Snowfall in Sikkim: রডোড্রেনড্রনের সময় সিকিম ঢেকেছে বরফে, তুষারপাতের কেমন প্রভাব পড়েছে পর্যটন শিল্পে?
Sikkim Tourism: এখন সারা বছর সিকিমে পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে সিকিমে গেলে বরফের দেখা পাওয়া যায়। মার্চেও নাথুলা, ইয়ুমথাংয়ে বরফ পাওয়া যায়।
যে সময় সিকিম সেজে ওঠে লাল রডোড্রেনড্রনে, এ বছর ঢেকেছে তুষারপাতে। তুষারপাত হয়ে চলেছে উত্তর-পূর্ব সিকিমে। উত্তর সিকিমের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র লাচুং, লাচেন এবং ইউমথাং উপত্যকা বরফের চাদরে মুখ ঢেকেছে। তুষারপাতের জেরে অবরুদ্ধ করা হয়েছে লাচুং-ইয়ুমথাং রাস্তা। কিন্তু এর ফলে কী প্রভাব পড়েছে সিকিমের পর্যটন শিল্পে?
এখন সারা বছর সিকিমে পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে সিকিমে গেলে বরফের দেখা পাওয়া যায়। মার্চেও নাথুলা, ইয়ুমথাংয়ে বরফ পাওয়া যায়। তবে, তার সঙ্গে সিকিমে দেখা মেলে রডোড্রেনডনের। কিন্তু এই বছর মার্চে যে হারে তুষারপাত হয়েছে, তাতে উচ্ছ্বাসিত পর্যটকেরা। কিন্তু তাতেও বিপর্যয়ের মুখে সিকিমের পর্যটন শিল্প।
গত সপ্তাহে প্রবল তুষারপাতের ফলে উত্তর সিকিমে বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন। প্রায় ৯০০ জন পর্যটক জে এন রোডে আটকে পড়েছেন। এই রাস্তা গ্যাংটককে সোমগো লেক এবং নাথুলার সঙ্গে সংযুক্ত করে। একরাত কাটাতে হয় সেনা ক্যাম্পে। পরদিন সকালে শুরু হয় উদ্ধারকার্য। অন্যদিকে, বিআরও (বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন) উত্তর ও পূর্ব সিকিমের বিভিন্ন অংশ থেকে ১৭৫ জন পর্যটককে উদ্ধার করেছে। এই ভারী তুষারপাতের কারণে অনেক পর্যটক সিকিম ভ্রমণের বুকিং বাতিল করেছে। গত সপ্তাহের ভারী তুষারপাতের কারণে পর্যটকেরা সোমগো লেক এবং নাথুলায় বুকিং বাতিল করেছে।
যদিও চলতি সপ্তাহে নতুন করে কোনও পর্যটকদের আটকে পড়ার খবর পাওয়া যায়নি। তুষারপাতের কারণে কয়েকদিন ইয়ুমথাং, নাথুলার ভ্রমণের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও এখন পরিস্থিতি অনেক বেশি স্বাভাবিক। তবে সিকিমে এখনও বৃষ্টি চলবে। পর্যটকদের আবার আনাগোনা শুরু হয়েছে সোমগো লেক, নাথুলা পাস, পূর্ব সিকিমের বাবা মন্দির এবং উত্তরে গুরুদোংমার লেক এবং ইউমথাং উপত্যকার মতো জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। বরং, পর্যটকেরা বেশ উপভোগ করছেন মার্চে এই তুষারপাত।
সিকিমের মতো একই অবস্থা সান্দাকফুতে। তুষারপাত হচ্ছে দার্জিলিঙের সান্দাকফুতেও। মঙ্গলবারও তুষারপাত হয়েছে সান্দাকফু, ফালুট-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায়। টংলু, টুংলিংয়ের মতো জায়গাতে বরফ না পড়লেও সেখানে ঠান্ডা খুব বেশি। তাপমাত্রা আবার নেমে গিয়েছে। জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে শৈল শহরে। রবিবার সকাল থেকে দার্জিলিং পাহাড়ের সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যানও সাদা বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মার্চে জমজমাট সিকিম ও সান্দাকফু।