হিল, বাতাসিয়া লুপ, জাপানিজ টেম্পল, জু, হ্যাপি ভ্যালি টি এস্টেটের মতো জায়গাগুলোও বিজনবাড়ি থেকে ঘুরে নিতে পারেন।
বিজনবাড়িতে রাত কাটানোর জন্য একটি হোমস্টে রয়েছে। সেই হোমস্টের অবস্থান এবং সৌন্দর্যও আপনার ছুটিকে আরও মনোরম করে দেবে। যদি পাহাড়ের কোলে সুইমিং পুলে কিছুটা সময় কাটাতে চান, তাহলে বেছে নিতে পারেন বিজনবাড়ির হোমস্টেকে। হোমস্টেতে থাকার খরচ জনপ্রতি ২,১০০টাকা প্রতিদিন। আর যদি সুইমিং পুলে ডুব দিয়ে বিজনবাড়ির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান, তাহলে আরও গাঁটের কড়ি খসাতে হবে আপনাকে।