হিন্দু ধর্মে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর (Krishna Janmashtami) আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। প্রতি বছরই দেশে ব্যপক আড়ম্বরের সঙ্গে জন্মাষ্টমী পালিত হয়। হিন্দুদের বিশ্বাস, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী ও রোহিনী নক্ষত্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ (Lord Krishna) । আর সেইদিনটিই জন্মাষ্টমী (Janmashtami) নামে জনপ্রিয়তা লাভ করে। বিশেষ করে এদিন জন্মাষ্টমীর দিন কৃষ্ণের শিশু বা শৈশব রূপের পুজো করা হয়। এদিন মহিলারা বিশেষ করে সারাদিন উপবাস পালন করে থাকেন।
মথুরায় কবে জন্মাষ্টমী পালিত হবে?
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি হল মথুরায়। তাই এদিন মথুরায় প্রচুর ভক্তের সমাগতম হয়। একই সঙ্গে এ বছর দ্বারকাধীশ ও বাঁকে বিহারী মন্দিরে জন্মাষ্টমীর উত্সব পালিত হবে। আগামী ১৮ অগস্ট জন্মাষ্টমীর তিথি শুরু। শেষ হবে ১৯ অগস্ট। তবে মথুরার মন্দিরগুলিতে ১৯ অগস্ট কৃষ্ণের পুজো হবে বলে জানা গিয়েছে।
জন্মাষ্টমীর পুজো পদ্ধতি
– এই দিনে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরিধান করতে হবে।
– তারপর বাড়ির পুজোর ঘর বা মন্দিরটি সঠিকভাবে পরিষ্কার করে একটি প্রদীপ জ্বালাতে হবে।
– এর পরে, সমস্ত দেবতার জলাভিষেক করতে হবে।
– জলাভিষেকের পর লাড্ডু গোপালকে দোলনায় বসিয়ে দোল দিন।
– তারপর ইচ্ছা অনুযায়ী লাড্ডু গোপালকে শুধুমাত্র সাত্ত্বিক খাবার নিবেদন করুন।
– এই দিনে রাতের উপাসনার গুরুত্ব রয়েছে, কারণ এই রাতে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল।
– জন্মাষ্টমীতে রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিশেষ পূজা করলে আশীর্বাদ পাওয়া সহজ হয়।
– পুজোর পরে, শ্রীকৃষ্ণকে চিনি মিছরি, মাখন,তালের বড়া, সন্দেশ, ক্ষীর, পায়েস এবং শুকনো ফল নিবেদন করুন।
– তারপর আপনি মনেপ্রাণে লাড্ডু গোপালের আরতি করুন। শ্রীকৃষ্ণ জন্মকাহিনি ও কৃষ্ণশতনাম পাঠ করুন।
– যদি এই দিনে উপবাস করে থাকেন তবে গোপালঠাকুরের জন্মের সময়ের পর আরতি করে উপবাস ভঙ্গ করুন।
Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।