Kalashtami 2023: শ্রাবণের দ্বিতীয় কালাষ্টমী! কালভৈরবকে তুষ্ট করতে কী কী করবেন আজ
Sawan 2023: কালভৈরবের ভক্তরা বছরের সমস্ত কালাষ্টমীর দিনে তাঁর পুজো করে থাকেন। পঞ্চাঙ্গ মতে, শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় কালাষ্টমী মঙ্গলবার অর্থাৎ ৮ অগস্ট । কালভৈরবের আশীর্বাদ পেতে আজই করুন এই প্রতিকারগুলি...

চলছে শ্রাবণ মাস। আবার হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে পালিত হচ্ছে মলমাস। হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, কালাষ্টমী তিথি পালিত হচ্ছে ৮ অগস্ট। এই দিনে মাসিক কালাষ্টমী উপবাসও পালন করা হয়। এই বিশেষ দিনে ভগবান শিবের রুদ্রাবতার কাল ভৈরবের বিশেষ রীতি-নীতিতে পালন করা হয়। সেই সঙ্গে এ দিনে বেশ কিছু বিশেষ ব্যবস্থা করলে জীবনের সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়। কাল ভৈরবেরও আশীর্বাদ মেলে। প্রতি মাসে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কালাষ্টমী পালিত হয়। কালভৈরবের ভক্তরা বছরের সমস্ত কালাষ্টমীর দিনে তাঁর পুজো করে থাকেন। পঞ্চাঙ্গ মতে, শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় কালাষ্টমী মঙ্গলবার অর্থাৎ ৮ অগস্ট । কালভৈরবের আশীর্বাদ পেতে আজই করুন এই প্রতিকারগুলি…
কালাষ্টমীর গুরুত্ব
কালাষ্টমীর দিন ভগবান শিবের রুদ্রাবতার কালভৈরবের পুজো করা হয়। কালভৈরবকে তন্ত্র-মন্ত্রের দেবতাও বলা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এদিনে পুজো করলে ভক্তদের মধ্যে শুধু অকাল মৃত্যুর ভয় থেকে মুক্তি পায় না, অনেক ধরনের রোগ থেকেও মুক্তি পায়। এই দিনে উপবাস করলে শনি ও রাহুর বাধা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কালাষ্টমীর প্রতিকার
কালাষ্টমীর দিন তেতো সরষের তেলে উরদ ডাল দিয়ে বড়া বানাতে পারেন। এই জিনিস তৈরি না করে বাড়ি থেকে বের হবেন না। পথে যেতে যেতে প্রথম যে কুকুরটিকে দেখতে পাবন, তাকে এই ভাজা জিনিসগুলি খাওয়াতে পারেন। এরপর আর ফিরে তাকাবেন না। বিশ্বাস অনুসারে, এই কৌশলটি করলে আপনি ভৈরোবাবার আশীর্বাদ পেতে পারেন।
রাহুকে শান্ত করতে
যদি কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে রাহুর অশুভ প্রভাব থাকে, তাহলে কালাষ্টমীর দিন ভক্তিভরে ভৈরোবাবার পুজো করা উচিত। এতে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। সেই সঙ্গে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধিও বজায় থাকে।
ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব
একটি কালো রঙের সুতো ভৈরববাবার পায়ে রাখা উচিত। এরপর ওম হ্রী বটুকে অপুদ্ধারনায় কুরু কুরু বটুকে হ্রী ওম এই মন্ত্রটি জপ করুন। এতে সব ধরনের ভয় দূর হয়।
নেতিবাচক শক্তি দূর হবে
মলমাসের কালাষ্টমীর দিন ভৈরব বাবাকে মিষ্টি রুটি নিবেদন করতে পারেন। তাঁর সামনে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। এতে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব কমে যায়। যার ফলে জীবনে সুখ শান্তি বজায় থাকে।
