Vastu Tips For Bedroom: বিছানায় সুখ থাকুক ঘণ্টার পর ঘণ্টা! বাস্তুমতে বিবাহিত জীবনে করতে হবে যে ছোট্ট কাজ
Married Life: শয়নকক্ষ এমনভাবে তৈরি করা উচিত , যার প্রভাব আছড়ে পড়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে। সেখানে শুধুইপরস্পরের মধ্যে সম্প্রীতি, ভালবাসা ও উৎসর্গের অনুভূতি বজায় থাকে। তবে প্রায়ই দেখা যায় বেডরুমের বাস্তুদোষের কারণে বিবাহিত জীবন ছাড়খার হতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর উপর যদি শনি, রাহুর মহাদশা ও অন্তর্দশা প্রভৃতি অশুভ গ্রহের প্রভাব পড়ে, তাহলে সেই বিচ্ছেদ কখনও আটকানো যাবে না।

বিবাহিত জীবনে সুখ এখন বড় বিরল। বিয়ে করার কয়েক বছরের মধ্যেই ভেঙে যাচ্ছে সম্পর্ক। একটি সম্পর্ক গড়ে তোলা যতটা কঠিন, ঠিক ততটাই সহজ কাজ হল সেই সম্পর্ক ভেঙে ফেলা। শুধু ৪ বছরের নয়, ১৪ বছরের বিয়েও ভেঙে যাওয়ার পিছনে রয়েছে অনেক কিছু। সেই অনেক কিছুকেই ফের জোড়া লাগানোর চেষ্টা বিফলে যায় বার বার। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষ মানুষকে ভালবাসতে ছাড়ে না। অনেকের মতে, বৈবাহিক জীবনে অন্য়তম সুখ লুকিয়ে রয়েছে বিছানার মধ্যেই। কারণ মনের মিলনের পাশাপাশি শারীরিক সুখও একটি সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। আর এই স্বাভাবিক সত্যটি অস্বীকার করা যাবে না। সাধারণের মধ্যেও অসাধারণ হল. জ্যোতিষসাস্ত্র মতেও রয়েছে বিছানার গুরুত্ব। জ্যোতিষমতে, নবগ্রহের মধ্যে শুক্রের আধিপত্য বা প্রতীক হল আপনার ঘরের মাস্টার বেড রুম।
শয়নকক্ষ এমনভাবে তৈরি করা উচিত , যার প্রভাব আছড়ে পড়ে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে। সেখানে শুধুইপরস্পরের মধ্যে সম্প্রীতি, ভালবাসা ও উৎসর্গের অনুভূতি বজায় থাকে। তবে প্রায়ই দেখা যায় বেডরুমের বাস্তুদোষের কারণে বিবাহিত জীবন ছাড়খার হতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর উপর যদি শনি, রাহুর মহাদশা ও অন্তর্দশা প্রভৃতি অশুভ গ্রহের প্রভাব পড়ে, তাহলে সেই বিচ্ছেদ কখনও আটকানো যাবে না।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টানাপোড়েনের ক্ষেত্রে গ্রহের অবস্থার প্রতিকারের পাশাপাশি বেডরুমের বাস্তু দোষ দূর করারও চেষ্টা করা উচিত। চিনা বাস্তুশাস্ত্র ফেং শুইতে মতে, সম্পর্ক বিগড়ে যাওয়ার আগে সেই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার প্রথম পদক্ষেপ নিন ঠিক এভাবে। বিয়ের কয়েক বছর পর যদি বিবাহিত জীবনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুখের মাত্রা তলানিতে ঠেকে গেলে এই কাজ করুন যথার্থ সময়ে…
– বাস্তুশাস্ত্র এবং ফেং শুইতে বিশ্বাস করলে, শোওয়ার ঘরে কম্পিউটার ও টিভি থাকা উচিত নয়। ব্যবসা বা অফিসের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও জিনিস বেডরুমে রাখা উচিত নয়। তাতে দাম্পত্য জীবনের সুখী মুহূর্ত বাধাগ্রস্ত হয়। রাশিফলের গ্রহগুলিও যদি অশুভ স্থানে অবস্থান করে, তাহলে মারামারি থেকে শুরু করে বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াতে পারে।
– নেতিবাচক শক্তি তৈরি হলে, বেডরুমে হিংসাত্মক বা যুদ্ধের কোনও ছবি রাখবেন না, তাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করে। আক্রমনাত্মক ও হিংসাত্মক ছবির পরিবর্তে বেডরুমে প্রেম, শান্তি, দয়া ও সহানুভূতি দেখানো ছবি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শোওয়ার ঘরে স্বামী-স্ত্রীর হাসির যৌথ ছবি রাখলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে মিষ্টতা বজায় থাকে।
– বেডরুমে, একটি ডাবল বিছানায় দুটি পৃথক গদির পরিবর্তে একটি গোটা গদি ব্যবহার করা উচিত। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিভেদ ও উত্তেজনা দূর করে। দুটি পৃথক গদি থাকার কারণে সম্পর্কের ফাটল দেখা যায়।
– ভাল জীবনসঙ্গী পেতে হলে অবিবাহিতরা ঘুমনোর জায়গায় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। বিবাহযোগ্য যুবক-যুবতীদের বেডরুমের দরজার সামনে মাথা বা পা রেখে ঘুমনো উচিত নয়। তাতে শুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয় না।
– বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে মিশতে না পারলে বা মনোমালিন্য চলতেই থাকলে, বেডরুমে ফেং শুই-এর লাভ নট এবং লাভ বার্ড স্থাপন করা উচিত। চীৃিনা বাস্তুশাস্ত্র ফেং শুই অনুসারে, এর জেরে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর হয় এবং পারস্পরিক ভালবাসা বৃদ্ধি পায়।





