Taj Mahal Travel: দিল্লির দীপাবলি জমজমাট! তার জেরে ঐতিহ্যবাহী তাজমহল ঢেকে গেল ঘন কুয়াশায়…

আলোর উৎসব দীপাবলি। কিন্তু উদযাপনের পরে যে পরিস্থিতি আসে তা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। উৎসবের পরের দিন, দিল্লি-এনসিআর এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য গন্তব্যস্থলে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) “গুরুতর” হিসাবে রিপোর্ট হয়েছিল। দূষণের মাত্রা এত বেড়েছিল যে বিশ্বের অন্যতম বিস্ময় আগ্রার তাজমহল ঘন কুয়াশার চাদরে হারিয়ে গিয়েছিল পরের দিন।

তাজের শ্বেতপাথরের ঠিকরে পড়া সাদা সৌন্দর্য দৃশ্যমান ছিল না একেবারেই, এমনকি ১০০ মিটার দূরত্ব থেকেও নয়। আগ্রায় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) শুক্রবার সকাল ১০ টায় ৪১৯ এবং দুপুর ২টোয় ৪৩২ ছুঁয়ে AQI পর্যবেক্ষণ করেছে৷

এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের মাপকাঠি জেনে নিন,

এর মধ্যে একটি AQI:

০ এবং ৫০: ভাল ৫১ এবং ১০০: সন্তোষজনক ১০১ এবং ২০০: মাঝারি ২০১ এবং ৩০০: খারাপ ৩০১ এবং ৪০০: খুবই খারাপ ৪০১ এবং ৫০০: গুরুতর

গত বছর ২০২০তে, আগ্রার AQI দীপাবলির পরে ৩৪৭-এ “খুব খারাপ” ছিল। নভেম্বরের শুরু থেকেই শহরটি দূষণে ভুগছে। ১নভেম্বর বাতাসের মান ছিল ৩২৭, ২নভেম্বর ৩০০, ৩নভেম্বর ২৮৯ এবং ৪নভেম্বর ২৮০।

৬নভেম্বর, দীপাবলির ঠিক একদিন পরে, AQI আগের দিনের চেয়ে প্রায় 150 নচ বেশি রেকর্ড করেছিল। এই অঞ্চলে প্রচণ্ড ধোঁয়াশা লক্ষ্য করা গেছে এবং ক্রমাগত আতশবাজি ফাটার কারণে বাতাসের মান ছিল ৪০০ থেকে ৫০০ যা একেবারেই গুরুতর।

উত্তরপ্রদেশ সরকারের বাজি নিষিদ্ধ করার পরেও অনেক লোককে বাজি ফাটাতে দেখা গেছে, যা প্রচুর দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার জনগণকে সবুজ বাজি ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছিল, তবে তা একেবারেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়নি।

আরও পড়ুন: এই ৩ ওজন কমানোর পানীয় ওজন কমাতে সত্যিই কোনও কাজে লাগে না…