অভিনেত্রী নাসিম বানুর কন্যা সায়রা বানু আজ বার্থডে গার্ল। সদ্য প্রয়াত স্বামী তথা দীর্ঘদিনের বন্ধু, অভিভাবক দিলীপ কুমারের শোক এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি সায়রা। তাই এ বছর আলাদা করে কোনও আয়োজন করছেন না তিনি।
শোনা যায়, সায়রার বাবা এহসান খান ছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক। যিনি দেশভাগের পর পাকিস্তানে চলে যান। সায়রার মাও অভিনেত্রী হিসেবে সাফল্য পেয়েছিলেন। মেয়ে পড়াশোনা করার পর অভিনয় করুক, এটাই তিনি চাইতেন।
সায়রা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, মায়ের ঘাগরা, লিপস্টিক পরে তাঁকে নাচতে দেখে নাসিম নাকি মেয়েকে পড়াশোনার জন্য লন্ডনে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন। মা, দিদিমা এবং ভাই সুলতানের সঙ্গে পড়াশোনার জন্য লন্ডনে থাকতেন সায়রা।
দিদিমা শামশেদ বেগম ছিলেন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী। তিনি লন্ডনেই থাকতেন। বাড়িতে শিল্পচর্চার পরিবেশের মধ্যেই ছোট থেকে বড় হয়ে উঠেছিলেন সায়রা।
১৯৬১-তে ‘জঙলি’ ছবির জন্য পরিচালক তথা প্রযোজক সুবোধ মুখোপাধ্যায় সায়রাকে পছন্দ করেন। সেই তাঁর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পথ চলার শুরু।
১৯৬৬ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে দিলীপ কুমারকে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের প্রেম এবং দাম্পত্যের কাহিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে লেখা থাকবে।
বিয়ের পর আর খুব বেশিদিন কাজ করেননি সায়রা। কারণ সংসার, দিলীপ কুমারকে সময় দেওয়াই তাঁর কাছে তখন ছিল প্রায়োরিটি।