AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: পঞ্চায়েত অফিসে তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের হুমকির অভিযোগ, উপপ্রধান বললেন…

woman allegedly threatened at panchayat office: তরুণীর দাবি, তাঁর বাবার সম্পত্তি বিক্রি করেন তিনি। এরপরই নসিবপুর পঞ্চায়েত থেকে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। গত বুধবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নসিবপুর পঞ্চায়েতে পৌঁছে যান তিনি। সম্পত্তি বেচাকেনা ও ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে শরিকি বিবাদ মেটাতেই পঞ্চায়েতে ডাকা হয়। অভিযোগ, বিবাদ মেটানোর বদলে তরুণীকে খুন ও ধর্ষণের হুমকি দেন পঞ্চায়েত অফিসে থাকা জনৈক এক ব্যক্তি। পঞ্চায়েত উপপ্রধানের সামনেই ঘটে সমস্ত ঘটনা।

Hooghly: পঞ্চায়েত অফিসে তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের হুমকির অভিযোগ, উপপ্রধান বললেন...
অভিযোগকারিণী তরুণী (বাঁদিকে), উপপ্রধান গোবিন্দ ধাড়া (ডানদিকে) Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2025 | 12:09 PM
Share

সিঙ্গুর: সম্পত্তি নিয়ে শরিকি বিবাদ মেটানোর নামে পঞ্চায়েত অফিসে ডেকে তরুণীকে খুন ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী পঞ্চায়েত অফিসেই উপপ্রধানের সামনেই হুমকি দেন বলে তরুণীর অভিযোগ। ঘটনাটি হুগলির সিঙ্গুরের নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার। খুন এবং ধর্ষণের হুমকির ভয়ে থানায় না গিয়ে বাড়ি থেকেই সিঙ্গুর থানায় মেইল মারফত অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। তবে অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন উপপ্রধান।

মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানানোর কারণ নিয়ে অভিযোগকারিণী তরুণী বলেন, “চারিদিকে গুন্ডাদের রাজত্ব চলছে। পঞ্চায়েতে গিয়ে যদি গুন্ডাদের হুমকি খেতে হয়, থানাতে গিয়েও দেখা যাবে যে গুন্ডা বসে রয়েছে।” তাই মেল মারফত পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

পঞ্চায়েত অফিসে কী হয়েছিল?

তরুণীর দাবি, তাঁর বাবার সম্পত্তি বিক্রি করেন তিনি। এরপরই নসিবপুর পঞ্চায়েত থেকে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়। গত বুধবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নসিবপুর পঞ্চায়েতে পৌঁছে যান তিনি। সম্পত্তি বেচাকেনা ও ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে শরিকি বিবাদ মেটাতেই পঞ্চায়েতে ডাকা হয়। অভিযোগ, বিবাদ মেটানোর বদলে তরুণীকে খুন ও ধর্ষণের হুমকি দেন পঞ্চায়েত অফিসে থাকা জনৈক এক ব্যক্তি। পঞ্চায়েত উপপ্রধানের সামনেই ঘটে সমস্ত ঘটনা।

হুমকির জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই তরুণী। বলেন, তাঁর বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। সম্পত্তি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। সেই সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ লাগে কাকার সঙ্গে। সেই বিবাদ নিষ্পত্তির জন্য নসিবপুর পঞ্চায়েতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে।

কী বলছেন উপপ্রধান?

যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন নসিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোবিন্দ ধাড়া। তিনি বলেন, “পারিবারিদ বিবাদ মেটাতে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ওই যুবতীকে ডেকে আলোচনা চলছিল। তার ভিডিয়ো করছিলেন তরুণী। তাঁকে ভিডিয়ো করতে নিষেধ করা হয়। এবং ভিডিয়োটি ডিলিট করে দেওয়া হয়।” খুন ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগ উড়িয়ে উপপ্রধান বলেন, “সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। তাঁর উপর কোনও জোরজুলুম বা হুমকির ঘটনা ঘটেনি। মহিলারা পারলে একজনকে ফাঁসিয়ে দিতে পারেন। পঞ্চায়েতের ঘরে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তদন্তে সমস্ত ঘটনা সত্য কী মিথ্যা, তা প্রমাণিত হয়ে যাবে।”