Garuda Purana 2023: মহিলারা সাবধান! গরুড় পুরাণ মতে এমন ৩ কাজ করলেই হবে সাতজন্ম নরকবাস
Poverty in House: গরুড় পুরাণেও এমন কিছু কাজের কথা বলা হয়েছে, যা ভুল করেও কখনও করা উচিত নয়। বিশেষ করে মহিলাদের এই কাজ একেবারেই করা উচিত নয়।
হিন্দু ধর্মের ১৮টি মহাপুরাণের মধ্যে গরুড় পুরাণ (Garuda Purana) হল অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ একটি পুরাণ। মনে করা হয়, যে ব্যক্তি এই পুরাণে উল্লিখিত জ্ঞান ও নীতি মেনে চলেন, তাঁর জীবনে কখনও কোনও বিপদ আসতে পারে না। গরুড় পুরাণে এমন অনেক কিছু কাজের কথা বলা হয়েছে, যেগুলি করা হলে দুঃখের শেষ থাকে না। সেই সঙ্গে এমন অনেক কাজ রয়েছে, যে কাজ ঘরে দারিদ্রের সঙ্গে বসবাস করা শুরু হয়। সেই কাজগুলিই জেনে নেওয়া প্রয়োজন। গরুড় পুরাণে, ভগবান বিষ্ণু (Lord Vishnu) জানিয়েছেন, অনেক কাজকর্ম রয়েছে যেগুলির সঙ্গে ধর্মের সামঞ্জস্যপূর্ণ রয়েছে আবার কোনটির সঙ্গে নয়।
ধর্ম-কর্ম ও নীতি-নিয়মের পাশাপাশি গরুড় পুরাণে যমলোকের যাত্রা এবং মৃত্যুর পর স্বর্গ-নরকের কথাও বলা হয়েছে। গরুড় পুরাণের নীতি অনুসরণ করেম, একজন ব্যক্তি সঠিক ও ভুল কর্মের মধ্যে পার্থক্য শিখতে পারেন। এই নিয়মের পথ ধরেই ওই ব্যক্তি কর্ম-ধর্মের পথে চলার মাধ্যমে উন্নত জীবনযাপন করতে পারেন। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি কেবল জীবনেই সুখী থাকেন তাই নয় মৃত্যুর পরেও মুক্তি লাভ করেন। একইভাবে গরুড় পুরাণেও এমন কিছু কাজের কথা বলা হয়েছে, যা ভুল করেও কখনও করা উচিত নয়। বিশেষ করে মহিলাদের এই কাজ একেবারেই করা উচিত নয়। এসব কাজের মাধ্যমে ঘরে দুঃখ ও দারিদ্র্য নেমে আসে। সেই কাজগুলি কী কী, তা জানুন…
খাদ্য দান না করা: দান করা অত্যন্ত পুণ্যের কাজ। খাদ্য দান শুধুমাত্র আপনার জন্য নয়, সাত প্রজন্মের জন্যও কল্যাণকর। তাই যে কোনও ব্যক্তিকেই খাদ্য দান করা সম্ভব। এছাড়া ক্ষুধার্ত ও দুঃস্থকে সামর্থ্য অনুযায়ী খাবার দান করা উচিত।
স্বামীর থেকে দূরে থাকবেন না: স্ত্রী হলেন স্বামীর শ্রেষ্ঠ অর্ধাঙ্গিনী। মানে স্বামীর শরীরের অর্ধেক। গরুড় পুরাণ অনুসারে, কোনও স্ত্রীরই তার স্বামীর থেকে দূরে থাকা উচিত নয়। সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বসবাস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনও কারণে দুজনের মধ্যে মতবিরোধ হলেও স্বামীর কাছ থেকে দূরে থাকবেন না। দীর্ঘদিন স্বামী-স্ত্রীর থেকে দূরে থাকার কারণে সম্পর্কের ফাটল তৈরি হতে পারে ও পারিবারিক সমস্যা বাড়তে পারে।
কাউকে অপমান করবেন না: কখনও কাউকে অপমান করবেন না। তাই মুখ থেকে এমন কঠিন ও অপছন্দের কথা বলবেন না, যাতে কারওর মন আঘাত লাগতে পারে। সেজন্য কেউ আপনার থেকে ছোট বা বড়, সবার সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলুন ও ভুল শব্দ ব্যবহার করবেন না।