Bipattarini Puja 2024: বিপত্তারিণীর ব্রত খুব কঠিন! এই নিয়মগুলি না মানলে হতে পারে চরম বিপদ
Puja Rules and Rituals: প্রতি বছর রথযাত্রা ও উল্টোরথের মাঝামাঝি সময়ের, মঙ্গলবার ও শনিবার পালিত হয় বিপত্তারিণীর পুজো। সাধারণত, কালী মন্দিরে বিপত্তারিণীর পুজো করা হয়ে থাকে। তবে বাড়িতেও এই দেবীর ব্রত ও উপবাস রেখে পুজো করার রীতি রয়েছে। মনে করা হয়, সংসার ও সন্তানের মঙ্গলকামনায় এই ব্রত ও পুজো করা হয়ে থাকে।
ভক্তি ও নিষ্ঠা ভরে বিপত্তারিণী পুজো করলে কোনও বিপদই ধারে কাছে ঘেঁষে না। বাংলার লৌকিক দেবী হিসেবে পরিচিত বিপত্তারিণীকে অনেকে দেবী দুর্গার কৌশিকী রূপকেও স্মরণ করেন। পুরাণ অনুযায়ী, দেবী কালীর বিশেষ একটি রূপ হল এই বিপত্তারিণী। পৌরাণিক কাহিনি মতে, একবার মহাদেব মজার ছলে দেবী পার্বতীকে কালী বলে সম্বোধন করেন। তাতে দেবী অত্যন্ত রুদ্রমূর্তি ধারণ করে নিজের কৃষ্ণবর্ণা রূপ পরিত্যাগ করেন। সেই কৃষ্ণবর্ণা রূপই হল দেবী দূর্গার। পার্বতীর অঙ্গ থেকে সৃষ্টি হয়েছে কৌশিকী, বিপত্তারিণী।
প্রতি বছর রথযাত্রা ও উল্টোরথের মাঝামাঝি সময়ের, মঙ্গলবার ও শনিবার পালিত হয় বিপত্তারিণীর পুজো। সাধারণত, কালী মন্দিরে বিপত্তারিণীর পুজো করা হয়ে থাকে। তবে বাড়িতেও এই দেবীর ব্রত ও উপবাস রেখে পুজো করার রীতি রয়েছে। মনে করা হয়, সংসার ও সন্তানের মঙ্গলকামনায় এই ব্রত ও পুজো করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিশ্বাস করা হয়, নিয়ম মেনে ব্রত ও পুজো পাঠ করলে ঘরে সুখ ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে। তবে বিপত্তারিণী পুজোর রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম। মেনে চলতে হয় বিশেষ কিছু প্রথাও। যেগুলি না মানলে হতে পারে চরম বিপদ।
বিপত্তারিণী পুজোর দিন যে যে ভুলগুলি একেবারেই করবেন না, সেগুলি একবার দেখে নিন…
– যদি বিপত্তারিণী পুজো করে থাকেন, তাহলে পুজোর আগে ও পরের দিন নিরামিষ খাবার খাওয়ার নিয়ম রয়েছে।
– পুজো চলাকালীন পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গেই কথা বলা চলবে না। মুখ থেকে টু শব্দ বের হলেই অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হোন দেবী।
– পুজোর দিন কখনওই কোনও আঁশ-জাতীয় খাবার ঘরে প্রবেশ করাবেন না। করলেই হতে পারে উল্টো ফল। বিপদ আসবে ঘনিয়ে।
– চাল ও গমের কোনও খাদ্যবস্তু ভুলে মুখে তুলবেন না। এদিন উপবাস রাখলে আটার রুটি খাওয়া বিপজ্জনক।
– এ দিন কোনও মহিলার সঙ্গে বাজে ব্যবহার বা বাজে কথা বলবেন না। শুধু মহিলাই নয়, কারওর সঙ্গে বাজে কথা বলবেন না। অপমান বা আঘাত পাবেন কেউ, এমন বাক্য উচ্চারণ করবেন না।
– পুজোর আগে পুজোর ঘর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা উচিত। নিজেকেও পরিস্কার রাখতে স্নান সেরে নতুন বা শুদ্ধ পোশাক পরা উচিত।
– ১৩ প্রকার ফল, পুস্প, মিষ্টি, পান, সুপারি, লবঙ্গ, এলাচ প্রভৃতি অর্পণ করতে হয়। ১৩টি লুচি ভোগ হিসেবে বিলি করা উচিত। প্রসাদ হিসেবে ১৩টি লুচি ও ১৩ রকমের ফল খাওয়ার চল রয়েছে।
– দেবী ভগবতী বা দেবী কালী শুধু জবা ফুলেই তুষ্ট থাকেন, তাই মায়ের পুজোয় লাল জবা অতি আবশ্যক। লাল জবা ফুলের পুষ্পাঞ্জলি দ্বারাই মায়ের পুজো সম্পন্ন হয়। এছাড়া পদ্মফুলও পুজোর সামগ্রীতে রাখা উচিত।
– বিপত্তারিণী পুজোয় ১৩ সংখ্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। স্বামী ও সন্তানের রক্ষার্থে ১৩টি গিঁট দেওয়া লাল সুতো যা রক্ষা সুতো নামে পরিচিত। তাতে ১৩টি দুর্বাও দেওয়া থাকে।পুরুষরা বামহাতে ও মহিলাদের ডানহাতে লাল ধাগা বাঁধা উচিত।