Dusshera 2023: হাতির উপর থাকে দেবীর ৭৫০ কেজি সোনার মণ্ডপ! জানুন মহীশূর দশেরার অজানা তথ্য

Mysore Dussehra: ১৮৮০ সালে মহারাজা চামরাজা ওয়াদেয়ার প্রথম প্রজাদের কাছে রাজ্যের উন্নয়নগুলিতে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এই রাজকীয় প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। সেই রীতি এখনও অব্যাহত। ২০১৫ সালে সিংহাসনে বসার পর থেকে মহারাজা যদুবীর কৃষ্ণদত্ত চামরাজা ওয়াদিয়ার দশেরার উত্‍সব উদযাপন ও দরবার পালন করে আসছেন।

Dusshera 2023: হাতির উপর থাকে দেবীর ৭৫০ কেজি সোনার মণ্ডপ! জানুন মহীশূর দশেরার অজানা তথ্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2023 | 4:19 PM

রাজকীয় দশেরা উত্‍সব যদি দেখতেই হয়, তাহলে যেতে হবে কর্ণাটকের মহীশূরে বা মাইসুরুতে। এই উত্‍সব প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো বলে মনে করা হয়। কর্ণাটকের প্রধান উত্‍সবগুলির মধ্যে মহীশূরের এই দশেরা উত্‍সব। ঐতিহ্যবাহী মহীশূর দশেরা হয় কর্ণাটকের নাদাহাব্বা। প্রায় ১০ দিন ধরে চলে এই বর্ণাঢ্য উত্‍সব। স্থানীয়রা এই উত্‍সবটিকে মাইসুরু দশরা বলে থাকেন। বিজয়াদশমীর দিন এক রাজকীয় শোভাযাত্রা পরিবেশিত হয় এখানে। হাতি, ঘোড়া, উট, মিউজিক্যাল ব্যান্ড, নৃত্যের দল, রঙিন যাত্রার এক মিছিলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় এই দশেরা উত্‍সব।

এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রার মূল আকর্ষণ হল দেবী চামুণ্ডেশ্বরীর মূর্তি। এদিন সুসজ্জিত হাতির পিঠে চড়ে সোনার মণ্ডপের মধ্যে দেবী অধিষ্ঠান করে থাকেন। এই সোনার মণ্ডপ কোনও সাধারণ মণ্ডপ নয়। স্বর্ণমণ্ডপের ওজন প্রায় ৭৫০ কিলোগ্রামের কাছাকাছি। প্রথা অনুযায়ী, এদিন শোভাযাত্রা বের হওয়ার আগে মহীশূরের রাজ দম্পত্তিরা প্রথমে পুজো করে থাকেন। মাইসুরুর প্রাসাদের বিপরীতে বিশাল ময়দানে এই দশেরা উত্‍সব অনুষ্ঠিত হয়। ১৮৮০ সালে মহারাজা চামরাজা ওয়াদেয়ার প্রথম প্রজাদের কাছে রাজ্যের উন্নয়নগুলিতে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এই রাজকীয় প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। সেই রীতি এখনও অব্যাহত। ২০১৫ সালে সিংহাসনে বসার পর থেকে মহারাজা যদুবীর কৃষ্ণদত্ত চামরাজা ওয়াদিয়ার দশেরার উত্‍সব উদযাপন ও দরবার পালন করে আসছেন। এই প্রদর্শনী দশেরার সময় থেকে শুরু হয়। শেষ হয় ডিসেম্বরের একটি নির্দিষ্ট তারিখে।

প্রথা মেনে প্রতি বছর মহীশূর প্রাসাদ থেকে শুরু হয় এই রঙিন ও রাজকীয় শোভাযাত্রা। বান্নিমন্তাপ নামে একটি নির্দিষ্ট স্থানে শেষ এই শোভাযাত্রা। সেখানেই থাকে বান্নি গাছ। এই পবিত্র গাছকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হয়। মহাভারতের একটি কিংবদন্তি অনুসারে, পাণ্ডবরা একবছরের জন্য ছদ্মবেশী জীবনযাপন বা অজ্ঞাতবাস সময়কালে তাদের অস্ত্রসস্ত্র লুকানোর জন্য বান্নি গাছ ব্যবহার করেছিলেন। তারপর থেকে কোনও রাজারা যুদ্ধের আগে ঐতিহ্য়গতভাবে এই বান্নি গাছকে বিজয়ের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হত। তাই দশমীর রাতে দশেরা উত্‍সব শেষ হওয়ার আগে বান্নিমণ্ডপের ময়দানে মশাল-কুজকাওয়াজ পরিবেশিত হয়। এই অনুষ্ঠানকে স্থানীয়রা পাঞ্জিনা কাব্যথু বলে থাকেন। শুধু তাই নয়, এই শোভাযাত্রায় হাতির ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। হাতির পিঠের উপর চামুণ্ডেশ্বরীকে নিয়ে শোভাযাত্রাকে জাম্বো সাভারি বলা হয়ে থাকে।