AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Agrasen Ki Baoli: দিল্লির বুকে রয়েছে তুঘলক শাসনের নিদর্শন! এখানে গেলে পাবেন গা ছমছম অনুভূতি

সবাই বলে এই জায়গা নাকি ভুতুড়ে। কিন্তু গেলে বুঝতে পারবেন, লাল বেলেপাথরের তৈরি এই জায়গাটির গভীরে জলের শব্দ না পাওয়া গেলেও, রয়েছে ইতিহাস।

Agrasen Ki Baoli: দিল্লির বুকে রয়েছে তুঘলক শাসনের নিদর্শন! এখানে গেলে পাবেন গা ছমছম অনুভূতি
অগ্রসেন কি বাওলি
| Edited By: | Updated on: Jan 20, 2022 | 8:27 AM
Share

দিল্লিতে (Delhi) এমন অনেক ঐতিহাসিক ইমারত (Historical Architecture) এবং রহস্যময় স্থান (Haunted Place) রয়েছে. যা আমাদের সবাইকে অতীতের সঙ্গে সংযোগ করার সুযোগ দেয়। এই শহর এমন অনেক কিছু নিয়ে গর্ব করে, যা এই ‘রান অফ দ্য মিল’ দুনিয়ার বাইরে। এমন একটি জায়গা হল দিল্লির অগ্রসেন কি বাওলি (Agrasen Ki Baoli)। আপনি যতই এর ভিতরে যাবেন, ততই বাইরের পৃথিবী থেকে দূরে সরতে থাকবেন।

সবাই বলে এই জায়গা নাকি ভুতুড়ে। কিন্তু গেলে বুঝতে পারবেন, লাল বেলেপাথরের তৈরি এই জায়গাটির গভীরে জলের শব্দ না পাওয়া গেলেও রয়েছে ইতিহাস। এই জায়গার সঙ্গে জড়িত রয়েছে মহারাজ অগ্রসেনের নাম। মহারাজ অগ্রসেন রামের পুত্র কুশের বংশধর এবং ভগবান রামের পরে ৩৫তম প্রজন্মে জন্মগ্রহণ করেন। মহারাজা অগ্রসেন ছিলেন বণিক নগরী আগরোহার রাজা, যিনি উত্তর ভারতের অগ্রোহা শহর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি শান্তির দূত হিসাবে বিবেচিত হতেন এবং অহিংসার ঘোর বিরোধী ছিলেন। এছাড়া মহারাজা অগ্রসেন যজ্ঞের সময় পশু বলিরও বিরুদ্ধে ছিলেন। তাঁর মহান ধারণার কারণে, ১৯৭৬ সালে, মহারাজা অগ্রসেনকে সম্মান জানাতে ভারত সরকার একটি ডাকটিকিটও জারি করেছিল।

‘বাওলি’ কথার অর্থ ধাপকুয়ো। মনে করা হয়, প্রজাদের জলের কষ্ট দূর করতে মহারাজা অগ্রসেন এই ১০৮ ধাপ বিশিষ্ট কুয়োটি তৈরি করেন। তবে এই বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। এর স্থাপত্য দেখে মনে হয়, মধ্যযুগে ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ শতকে আবার নতুন করে একে তৈরি করেন তুঘলকি শাসকরা। ঐতিহাসিকদের মতে, এই ধাপকুয়োটি লোদী ও তুঘলক যুগকে নির্দেশ করে। আবার কিছু ঐতিহাসিক নথি অনুসারে, অগ্রসেন কি বাওলি পুরানো সোপানটির উপরে আগরওয়াল সম্প্রদায়ের দ্বারা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল।

লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরি, ১০৮ ধাপ বিশিষ্ট কুয়োটি স্থাপত্যের একটি চমৎকার নিদর্শন। সেই সময় এই বাওলিতে ঋতু অনুযায়ী ওঠানাম করত জলের স্তর। প্রয়োজন মত ধাপে ধাপে নেমে জল তুলে আনা হত। তবে এখন এর গভীরে গেলে আর শোনা যায় না জলের শব্দ। এটি মাটির ভিতরে ৬০ মিটার লম্বা এবং ১৫ মিটার চওড়া। এর পাশাপাশি এখানে প্রবেশের জন্য রয়েছে ৩টি দরজা।

জলের শব্দ শোনা না গেলেও আজ এটি পরিণত হয়েছে একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে। এর সঙ্গে রয়েছে কিছু গা ছমছম অনুভূতি। ‘ভুতুড়ে স্থান’-এর তকমাও দেওয়া হয়েছে। কথিত আছে, এই কুয়োর ভিতরে থাকা কালো জল দেখে মানুষ সম্মোহিত হয়ে আত্মহত্যা করত। তাদের অশরীরী আত্মা এখনও ঘুরে বেড়ায় এই বাওলির মধ্যে। যদিও এই বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিকাল ৫টার পর এখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ।

বরং যা চোখে দেখা যায় এখানে, তা জানান দেয় ইতিহাসের। তিনটি স্তরে ধাপে ধাপে নেমে যাওয়া যায় এই কুয়োর মধ্যে। প্রতিটি স্তর সাজানো খিলানে। অগ্রসেন কি বাওলিতে একটি ছোট মসজিদও রয়েছে। দিল্লির বুকে এমন একটি মুসলিম ঘরানার স্থাপত্য, কোনও ভাবেই মিস করা চলে না।

আরও পড়ুন: এক সময় ধনকর ছিল স্পিতি ভ্যালির ‘রাজধানী’! এখন কেমন আছে সেই গ্রাম?