Jungle Safari: জঙ্গল সাফারি এবার দক্ষিণবঙ্গেও, কৃষ্ণনগরে জোর প্রস্তুতি নয়া পর্যটন কেন্দ্রের
West Bengal Tourism: কাছেপিঠের মধ্যে জঙ্গল সাফারির জন্যও পারি দিতে হয় উত্তরবঙ্গে। এবার এই একই সুযোগ মিলতে চলেছে নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বাহাদুরপুর জঙ্গলে।
ভ্রমণপিপাসুদের জন্য সুখবর। উত্তরের মতো এবার দক্ষিণবঙ্গেও জঙ্গল সাফারির সুযোগ। কলকাতা থেকে মাত্র ১৩৩ কিলোমিটার দূরে মিলবে এই জঙ্গল সাফারির সুবিধা। রাত্রিবাস থেকে বনফায়ার সব কিছুই করা যাবে এখানে। ভাবছেন দক্ষিণে এমন কোন অভয়ারণ্য রয়েছে যেখানে মিলছে এই সুযোগ? কৃষ্ণনগর সংলগ্ন বাহাদুরপুর জঙ্গলে এবার জঙ্গল সাফারি করতে পারবেন পর্যটকেরা। অর্থাৎ নদীয়া গেলেই পাওয়া যাবে এই সুযোগ।
কাছেপিঠের মধ্যে জঙ্গল সাফারির জন্যও পারি দিতে হয় উত্তরবঙ্গে। জলদাপাড়া, গরুমারা, লাটাগুড়ি ইত্যাদি জায়গায় রয়েছে জঙ্গল সাফারির সুযোগ। এবার এই একই সুযোগ মিলতে চলেছে নদীয়ার কৃষ্ণনগরের বাহাদুরপুর জঙ্গলে। বাহাদুরপুরকে নয়া পর্যটক কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে জেলা প্রশাসন। আর পাশেই রয়েছে বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য। যদিও বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য খুব একটা জনপ্রিয় নয় পর্যটকদের কাছে।
১৬০ হেক্টর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে বাহাদুরপুর জঙ্গল। এখানে ইকো ট্যুরিজমের গড়ে উঠতে পারে কিনা এটা নিয়ে ২০২০ সালে একটি সমীক্ষা করা হয়। সেই সমীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে ২০২১ সালে এখানে কাজ শুরু করে বন দফতর। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসের শেষের দিকে কিংবা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই চালু হতে পারে বাহাদুরপুরে জঙ্গল সাফারি।
এই জঙ্গলে প্রায় ১৭টি প্রজাতির পর্ণমোচী ও চিরহরিৎ গাছ রয়েছে। বাহাদুরপুরে জঙ্গলে যে পর্যটন কেন্দ্র করে উঠছে সেখানে জঙ্গল সাফারি ছাড়াও তাঁবুতেই রাত্রিবাসের সুবিধা থাকবে। আগামী দিনে বাহাদুরপুরে হাতি সাফারিরও পরিকল্পনা করছে বন দফতর। আশা করা হচ্ছে, এই বাহাদুরপুরকে কেন্দ্র করে নদীয়ায় কর্মসংস্থানও বাড়বে। এই নয়া পর্যটক কেন্দ্রে স্থানীয়দের বিভিন্ন কাজে নিয়োগ করা হবে। এছাড়া স্থানীয় আদিবাসী, লোকশিল্পীদের নিয়ে এখানে লোকসাংস্কৃতিক তাঁবু করার পরিকল্পনাও রয়েছে জেলা প্রশাসনের। সেখানে স্থানীয় আদিবাসীদের হাতের তৈরি জিনিসপত্রও বিক্রিও সুযোগ থাকবে।
নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের নবদ্বীপ, মায়াপুর জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। যদিও এখানে তীর্থযাত্রীদের সংখ্যাই বেশি। অন্য দিকে রয়েছে বেথুয়া ও বাহাদুরপুর জঙ্গল। এই জায়গাগুলোকে একসঙ্গে পর্যটন মানচিত্রে যোগ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দু’দিনের ছুটিতে অনেকেই ভিড় করেন এই জেলায়। ঘুরে দেখেন মায়াপুরে ইসকনের মন্দির, বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য, পলাশী মনুমেন্ট, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি, ঘূর্ণির পুতুল পট্টি ইত্যাদি। এর সঙ্গে জঙ্গল সাফারি যুক্ত হলে পর্যটকদের কাছে এটা হবে ডবল ধামাকা। তাছাড়া কলকাতার কাছে এমন ইকো ট্যুরিজমের সুযোগ থাকলে উপকৃত হবেন পর্যটকেরাও। জঙ্গল সাফারি কিংবা জঙ্গলের মধ্যে রাত্রিবাসের জন্য আর পাহাড়ে পারি দিতে হবে না বাঙালিদের।