AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ক্রিকেটের জন্য সেক্স! পাঁচ মহিলার বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড়

Cricket adulatory controversy: পাকিস্তানের পাঁচ জন মহিলা ক্রিকেটার অভিযোগ তুলেছিলেন, দলে জায়গা পেতে হলে বিছানায় যেতে হবে। এমনই প্রস্তাবই নাকি দিয়েছিলেন ক্লাব কর্তারা! মুলতানের পাঁচ জন মহিলা ক্রিকেটার অভিযোগ তুলেছিলেন, ক্লাবের চেয়ারম্যান, টিম নির্বাচক যৌনতার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রস্তাব মেনে কাজ করলেই দলে জায়গা পাকা।

ক্রিকেটের জন্য সেক্স! পাঁচ মহিলার বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড়
Image Credit: X
| Updated on: Jun 17, 2024 | 11:21 AM
Share

কাস্টিং কাউচ। সিনেমা জগতে অতিপরিচিত শব্দ। অন্য নানা পেশাতেও শোনা যায়। অনেক সময় কিছু বিষয় প্রকাশ্যে আসে। তবে ক্রিকেটের ময়দানেও! পাকিস্তান ক্রিকেটকে জোরালো ধাক্কা দিয়েছিল এই শব্দ। যার জেরে নির্বাসিত করা হয়েছিল পাকিস্তানের পাঁচ মহিলা ক্রিকেটারকে। এ বার প্রশ্ন আসতেই পারে, মহিলাদের উপরই তো যৌন নির্যাতন হয়। তাঁদের কেন নির্বাসন দেওয়া হবে! অভিযোগ যদি মিথ্যে হয়! কিংবা অভিযোগ মিথ্যে ‘প্রমাণ’ করে কাউকে আড়াল করার ঘটনাও তো ঘটতে পারে। রক্ষক যদি ভক্ষক হয়, এমন অনেক কিছুই হতে পারে। পাকিস্তান ক্রিকেটে ঠিক কী ঘটেছিল, তার সত্যতা কতটা, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। মহিলা ক্রিকেটারদের শাস্তির বিষয়টি অবশ্য মিথ্যে নয়।

পাকিস্তানের পাঁচ জন মহিলা ক্রিকেটার অভিযোগ তুলেছিলেন, দলে জায়গা পেতে হলে বিছানায় যেতে হবে। এমনই প্রস্তাবই নাকি দিয়েছিলেন ক্লাব কর্তারা! পাকিস্তানের বিখ্যাত শহর মুলতান। বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাট তৈরির আঁতুরঘরে। আর সেখানেই ক্রিকেট বদনাম হয়েছিল। মুলতানের পাঁচ জন মহিলা ক্রিকেটার অভিযোগ তুলেছিলেন, ক্লাবের চেয়ারম্যান, টিম নির্বাচক যৌনতার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রস্তাব মেনে কাজ করলেই দলে জায়গা পাকা।

ঘটনাটি যদিও আগের। তবে পাকিস্তান ক্রিকেটের নানা বিতর্কের মধ্যে আলাদা করে মনে থেকে যায়। যদিও সেটা নেতিবাচক প্রভাবে। ২০১৩ সালের জুনে সেই অভিযোগ তুলেছিলেন মুলতানের ক্রিকেটাররা। শুধু ক্লাব ক্রিকেটেই নয়, আরও বড় প্রলোভন ছিল। জাতীয় দলেও সুযোগ করে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারদের! বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে পাকিস্তান ক্রিকেটের শীর্ষকর্তারা। শুরু হয় তদন্ত। তাতে উঠে আসে, সমস্ত অভিযোগই মিথ্যে। কোনও প্রমাণ না থাকায় উল্টে সেই পাঁচ মহিলা ক্রিকেটারকেই নির্বাসিত করা হয়েছিল।

সেই পাঁচ মহিলা ক্রিকেটার পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন শো-তে এই অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁদের মূল অভিযোগ ছিল মুলতান ক্রিকেট ক্লাবের চেয়ারম্যান এবং নির্বাচকের উপর। তাঁরা দু-জনেই এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করেছিলেন। সীমা জাভেদ নামের এক ক্লাব স্তরের ক্রিকেটার জানিয়েছিলেন, প্রথমে তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং দায়িত্ব দেওয়া হয় অন্যান্য মহিলা ক্রিকেটারদেরও রাজি করাতে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ক্লাবের চেয়ারম্যান সেই সুলতান আলমের বয়স তখন ৭০ বছর! তদন্ত কমিটি যে নিরপেক্ষ ভাবে ঘটনার তদন্ত করেছেন প্রভাবশালী দুই কর্তার বিরুদ্ধে, সেই নিশ্চয়তা অবশ্য নেই।