Gartang Gali: ট্রেকারদের জন্য দারুণ খবর! খুলে গেল দেশের বিখ্যাত গার্টং গালি স্কাইওয়াক!
Uttarkashi: দূরে নীল আকাশের মধ্যিখান থেকে বরফে ঢাকা পর্বতের হাতছানি, চারিপাশে সবুজ পাইন ও পাহাড়ি গাছের ভরা উপত্যকা যেন শিল্পীর আঁকা ক্যানভাস। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পার্কটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান।
অবশেষে পর্যটকদের জন্য বিখ্যাত গার্টং গালির (Gartang Gali) স্কাইওয়াক খুলে দিল উত্তরাখণ্ড সরকার। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশি জেলার (Uttarkashi) নেলং উপত্যকায় ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ঐতিহাসিক ও প্রাচীন কাঠের সেতু গার্টং গালি। ভারত ও চিন সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত এই সেতুটিতে ৫০০ মিটার দীর্ঘ সিঁড়ি রয়েছে।
তীব্র ঠান্ডার কারণে চারমাস বন্ধ ছিল বিখ্যাত গঙ্গোত্রী ন্যাশনাল পার্ক (GNP) এবং ঐতিহাসিক গারটাং গালি স্কাইওয়াক। পয়লা এপ্রিল থেকে ফের জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। জিএনপি কর্মকর্তারা বলেছেন যে, পার্কে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রকৃতিও সেজে আসর বসিয়েছে। পাহাড়ের বুকে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ, প্রাণীজগত ও ট্রেকিং, রোমাঞ্চকর পর্বতারোহনের পথ হিসেবে এই রুট অত্যন্ত জনপ্রিয় ও বিখ্যাত। রিপোর্ট অনুসারে, এখানকার কাঠের সেতুটিই একটি আকর্ষণের জায়গা। কারণ পাথরের গায়ে কাঠের তৈরি করা এই সিঁড়িটির একটি অপূর্ব মাহাত্ম্য রয়েছে। কাঠের তৈরির সিঁড়ি বা সেতু থেকে নেলং উপত্যকার অতুলনীয় দৃশ্য চোখে পড়বে। দূরে নীল আকাশের মধ্যিখান থেকে বরফে ঢাকা পর্বতের হাতছানি, চারিপাশে সবুজ পাইন ও পাহাড়ি গাছের ভরা উপত্যকা যেন শিল্পীর আঁকা ক্যানভাস। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পার্কটি দেশের তৃতীয় বৃহত্তম জাতীয় উদ্যান। প্রায় ২৯৩০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই পার্কটি ভারত-চিন সীমান্তের পাশে অবস্থিত।
সাধারণত যাঁরা দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে চান, সেই সব পর্যটকদের ভিড় এখানে সবচেয়ে বেশি। বিরল উদ্ভিদ ও প্রাণীদের সঙ্গে নিয়ে তুষারবৃত হিমালয়ের চূড়ায় উঠার যে অভিজ্ঞতা, তা যাঁরা করেছেন , তাঁরা বুঝবেন। এছাড়াও, এই পার্কের প্রধান আকর্ষণ হল ১৩৬মিটার দীর্ঘ ঐতিহাসিক গারটাং গালি স্কাইওয়াক। জানা গিয়েছে, ১৯৬২ সালে , ভারত-চিন যুদ্ধের পর এলাকাটি পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। যার ফলে ওই সেতু তার পর্যটন কেন্দ্রের মাহাত্ম্য হারিয়ে ফেলেছিল। প্রায় ৫৯ বছর পর, ফের পর্যটকদের জন্য এই ঐতিহাসিক সেতুটি পরিদর্শন ও রোমাঞ্চকর অনুভূতির জন্য খুলে দিল রাজ্য সরকার। সংস্কারের পর, ১৫০ বছরের পুরানো কাঠের সেতুটি গত বছরের আগস্টে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছিল। পর্যটকরা যাতে এবার হিমালয়ের প্রকৃতিকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারেন, তার জন্য গঙ্গোত্রী থেকে গোমুখ পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ট্রেইল থেকে তুষার অপসারণ করা হয়েছে।
তবে গাড়ওয়াল মন্ডল বিকাশ নিগম ও অন্যান্য সংস্থার গেস্ট হাউস এখনউ খোলার কোনও ব্যবস্থা হয়নি। পার্কের ভিতর পর্যটকদের জন্য কোনও আবাসন বা খাবারের কোনও বিকল্প ব্যবস্থা থাকছে না। শুধুমাত্র ট্রেকিংয়ের জন্য পর্যটকদের অনুমতি দেওয়া হলে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Char Dham Yatra: পর্যটকদের জন্য দারুণ সুযোগ! এবার ১২দিনের চারধাম যাত্রায় মিলবে দুরন্ত ছাড়