AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

IPL, Shreyas Iyer: আইপিএলে ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার ছাড়া এই কীর্তি আর কারও নেই…!

Indian Premier League: এই বুদ্ধিদীপ্ত বিষয়টা টিম সিলেকশন থেকে মাঠের কিছু সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই বুঝিয়ে দেয়। যাঁদের চোখে পড়ার, অবশ্যই পড়ে। তাতে সেই ক্যাপ্টেনের কিছু আসে কি? সেগুলো নিয়ে ভাবেন কি? হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।

IPL, Shreyas Iyer: আইপিএলে ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার ছাড়া এই কীর্তি আর কারও নেই...!
Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: May 20, 2025 | 1:47 PM

কী যেন বলে, মেমে না মিম! আরে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর দেখা যায়। সকলেই দেখেন। মেমে বা মিম যাই হোক। সেখানে অনেক সময় কিছু মজার জিনিস দেখা যায়। বেশির ভাগই নেগেটিভ অর্থে। ধরুন কারও পদবি কোহলি! হতেই পারে, এমন একটা মিম দেখা গেল, যদি আপনার পদবি কোহলি হয়, তা হলে বিরাট হয়ে উঠুন, তরুবর নয়! ওই যে বললাম, মিম। বেশি সিরিয়াসলি নেবেন না। কাউকে অপমান করা উদ্দেশ্য নয়। শুধুই একটা প্রতীকি উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা।

আচ্ছা, এমন কোনও মিম কি চোখে পড়েছে যে, আপনার পদবি যদি আইয়ার হয়, তা হলে শ্রেয়স হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন! কী হয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন না, সেটা আর না বলাই ভালো। অনেকেই বুঝে গিয়েছেন। অন্তত কলকাতা নাইট রাইডার্স সমর্থকরা নিঃসন্দেহে বুঝেছেন। যাই হোক, অন্য কোনও আইয়ার নয় বরং শ্রেয়সেই ফেরা যাক।

আইয়ারি। একটি সিনেমা রয়েছে। শব্দটি মূলত নেতিবাচক অর্থেই ব্যবহার হয়ে থাকে। চালাক-চতুর বা বলা ভালো ধূর্ত। যদি পজিটিভে ব্যবহার করা যায়? ধূর্তর জায়গায় বুদ্ধিমান বা বুদ্ধিদীপ্ত? শ্রেয়স আইয়ারকে হয়তো একটু ভালো ভাবে চেনানো যাবে। আলটিমেটলি একটা টিমের ক্যাপ্টেন্সি করতে হলে, বুদ্ধিমান হতেই হবে, বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তও নিতে হবে। সেই ক্যাপ্টেন এই বুদ্ধিদীপ্ত বিষয়টা টিম সিলেকশন থেকে মাঠের কিছু সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই বুঝিয়ে দেয়। যাঁদের চোখে পড়ার, অবশ্যই পড়ে। তাতে সেই ক্যাপ্টেনের কিছু আসে কি? সেগুলো নিয়ে ভাবেন কি? হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।

শ্রেয়স যে আইপিএলে ‘আইয়ারি’ করছেন, পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। তাঁর ক্ষেত্রে যেন বলা যায়, যাতেই স্পর্শ করছেন, সোনা হয়ে যাচ্ছে। প্রথমে দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজি, এরপর কলকাতা নাইট রাইডার্স, আর এবার পঞ্জাব কিংস। ক্যাপ্টেন হিসেবে তিনটি ভিন্ন দলকে প্লে-অফে পৌঁছে দিয়েছেন। আইপিএলে শ্রেয়স ছাড়া এই কীর্তি আর কারও নেই।

সেই ২০১৫ সাল থেকে আইপিএল খেলছেন শ্রেয়স। চোটের কারণে মিসও হয়েছে। আর শুরুর দিকে সুযোগও কম মিলেছে। নতুনদের ক্ষেত্রে যেমনটা হয়ে থাকে আর কী। ব্যাটিংয়েও ধারাবাহিক। তবে ফেরা যাক তাঁর ক্যাপ্টেন্সিতে। ক্যাপ্টেন হিসেবে দিল্লিকে প্লে-অফ এবং ফাইনালেও তুলেছিলেন। ট্রফি যদিও আসেনি। ২০২২ সাল থেকে শ্রেয়স কলকাতা নাইট রাইডার্সে। ২০২৩ সংস্করণে চোটের কারণে খেলতে পারেননি।

চোট সারিয়ে ২০২৪ আইপিএল অর্থাৎ গত মরসুমে কেকেআরে ফেরেন ক্যাপ্টেন শ্রেয়স। দীর্ঘ ১০ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন কলকাতা। স্পটলাইট মেন্টর গৌতম গম্ভীরের দিকেই। কারণ, ক্যাপ্টেন হিসেবে তিনি দু-বার ট্রফি দিয়েছিলেন। মেন্টর হিসেবে ফিরেও ট্রফি। গম্ভীরের আড়ালে যেন ঢাকা পড়ে যান ক্যাপ্টেন। বেশিরভাগ কৃতিত্ব পেয়েছিলেন গম্ভীর। চ্যাম্পিয়ন ক্যাপ্টেন শ্রেয়সকে রিটেন করেনি কেকেআর। নাকি শ্রেয়স থাকতে চাননি, ধোঁয়াশার। মোদ্দা কথা, শ্রেয়স কেকেআরে নেই।

এবারের আইপিএলের আগে বড় আইয়ারি পঞ্জাব কিংসের। মাত্র দু-জন আনক্যাপড প্লেয়ারকে রিটেন করেছিল। অকশনে নেমেছিল সবচেয়ে বেশি টাকা নিয়ে। আর শ্রেয়সের সঙ্গে আগে কাজ করা পঞ্জাব কিংসের কোচের প্রথম টার্গেট ছিল ক্যাপ্টেন শ্রেয়সকে নেওয়া। তাঁর নাম উঠতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে অকশন টেবলে সবচেয়ে বড়লোক পঞ্জাব। শেষ অবধি ২৬ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকায় তাঁকে নেয়।

পঞ্জাবের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক, এখনও অবধি প্রমাণ করেছেন শ্রেয়স। দীর্ঘ ১১ বছর পর প্লে-অফে পঞ্জাব। মিশন এখনও অধরা। পঞ্জাব টিমের নাম বদলেছে, ভাগ্য নয়। ট্রফি আসেনি একবারও। এবার কি চ্যাম্পিয়ন ক্যাপ্টেন শ্রেয়সের হাত ধরে ট্রফি খরাও কাটবে? সেই প্রত্যাশাতেই প্রীতি-পন্টিংয়ের পঞ্জাব।