টিম হিসেবে শুরুটা ভালো হয়নি, তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স লা-জবাব। দলীপ ট্রফির প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ইন্ডিয়া বি-র বিরুদ্ধে ৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন শুভমনের সেরা অস্ত্র আকাশ দীপ। দ্বিতীয় ইনিংসে ফাইফার। ব্যাট হাতেও ৪২ বলে ৪৩ রানের অনবদ্য ইনিংস। দলের হার যদিও বাঁচাতে পারেননি। সামনেই বাংলাদেশ সিরিজ। তার আগে এই পারফরম্যান্স আকাশ দীপকে যেমন ভরসা দেবে, তেমনই নির্বাচকদেরও। বাংলার এই পেসার একটি মাত্র টেস্ট খেলেছেন। তবে এ বারের যা পরিস্থিতি, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে সুযোগ শুধুই সময়ের অপেক্ষা। দলীপর ট্রফির প্রথম ম্যাচে সাফল্য কারণও ব্যাখ্যা করলেন এই পেসার।
দু-ইনিংসে ৯ উইকেটের মধ্যে সেরা বলা যেতে পারে নীতীশ রেড্ডি এবং ওয়াশিংটনের আউট দুটি। প্রথম ইনিংস প্রসঙ্গে আসা যাক। ঋষভ পন্থকে ফেরানোর পরের বলেই বোল্ড করেন নীতীশকে। ৩৬ ওভারের পুরনো বল। মিডল স্টাম্পে পড়ে অফস্টাম্পের টপে লাগে। যে কোনও পেসারের কাছে স্বপ্নের ডেলিভারি। তেমনই দ্বিতীয় ইনিংসে বাঁ হাতি ওয়াশিংটন সুন্দরের বিরুদ্ধে রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিং করছিলেন আকাশ দীপ। তাঁর সঙ্গে মাইন্ড গেম চলছিল। বেশ কিছু ডেলিভারি বিট করেন। এরপর হঠাৎই একটি ডেলিভারি অফস্টাম্পের বাইরে পড়ে সামান্য ভেতরে। ব্যাটের কানা মিস করলেও উইকেট ভাঙে।
বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ শেষে এই দুটো উইকেটই সেরা হিসেবে বেছে নেন আকাশ দীপ। সঙ্গে যোগ করেন, ‘ওয়াশিংটনকে নেটেও রাউন্ড দ্য উইকেট বল করেছি। আমার বোলিংয়ে নিয়মিত ব্যাট করেছে। বলা যায়, আমি কী করতে পারি, সেটা ও জানে। ফলে আলাদা কিছু করতে হত। দ্বিতীয় ইনিংসে সেটাই করেছি।’ আর এর জন্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন জাতীয় দলের তারকা পেসার মহম্মদ সামিকেও। বাংলার হয়ে খেলেন সামি। আকাশ দীপও বাংলার পেসার।
গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর থেকেই মাঠের বাইরে সামি। তবে ফিট হয়ে উঠছেন। হয়তো নিউজিল্য়ান্ড সিরিজেই প্রত্যাবর্তন করবেন। ওয়াশিংটনকে সেট আপের ক্ষেত্রে আকাশ দীপের চোখের সামনে ভাসছিল বিশ্বকাপে বেন স্টোকসের বিরুদ্ধে সামির বোলিং। সেখানে বাঁ হাতি স্টোকসের বিরুদ্ধে রাউন্ড দ্য় উইকেটই বোলিং করছিলেন সামি। স্টাম্প থেকে অনেকটা বাইরে। ধীরে ধীরে লাইন ক্লোজ করতে থাকেন। অবশেষে একটি ডেলিভারি পঞ্চম স্টাম্পে পড়ে ভেতরে ঢোকে, স্টোকস বোল্ড।
সামির সঙ্গে কী কথা হয়েছিল, সেটাই জানালেন আকাশ দীপ। বলেন, ‘বাঁ হাতি ব্যাটারদের বিরুদ্ধে রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিং করলে একটা স্বাভাবিক মুভমেন্ট থাকেই। সামি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, কী ভাবে বল ভেতরে আনা যায়। কারণ, ওকে করতে দেখেছি। সামি ভাই বলেছিল, আলাদা কিছু ভাবতে না। ঠিক একটা ডেলিভারি ভেতরে আসবেই, আর সেটা উইকেট টেকিং ডেলিভারিই হবে।’ সামির পরিষ্কার বার্তা ছিল, বল বাইরে নিতে পারলে ভেতরেও আনতে পারবে। তবে অতিরিক্ত চেষ্টা করলে ফোকাস নষ্ট হতে পারে।