AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

CWG 2022: কেউ শিক্ষিকা, কেউ বন দপ্তরের কর্মী; সংসার, চাকরি সামলে নিঃশব্দে ইতিহাস

ভারতীয় ‘লন বল ফোর’ মহিলা দলের চার সদস্য হলেন - লাভলি চৌবে, রূপা রানি তিরকে, পিঙ্কি এবং নয়নমণি সইকিয়া। এই চারজনের হাতেই লেখা হল ইতিহাস।

CWG 2022: কেউ শিক্ষিকা, কেউ বন দপ্তরের কর্মী; সংসার, চাকরি সামলে নিঃশব্দে ইতিহাস
কেউ শিক্ষিকা, কেউ বন দপ্তরের কর্মী; সংসার, চাকরি সামলে নিঃশব্দে ইতিহাসImage Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 9:59 PM
Share

বার্মিংহ্যাম: কথায় বলে, ‘যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে’… সেটা এ বার প্রমাণ হচ্ছে বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসে (Birmingham Commonwealth Games)। লন বলে (Lawn Bowls) সোনা জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে ফেলেছেন ভারতের লাভলি-রূপারা। সোমবার (১ অগস্ট) থেকে লন বল নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে। কারণ, নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে কমনওয়েলথে লন বল ফোরসের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল ভারতের মহিলারা। অপেক্ষা ছিল শুধু সোনা ঝুলিতে ভরার। আজ, মঙ্গলবার সেটাও করে দেখালেন নয়নমণিরা। এর আগে অচেনা ‘লন বল’ খেলা হয় কীভাবে সেটাই অনেক ভারতীয়র জানা ছিল না। কিন্তু রাতারাতি লন বল শোরগোল ফেলে দিয়েছে ভারতীয় ক্রীড়ামহলে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে লন বল ফোরসে সোনা জিতে নিয়েছেন ভারতীয় মহিলা দল। ভারতীয় ‘লন বল ফোর’ মহিলা দলের চার সদস্য হলেন – লাভলি চৌবে, রূপা রানি তিরকে, পিঙ্কি এবং নয়নমণি সইকিয়া। এই চারজনের হাতেই লেখা হল ইতিহাস। তবে পিঙ্কি-লাভলিরা লন বল খেলার পাশাপাশি কী করেন? জানলে চমকে যাবেন।

যে চার জন ভারতকে লন বলে সোনা এনে দিলেন তাঁদের ২ জনের বয়স ৪২, একজনের বয়স ৩৪ ও আর একজনের বয়স ৩৩। এটাই প্রমাণ করে ইচ্ছে থাকলে বয়স কোনও বাঁধাই নয়। যেমনটা নয় পিঙ্কি-নয়নমণিদের কাছে। ভারতের এই ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ কেউ শিক্ষিকা, তো কেউ আবার বন দপ্তরের কর্মী। সংসার সামলানোর পাশাপাশি নিজেদের কাজও সামলান পিঙ্কিরা। আর তার সঙ্গেই খেলেন লন বল।

ভারতের লন বল ফোরসের নেতা ৩৮ বছর বয়সী লাভলি চৌবে হলেন ঝাড়খণ্ড পুলিশের কনস্টেবল। ৩৪ বছরের রূপা রানি তিরকে আবার ঝাড়খণ্ড ক্রীড়া দপ্তরে কাজ করেন। অন্যদিকে ৪২ বছরের পিঙ্কি হলেন নয়াদিল্লির আর কে পুরম ডিপিএসের ক্রীড়া শিক্ষিকা। এবং নয়নমণি সাইকিয়া হলেন অসমের বাসিন্দা। তিনি রাজ্য বন দপ্তরের কর্মী।

নয়নমণি ছাড়া দলের বাকি তিনজন এর আগেও কমনওয়েলথ গেমসে অংশ নিয়েছেন। পিঙ্কি এর আগে ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের কমনওয়েলথে অংশ নিয়েছিলেন। যার মধ্যে ২০১০ সালের দলগত ইভেন্টে চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিলেন। রূপা ২০১০, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের কমনওয়েলথে নেমেছিলেন। যার মধ্যে ২০১০ সালে চতুর্থ ও ২০১৮ সালে গোল্ড কোস্টে পঞ্চম স্থানে শেষ করেছিলে। পিঙ্কি-রূপার পাশাপাশি লাভলি এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের কমনওয়েলথে অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে গোল্ড কোস্ট ২০১৮ সালে পঞ্চম স্থানে শেষ করেছিলেন। তিনজনই এর আগে কমনওয়েলথে অংশ নিলেও পদক লাভ হয়নি। তবে এ বার হল, আর এল তো এল সোনা। যার ফলে সোনার হাসি ফুটেছে পিঙ্কিদের মুখে ও ভারতবাসীর মুখে।