সারাদিন রিল, ভিডিয়ো তৈরি করেন; জানেন উচ্চ-মাধ্যমিকে কেমন রেজ়াল্ট ইনফ্লুয়েন্সারদের?

Youtuber-Influencers Result: রিল মেকার, ইউটিউবার, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের রেজ়াল্ট রইল এই গ্যালারিতে। ইউটিউব করেন বলে, তাঁদের মার্ক শিটে মাইনাস মার্কস ছিল, যদি সেই ধারণা নিয়ে বসে থাকেন, তা হলে খুবই ভুল জানেন। এক্ষুনি নিজেদের ভুল ভেঙে ফেলুন। বাঙালি ইউটিউবার এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের রেজ়াল্ট দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠবেই।

| Updated on: May 08, 2024 | 2:16 PM
বেশির ভাগ জনপ্রিয় ইউটিউবাররাই হলেন বিজ্ঞানের ছাত্র। তাঁরা কেউই ইঞ্জিনিয়ারিং-ডাক্তারি পড়েননি। শুনেছেন মনের কথা। করেছেন সেটাই, যেটা নিজেরা চেয়েছেন। এর জন্য প্রতিকূলতারও সম্মুখীন হয়েছিলেন কেউ-কেউ। তাঁদের কনটেন্টের লাখ-লাখ ভিউজ়। তাঁরা লাখপতিও। চলুন দেখে নেওয়া যাক তাঁদের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের রেজ়াল্ট।

বেশির ভাগ জনপ্রিয় ইউটিউবাররাই হলেন বিজ্ঞানের ছাত্র। তাঁরা কেউই ইঞ্জিনিয়ারিং-ডাক্তারি পড়েননি। শুনেছেন মনের কথা। করেছেন সেটাই, যেটা নিজেরা চেয়েছেন। এর জন্য প্রতিকূলতারও সম্মুখীন হয়েছিলেন কেউ-কেউ। তাঁদের কনটেন্টের লাখ-লাখ ভিউজ়। তাঁরা লাখপতিও। চলুন দেখে নেওয়া যাক তাঁদের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের রেজ়াল্ট।

1 / 9
'বাঁকুড়া মিমস' ইউটিউব চ্যানেলের ক্রিয়েটার বাঁকুড়ার ছেলে উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায়। জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২০১০ সালে। পেয়েছিলেন দারুণ নম্বর--৮২%। ২০১২ সালে উচ্চমাধ্যমিকে বসেছিলেন উন্মেষ। বিজ্ঞান ছিল তাঁর বিষয়। তবে মাধ্যমিকের চেয়ে উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর কমে গিয়েছিল তাঁর। পেয়েছিলেন ৬৩% নম্বর।

'বাঁকুড়া মিমস' ইউটিউব চ্যানেলের ক্রিয়েটার বাঁকুড়ার ছেলে উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায়। জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২০১০ সালে। পেয়েছিলেন দারুণ নম্বর--৮২%। ২০১২ সালে উচ্চমাধ্যমিকে বসেছিলেন উন্মেষ। বিজ্ঞান ছিল তাঁর বিষয়। তবে মাধ্যমিকের চেয়ে উচ্চমাধ্যমিকের নম্বর কমে গিয়েছিল তাঁর। পেয়েছিলেন ৬৩% নম্বর।

2 / 9
উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন এনএসএইচএমে। সায়েন্স থেকে ছিটকে মাস কমিউনিকেশনকে করেছিলেন উচ্চশিক্ষার বিষয়। এখানেই শেষ নয়। পরবর্তীকালে কর্ণাটকের মণিপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন একই বিষয়ে।

উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন এনএসএইচএমে। সায়েন্স থেকে ছিটকে মাস কমিউনিকেশনকে করেছিলেন উচ্চশিক্ষার বিষয়। এখানেই শেষ নয়। পরবর্তীকালে কর্ণাটকের মণিপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেন একই বিষয়ে।

3 / 9
নিজের রেজ়াল্ট জানিয়ে TV9 বাংলাকে উন্মেষ জানিয়েছিলেন, ইউটিউবকে কেরিয়ার করব ভেবেছিলেন যখন, তাঁর এবং অভিভাবক দু'জনেরই সংশয় ছিল খুব। মনে হয়েছিল ইউটিউবার হয়ে কোনও লাভ নেই। তবে মানুষের কনটেন্ট ভাল লাগতে শুরু করে। উন্মেষের চ্যানেল বাঁকুড়া মিমস জনপ্রিয়তা লাভ করে হু হু করে। এই মুহূর্তে বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় চলে এসেছেন উন্মেষ। ওয়েব সিরিজ়েও কাজ করেছেন।

নিজের রেজ়াল্ট জানিয়ে TV9 বাংলাকে উন্মেষ জানিয়েছিলেন, ইউটিউবকে কেরিয়ার করব ভেবেছিলেন যখন, তাঁর এবং অভিভাবক দু'জনেরই সংশয় ছিল খুব। মনে হয়েছিল ইউটিউবার হয়ে কোনও লাভ নেই। তবে মানুষের কনটেন্ট ভাল লাগতে শুরু করে। উন্মেষের চ্যানেল বাঁকুড়া মিমস জনপ্রিয়তা লাভ করে হু হু করে। এই মুহূর্তে বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় চলে এসেছেন উন্মেষ। ওয়েব সিরিজ়েও কাজ করেছেন।

4 / 9
'ওয়ান্ডার মুন্না' ইউটিউব চ্যানেলটি তৈরি করেছিলেন বাঙালি তরুণী ইন্দ্রাণী বিশ্বাস। তিনিও বিজ্ঞানের ছাত্রী। তিনিও মেধাবী। মাধ্যমিকে পান ৭৫% নম্বর। উচ্চমাধ্যমিকে পান ৬৫%। বিএ পাশ করেছেন আশুতোষ কলেজ থেকে। ইংলিশ লিটারেচারের ছাত্রী ছিলেন তিনি। স্নাতকোত্তর করতে পৌঁছে গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে। সাংবাদিকতা নিয়ে লেখাপড়া সেখানেই।

'ওয়ান্ডার মুন্না' ইউটিউব চ্যানেলটি তৈরি করেছিলেন বাঙালি তরুণী ইন্দ্রাণী বিশ্বাস। তিনিও বিজ্ঞানের ছাত্রী। তিনিও মেধাবী। মাধ্যমিকে পান ৭৫% নম্বর। উচ্চমাধ্যমিকে পান ৬৫%। বিএ পাশ করেছেন আশুতোষ কলেজ থেকে। ইংলিশ লিটারেচারের ছাত্রী ছিলেন তিনি। স্নাতকোত্তর করতে পৌঁছে গিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে। সাংবাদিকতা নিয়ে লেখাপড়া সেখানেই।

5 / 9
TV9 বাংলাকে ইন্দ্রাণী বলেছেন, "আমি বিজ্ঞানের ছাত্রী ছিলাম। ভাল লাগত লেখাপড়া করতে। ওটাই আমার জগৎ ছিল একটা সময়ে। লেখাপড়া করতে-করতেই পার্ট টাইম চাকরি করেছিলাম কনটেন্ট রাইটার হিসেবে। তখন থেকেই আমার মনে হতে শুরু করে ইউটিউব ঝড় তুলবে আগামীতে। সেই কাজের সঙ্গে ইউটিউব করতাম।"

TV9 বাংলাকে ইন্দ্রাণী বলেছেন, "আমি বিজ্ঞানের ছাত্রী ছিলাম। ভাল লাগত লেখাপড়া করতে। ওটাই আমার জগৎ ছিল একটা সময়ে। লেখাপড়া করতে-করতেই পার্ট টাইম চাকরি করেছিলাম কনটেন্ট রাইটার হিসেবে। তখন থেকেই আমার মনে হতে শুরু করে ইউটিউব ঝড় তুলবে আগামীতে। সেই কাজের সঙ্গে ইউটিউব করতাম।"

6 / 9
রাস্তা ঘাটে নাইটি পড়ে ঘুরে বেড়ান সন্দীপ, অর্থাৎ স্যান্ডি সাহা। কিন্তু জানেন কি, স্যান্ডিও দারুণ ছাত্র। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে নজরকাড়া নম্বর পেয়েছিলেন তিনিও। মাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্য ছিল ৭৮.৫% নম্বর। উচ্চমাধ্যমিকে পান ৬০%। ক্লাস টুয়েল্ভে তিনিও সায়েন্স নিয়েই পড়েছিলেন। পরে ফিজ়িওলজ়িতে বিএসসি করেন। এমএসসি করেন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সে।

রাস্তা ঘাটে নাইটি পড়ে ঘুরে বেড়ান সন্দীপ, অর্থাৎ স্যান্ডি সাহা। কিন্তু জানেন কি, স্যান্ডিও দারুণ ছাত্র। মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে নজরকাড়া নম্বর পেয়েছিলেন তিনিও। মাধ্যমিকে তাঁর প্রাপ্য ছিল ৭৮.৫% নম্বর। উচ্চমাধ্যমিকে পান ৬০%। ক্লাস টুয়েল্ভে তিনিও সায়েন্স নিয়েই পড়েছিলেন। পরে ফিজ়িওলজ়িতে বিএসসি করেন। এমএসসি করেন এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সে।

7 / 9
নিজের রেজ়াল্ট সম্পর্কে TV9 বাংলাকে স্যান্ডি বলেছিলেন, "কলেজে পড়ার সময় আমি ইউটিউব করতাম। তখন থেকেই লোকজন চিনতে শুরু করে আমাকে। এখন তো স্কুলের পুচকে ছেলেমেয়েরাও ভাবে ইউটিউবার হবে। আমি তাঁদের একটা পরামর্শ দিতে চাইব। সব কিছু করার আগে লেখাপড়া শেষ করতেই হবে। সেটা বেসিক। বেসিক থেকে সরলে জীবনে দুঃখই জুটবে।"

নিজের রেজ়াল্ট সম্পর্কে TV9 বাংলাকে স্যান্ডি বলেছিলেন, "কলেজে পড়ার সময় আমি ইউটিউব করতাম। তখন থেকেই লোকজন চিনতে শুরু করে আমাকে। এখন তো স্কুলের পুচকে ছেলেমেয়েরাও ভাবে ইউটিউবার হবে। আমি তাঁদের একটা পরামর্শ দিতে চাইব। সব কিছু করার আগে লেখাপড়া শেষ করতেই হবে। সেটা বেসিক। বেসিক থেকে সরলে জীবনে দুঃখই জুটবে।"

8 / 9
এবার আসা যাক আমাদের বং গাইয়ের প্রসঙ্গে। আপনারা সকলেই জানেন'দ্যা বং গাই' কিরণ দত্ত সায়েন্সেরই স্টুডেন্ট। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের অধিকাংশ বিষয়েই তিনি পেয়ে গিয়েছিলেন 'AA'। এর অর্থ তিনি 'আউটস্ট্যান্ডিং'।

এবার আসা যাক আমাদের বং গাইয়ের প্রসঙ্গে। আপনারা সকলেই জানেন'দ্যা বং গাই' কিরণ দত্ত সায়েন্সেরই স্টুডেন্ট। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের অধিকাংশ বিষয়েই তিনি পেয়ে গিয়েছিলেন 'AA'। এর অর্থ তিনি 'আউটস্ট্যান্ডিং'।

9 / 9
Follow Us: