AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jaya Ekadashi 2024: এই উপোস সংযমের উপবাস! আজ এই ৫ খাবার ছুঁয়েও দেখবেন না

Fasting Rituals: হিন্দুধর্ম অনুসারে, একাদশীর দিনে কোন কোন খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়, তা জেনে নেওয়া উচিত। জ্যোতিষীদের মতে, একাদশীর দিন চন্দ্রদেবের অশুভ প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে ও আত্মবিশ্বাস ও আত্ম-নিয়ন্ত্রণের কৌশলের জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। সাধারণত উপবাস রাখা মানে সংযম রক্ষা করা। তাই সুস্বাদু ও লোভনীয় খাবার খাওয়া নিয়ে সংযম থাকার পরীক্ষার একটি উপায় মাত্র। 

Jaya Ekadashi 2024: এই উপোস সংযমের উপবাস! আজ এই ৫ খাবার ছুঁয়েও দেখবেন না
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2024 | 3:35 PM
Share

হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীকে জয়া একাদশী বলা হয়ে থাকে। ক্যালেন্ডার মতে, এই বিশেষ একাদশী পালিত হচ্ছে আজই। ২০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার। কথিত আছে, এই উপবাস পালন করা হলে অশুভ আত্মা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। সনাতন ধর্মে একাদশীর উপবাসের গুরুত্ব রয়েছে। তবে এই একাদশীর উপবাস পালনেরও রয়েছে বিভিন্ন নিয়ম। হিন্দিমতে, একাদশীর দিন খাওয়া-দাওয়ায় রয়েছে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা। হিন্দুধর্ম অনুসারে, একাদশীর দিনে কোন কোন খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়, তা জেনে নেওয়া উচিত। জ্যোতিষীদের মতে, একাদশীর দিন চন্দ্রদেবের অশুভ প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে ও আত্মবিশ্বাস ও আত্ম-নিয়ন্ত্রণের কৌশলের জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। সাধারণত উপবাস রাখা মানে সংযম রক্ষা করা। তাই সুস্বাদু ও লোভনীয় খাবার খাওয়া নিয়ে সংযম থাকার পরীক্ষার একটি উপায় মাত্র।

সাধারণত, একাদশীর দিন সাদা কোনও খাদ্যবস্তু খাওয়া উচিত নয়। যেমন চিনি, ভাত খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলা উচিত। তবে অনেকে এই সময় চিনি দিয়ে জল খেয়ে থাকেন। ভাত খান না, কিন্তু চিনি খাওয়া যেতে পারে, এমন নিয়ম হিন্দুশাস্ত্রে উল্লেখ নেই। এদিন ফল খাওয়া উচিত নয়। কারণ ফলের মধ্যে রয়েছে শর্করা। যা চিনির স্বাদ থাকে। তাই মিষ্টি ফল খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া জয়া একাদশীর গুরুত্ব বুঝে কোন কোন খাবার স্পর্শও করা উচিত নয়, তা জেনে নিন একনজরে…

একাদশীতে কী কী খাবার নিষিদ্ধ

একাদশীর দিন ভুল করেও ভাত খাওয়া উচিত নয়। বিষ্ণু পুরাণে উল্লেখ রয়েছে, এদিনে ভাত খেলে পুণ্য ফল নষ্ট হয়। ধর্মীয় কাহিনি অনুসারে মনে করা হয়, একাদশীর দিন ধানের মধ্যে অনেক অপরাধ লুকিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে, একে দেবতাদের প্রধান ভোগও বলা হয়।

একাদশীর উপবাসে সাদা লবণ খাওয়াও নিষিদ্ধ। এই উপবাসে সাদা লবণের পরিবর্তে রক সল্ট খেতে পারেন। অনেকসময় একাদশীর দিন বেগুন খাওয়াও উচিত নয়। জয়া একাদশীর দিন অন্য কারওর দেওয়া খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।

মাংস, অ্যালকোহল, পেঁয়াজ, রসুনের মতো জিনিসও এদিন এড়িয়ে চলা উচিত। সাধু-সন্তরা একাদশীর দিনে উরদ-মসুরের ডাল স্পর্শ করেন না।

একাদশীর দিনে ভাত খাওয়া না গেলেও একাদশীর দ্বিতীয় দিনে ভাত খেতে পারেন। জয়া একাদশীর গুরুত্ব ‘পদ্ম পুরাণ’ এবং ‘ভবিষ্যোত্তর পুরাণ’ উভয়েই উল্লেখ করা হয়েছে।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং যুধিষ্ঠিরকে এই বিশেষ ও পবিত্র একাদশীর  গুরুত্ব উল্লেখ রয়েছে। এদিন নিষ্ঠাভরে উপবাস করলে ব্রহ্মহাত্যের মতো পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।