1983 World Cup Victory : বিশ্বজয়ের ৪০ বছর, ভারতীয় ক্রিকেটকে বদলে দেওয়ার চার দশক
ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই অনেকে পেট মোটা টিভির সুইচ মুচড়ে দিয়েছিলেন। ইনিংস বিরতিতে স্টেডিয়াম ছেড়ে বাসায় ফিরেছিলেন কেউ। তাঁরা হয়তো আজও আফসোস করেন।
কলকাতা: চল্লিশটা বছর…। ১৯৮৩ সালের আজকের দিনে ক্রিকেটের মক্কায় রচনা হয়েছিল ইতিহাস। এক ঝটকায় বদলে গিয়েছিল ভারতের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ। ক্রিকেট নিয়ে ভারতীয়দের যে এত মাতামাতি, তার বীজবপন হয় সেদিন। আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে। দিনটি ২৫ জুন। প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছিল কপিল দেব ও তাঁর সেনারা। অসম্ভব কারণ, উল্টোদিকের নামগুলো যে কোনও ক্রিকেটারের মনে ভয় ধরানোর মতো। ক্লাইভ লয়েড, গর্ডন গ্রিনিজ, ভিভ রিচার্ডস, মাইক হোল্ডিং, ম্যালকম মার্শাল। বিশ্বের যে কোনও ক্রিকেট দলকে ‘গিলে’ ফেলার মতো ক্ষমতা রাখে। এমন একটা দলের সামনে ১৮৩ রান তো নস্যি। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই অনেকে পেট মোটা টিভির সুইচ মুচড়ে দিয়েছিলেন। ইনিংস বিরতিতে স্টেডিয়াম ছেড়ে বাসায় ফিরেছিলেন কেউ। তাঁরা হয়তো আজও আফসোস করেন। কোটি কোটি ভারতবাসীর এক স্বপ্নপূরণের রাত। এরপরও ভারত বিশ্বকাপ জিতেছে, ঝুলিতে এসেছে কতশত ট্রফি। কিন্তু প্রথম বিশ্বকাপ জয়, তার মাধুর্য্য আলাদা।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে তিন ম্যাচের সিরিজের ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গিয়েছিল ভারত। ধারে ভারে কপিল দেবদের থেকে এগিয়ে ছিলেন ক্লাইভ লয়েডরা। কিন্তু জানেন কি, টুর্নামেন্টের শুরুতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দিয়েছিল ভারত। ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে টুর্নামেন্টের সূচনা করা ভারতীয় দল তখনও জানত না ফাইনালেও তাদেরকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হতে হবে। তার আগে সেমিফাইনালের বড় বাধা পার করতে হয়েছিল। ডেভিড গাওয়ার, মাইক গ্যাটিং, ইয়ান বোথাম, বব উইলিসদের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জিতে ফাইনালে প্রবেশ করেন কপিল দেবরা।
৬০ ওভারের ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই আউট হন সুনীল গাভাসকর। খোঁড়াতে খোঁড়াতে ভারতের খাতায় ওঠে ১৮৩ রান। তারপর মহিন্দর অমরনাথ, মদন লালরা যে জাদু দেখালেন তাঁর রেশ রয়ে গিয়েছে আজও। কপিলের হাতে ‘খুনে’ মেজাজের ভিভের ক্যাচ, ক্লাইভ লয়েডকেও তালুবন্দী করে ফেলেন ভারতের ক্যাপ্টেন। তিরাশির বিশ্বকাপে ৮৩ রান জয়।
বিশ্বমঞ্চে তেরঙা ওড়ানো সেই দলের এক সদস্য আজ তারার দেশে। সেদিন একাদশে ছিলেন সুনীল গাভাসকর, কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, মহিন্দর অমরনাথ, যশপাল শর্মা, সন্দীপ পাটিল, কপিল দেব, কীর্তি আজাদ, রজার বিনি, মদন লাল, সৈয়দ কিরমানি এবং বলবিন্দর সিং সান্ধু। করোনা অতিমারির সময় যশপাল শর্মা প্রয়াত হন।