CSK vs KKR : ‘ঘরের’ মাঠে সুবিধা নেই! কী বলছেন দুই অধিনায়ক?
Chennai Super Kings vs Kolkata Knight Riders Post Match : এরপরই বলেন, ‘প্রতিটা দলই ঘরের মাঠের সুবিধা পায়, শুধুমাত্র কেকেআর ছাড়া।’ তাহলে কি ইডেনে পছন্দ মতো পিচ পাচ্ছেন না কেকেআর অধিনায়ক?
দীপঙ্কর ঘোষাল : প্লে-অফের ক্ষীণ অঙ্ক টিকিয়ে রাখতে জিততেই হত কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। আর এই ম্যাচ জিতলে প্লে-অফ নিশ্চিত হয়ে যেত চেন্নাই সুপার কিংসের। ঘরের মাঠের পরিস্থিতি বুঝে উঠতে পারলেন না মহেন্দ্র সিং ধোনি! টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। অন্যদিকে, কেকেআর অধিনায়কও টসের পর জানান, তিনিও টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন। শেষ অবধি দেখা গেল, টস হেরে যেন ভালোই হয়েছে কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানার। কেন না, ব্যাটিং নিলে চেন্নাইয়ের মতো পরিস্থিতি হতে পারতো কেকেআরের। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রান করে চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ দিকে শিবম দুবে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংস না খেললে কিংবা জাডেজার সঙ্গে জুটি গড়তে না পারলে হয়তো এই স্কোরেও পৌঁছতে পারত না চেন্নাই। জবাবে দ্রুত তিন উইকেট হারালেও নীতীশ রানা-রিঙ্কু সিংয়ের ৯৯ রানের পার্টনারশিপের সৌজন্যে ৯ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ম্যাচ শেষে কী বলছেন দুই অধিনায়ক? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রথমে ব্যাটিং প্রসঙ্গে মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেন, ‘খুবই খারাপ টস। পিচ দেখে মনে হয়েছিল রান তাড়া করা দল সমস্যায় পড়বে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম বলটা হওয়ার পরই বুঝতে পারি, এই পিচে অন্তত ১৮০ রান প্রয়োজন ছিল। তবে প্রথমে ব্যাট করে কোনও ভাবেই ১৮০ রান তোলা সম্ভব ছিল না। পরের দিকে শিশির একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিল। আমি দলের কাউকেই দোষ দিতে পারি না। পরিস্থিতি এমনই ছিল, বোলারদের কিছু করার ছিল না।’ ম্যাচ হারলেও শিবম দুবের ধারাবাহিকতা নিয়ে উচ্ছ্বসিত সিএসকে অধিনায়ক। ওর সঙ্গে আলাদা কোনও কথা হয়েছে? ধোনি বলছেন, ‘ড্রেসিংরুমের ভেতরের কথা বলা সম্ভব নয়। এটুকু বলতে পারি শিবম দারুণ উন্নতি করেছে। সবচেয়ে ভালো বিষয়, ও কিন্তু নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। সে কারণেই প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে আরও উন্নতির।’
কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানার যেন ম্যাচ জিতেও হতাশা। তবে চিপকের পরিস্থিতি নয়, বরং ইডেন গার্ডেন্স নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন নীতীশ। চিপকে জয়ের পর বলেন, ‘চান্দু স্যার (কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত) বলেছিলেন হেভি রোলার নিতে। যেটা আমি চাইনি। আমার মনে হয়েছিল, হেভি রোলার নিলে পিচ ভাঙবে, ব্যাটিংয়ে সমস্যা হবে। তবে পিচ পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক হয়েছিল। বল টার্ন হচ্ছিল না। দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের ব্যাটিংয়ে সুবিধাই হয়েছে।’ এরপরই বলেন, ‘প্রতিটা দলই ঘরের মাঠের সুবিধা পায়, শুধুমাত্র কেকেআর ছাড়া।’ তাহলে কি ইডেনে পছন্দ মতো পিচ পাচ্ছেন না কেকেআর অধিনায়ক?