AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

প্রেম প্রস্তাব পেয়েছেন? সঙ্গী সঠিক তো? জেনে নিন কোন কায়দায় চিনে নেবেন

প্রথমেই বলে রাখা দরকার। হঠাৎ করেই তো একেবারে অচেনা মানুষ এসে প্রেমের প্রস্তাব দেয় না। বরং সেই মানুষটি হয়তো পরিচিত, অল্প পরিচিত, কিংবা বন্ধু। কিন্তু এই বন্ধু বা অল্প পরিচিত মানুষটিকে পুরোপুরি চেনার জন্য সময় দরকার। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেম প্রস্তাব পেয়েছেন? সঙ্গী সঠিক তো? জেনে নিন কোন কায়দায় চিনে নেবেন
| Updated on: Aug 18, 2025 | 4:10 PM
Share

সোশাল মিডিয়ায় যুগে গ্রিন ফ্ল্যাগ, রেড ফ্ল্যাগ শব্দটি দারুণ জনপ্রিয়। অনেকেই বলে থাকেন, তাঁর প্রাক্তন ছিলেন একেবারে রেড ফ্ল্যাগ। কিন্তু বর্তনাম প্রেমিক একেবারে সবুজ ও সতেজ অর্থাৎ গ্রিন ফ্ল্যাগ।

তা এই গ্রিন ফ্ল্যাগ আর রেড ফ্ল্যাগ বিষয়টা কী? কীভাবেই বা বুঝবেন?

প্রথমেই বলে রাখা দরকার। হঠাৎ করেই তো একেবারে অচেনা মানুষ এসে প্রেমের প্রস্তাব দেয় না। বরং সেই মানুষটি হয়তো পরিচিত, অল্প পরিচিত, কিংবা বন্ধু। কিন্তু এই বন্ধু বা অল্প পরিচিত মানুষটিকে পুরোপুরি চেনার জন্য সময় দরকার। সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার আসা যাক পরের অংশে। কোনও টক্সিক মানুষ বা নারসিসিস্ট মানুষ সব কিছুই তাড়াতাড়ি করতে চায়। বিষয়টা আরেকটু বিশদে বলতে হলে, কোনও এক মানুষের সঙ্গে সদ্য আলাপ হয়েছে, সেই আলাপ হওয়ার এক সপ্তাহ বা তিন চারদিনের মধ্যে, ব্যক্তি যদি খুবই ইন্টারেস্ট দেখাতে শুরু করে, এমনকী, ঠিকমতো জানা, চেনা, বোঝার আগেই প্রোপোজ করে দেয়। সহজ কথায় বলতে গেলে এই যে তাড়াহুড়ো করাটা, এটা কিন্তু রেড ফ্ল্যাগের মধ্যেই পড়ে। অর্থাৎ এই তাড়াহুড়োর নেপথ্যে কোনও অভিসন্ধি থাকতেই পারে।

এবার প্রশ্ন উঠতেই পারে, যাঁরা এই ধরনের আচরণ করে, তাঁরা কেন এমন করে? আসলে, এটা একটা প্যাটার্ন বা বলা ভালো চারিত্রিক গঠন। আসলে, এই ধরনের মানুষরা সাধারণ ভুয়ো হয়। অর্থাৎ তাঁদের আবেগগুলোর মধ্যে সততা থাকে না। তাই এই ধরনের মানুষের এই আবেগের সময়সীমা খুবই কম। ওই চার থেকে পাঁচমাস। এরা সম্পর্কের শুরুতে তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে এমন ব্যবহার করে যে, সঙ্গী তাঁর সমস্ত লজিক ভুলে, ব্যক্তির প্রেমে হাবুডুবু খায়। মনে হয়, এই সেই ব্যক্তি, যাঁর জন্য এতদিন অপেক্ষা ছিল। এটাকে বলে লাভ বম্বিং।

এখানে বলে রাখা দরকার, যখন কোনও মানুষ লাভ বম্বিংয়ের মধ্যে থাকে, সেই সময় এই প্যাটার্নগুলো বোঝা সম্ভব নয়। কেননা, এই সময়টা আমরা খুবই আবেগপ্রবণ থাকি। তখন লজিক্যাল ভাবনা চিন্তা করাটা সম্ভব নয়। আসলে আমাদের মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের দূরত্বটা ভীষণভাবে বেড়ে যায়। আর এই সময়টা হৃদয়ের কথাই একমাত্র শোনা যায়।

আসলে, এটাও একটা প্যাটার্ন। পুরোপুরি আবেগকে কন্ট্রোলে আনাই এই ধরনের রেড ফ্ল্যাগ বা নারসিসিস্ট ব্যক্তির প্রাথমিক পদক্ষেপ থাকে। আসলে, এর মধ্যে দিয়ে এই ধরনের মানুষ, নিজেদের পূর্বের কোনও জীবন ক্ষত বা আত্মসম্মানকে সমৃদ্ধ করে। ব্যাপারটা আসলে শুনতে বেশ খটোমটো হলেও, এই ধরনের ব্যক্তিদের আচরণের কাঠামোটাই এরকম। তবে হ্য়াঁ, যখন কেউ এই ধরনের লাভ বম্বিংয়ের মধ্যে পড়েন, তখন এগুলো বোঝা খুব কঠিন হয়ে যায়।

কীভাবে বুঝবেন?

এই প্রশ্নের উত্তর খুব একটা সহজ নয়। সেরকম কোনও নিয়ম নেই বা চটজলদি টিপস নেই। তবে হ্য়াঁ, প্রথমে বলতে চাই, যেকোনও সম্পর্ককে সময় দিন। নিজেও তাড়াহুড়ো করবেন না। অপরের তাড়াহুড়োকেও প্রশয় দেবেন না। বন্ধুত্ব রাখুন, ভালো করে মিশুন। ধীরে ধীরে সম্পর্ককে কাঠামো পেতে দিন। আর অবশ্যই কোন ব্রেকআপের ক্ষত ভরাতে চটজলদি আরও একটি সম্পর্কে যাবেন না। বা যদি জানতে পারেন যে ব্য়ক্তিটিও সদ্য কোনও ব্রেকআপের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তাহলে সেই পরিস্থিতিকেও এড়িয়ে চলুন। একাকীত্ব কাটাতে গিয়ে, কোনও ভুল সম্পর্কে না ঢোকাই শ্রেয়।