AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Wednesday Puja Rules: বুধবার লক্ষ্মীর সঙ্গে গণেশেরও পুজো করুন, সব মনের ইচ্ছে পূরণ হবে রাতারাতি

Hindu Puja Rules: কথিত আছে যে জল থেকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন দেবী লক্ষ্মী। তাই তিনি এক জায়গায় কখনও স্থির হয়ে বাস করেন না। জলের মতোই প্রবাহিত হন তিনি। তবে সঠিক বুদ্ধি দিয়ে কাজ করলে ও সিদ্ধান্ত নিলে লক্ষ্মীর বাস হবে ঘরে।

Wednesday Puja Rules: বুধবার লক্ষ্মীর সঙ্গে গণেশেরও পুজো করুন, সব মনের ইচ্ছে পূরণ হবে রাতারাতি
| Edited By: | Updated on: Sep 27, 2023 | 3:25 PM
Share

হিন্দুধর্মে উল্লেখ রয়েছে, প্রতিটি দিনই হিন্দু দেব-দেবীদের। নিয়ম অনুযায়ী,  বুধবার গণেশের পুজোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। হিন্দুদের বিশ্বাস যে, গণপতির পাশাপাশি দেবী লক্ষ্মীরও আরাধনা করা উচিত। লক্ষ্মী ও গণেশ, একসঙ্গে আরাধনা করলে জীবনের সব সমস্যা ও সঙ্কট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সপ্তাহের বিশেষ দিনটিকে গজাননকে উৎসর্গ করা হয়। গণেশ বন্দনায় সিদ্ধিলাভ  হয় ও অন্যদিকে,দেবী লক্ষ্মীর পুজোয় আর্থিক ঘাটতি বা সমস্যা দূর হয়।

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, কোনও শুভ কাজ করার আগে প্রথমে গণেশকে স্মরণ করা হয়। শাস্ত্র অনুসারে, গণেশকে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রতীক বলা হয়। অন্যদিকে, লক্ষ্মী হলেন সম্পদের দেবী। হিন্দুদের বিশ্বাস, পুজোর মাধ্যমে গণেশকে প্রসন্ন করা হয়, তাহলে ভক্তদের দুঃখ -কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সব মনের ইচ্ছে পূরণ হয় বলেও মনে করা হয়। বুধবার নিয়ম মেনে লক্ষ্মী-গণেশ, একসঙ্গে পুজো করলে দ্রুত ফল মেলে।

কেন লক্ষ্মীর সঙ্গে গণেশের আরাধনা করা হয়?

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী। দেবী লক্ষ্মীর কৃপায় সকল মানুষ সম্পদ লাভ করে। কথিত আছে যে জল থেকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন দেবী লক্ষ্মী। তাই তিনি এক জায়গায় কখনও স্থির হয়ে বাস করেন না। জলের মতোই প্রবাহিত হন তিনি। তবে সঠিক বুদ্ধি দিয়ে কাজ করলে ও সিদ্ধান্ত নিলে লক্ষ্মীর বাস হবে ঘরে। সাধারণত দোকানের হালখাতা খোলার সময় লক্ষ্মী ও গণেশকে একসঙ্গে পুজো করা হয়। অনেকের বাড়িতেও গণপতি-লক্ষ্মীকে একসঙ্গে পুজো করা হয়। পুরাণ মতে, কোনও ব্যক্তির অধিক অর্থলাভ হলে বুদ্ধির বিভ্রম ঘটে। দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে গণেশের পুজো করা আবশ্যিক।

লক্ষ্মী-গণেশের পুজো একসঙ্গে কীভাবে করবেন

-বুধবার সকালে স্নান করে হলুদ কাপড় পরিধান করতে পারেন।

-এ দিনে, বাড়িতে বা যে কোনও মন্দিরে গিয়ে ভগবান গণেশ ও লক্ষ্মীর পুজোর জন্য প্রস্তুত হন।

-পুজো করার সময় পূর্ব দিকে মুখ করে কুশের আসনে বসতে পারেন।

-শুধুমাত্র পঞ্চামৃত দিয়ে গণেশ ও লক্ষ্মীকে স্নান করিয়ে অভিষেক করান।

-পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করার পর গণেশের মূর্তিতে হলুদ চাল অর্পণ করুন।

-লক্ষ্মীর প্রতিমায় লাল সিঁদুর দিয়ে লাল চাল নিবেদন করুন।

-গণেশের মূর্তিতে চন্দন ও লাল ফুল অর্পণ করুন। লক্ষ্মীকে কুমকুম ও লাল রঙের ফুল নিবেদন করুন।

-গণেশ ও লক্ষ্মীর উদ্দেশ্যে ধূপ, প্রদীপ, কর্পূর, লাল চন্দন, মোদক ইত্যাদি নিবেদন করুন।

-দেব-দেবী উভয়ের মূর্তির উপর শুকনো সিঁদুরের তিলক লাগান ও দেবী লক্ষ্মী- গণেশের আরতি করুন।

-পুজো শেষে দেব-দেবী উভয়ের কাছে  যে কোনও ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা, পরিবারের জন্য মঙ্গল কামনা করুন।

-পুজো করার পর সকলের মধ্যে পঞ্চামৃত ও প্রসাদ বিতরণ করা উচিত।

– বুধবার পুজোর সময় ভগবান গণেশ-লক্ষ্মীর মন্ত্র জপ করুন।

লক্ষ্মী-গণেশ পুজোর গুরুত্ব

হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে দেবী লক্ষ্মী সমস্ত ভক্তকে ধন-সম্পদ ও শস্য দিয়ে আশীর্বাদ করেন। বুধবার হল শুভর প্রতীক। হিন্দুদের বিশ্বাস, দেবী লক্ষ্মী ও গণেশের পুজো করলে সমস্ত ঝামেলা দূর হয়। ঘরে ধনবৃদ্ধি ঘটে। সর্বদাই দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে গণেশের আরাধনা করার প্রথা রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনি মতে, গণপতিকে দেবী লক্ষ্মীর দত্তক পুত্রও বলে মনে করা হয়। গণপতি ছাড়া লক্ষ্মীর পুজো করা অসম্পূর্ণ। এ কারণেই দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করার জন্য গণেশ লক্ষ্মী স্তোত্র সবচেয়ে উপকারী ও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। বুধবারের মতো শুভ দিনে নিষ্ঠা ও  ভক্তি ভরে গণেশ লক্ষ্মী স্তোত্র পাঠ করলে,যে কেউ ধনী হতে পারেন। লক্ষ্মী ঘরে প্রবেশ করলে সুখ ও শান্তি যেমন ফিরে আসে, তেমনি অর্থ সঙ্কট ও সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে।